|
|
|
|
|
মরণকূপ |
|
ছবি: মনিরুজ্জামান |
উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার দেগঙ্গা ব্লকের কলসুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া পদ্মানদীর উপরের সেতুটি বর্তমানে অত্যন্ত বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। স্থানীয় গাইনপাড়ার কাছে অবস্থিত এই সেতুটি দেগঙ্গার কলসুর এবং বাদুড়িয়া ব্লকের বাগজলার মধ্যকার অন্যতম সেতুবন্ধন। কলসুর, চৌরাশি চাকলা গ্রাম পঞ্চায়েতের হাজার হাজার মানুষ এই সেতু দিয়েই স্কুল, কলেজ, হাট-বাজারে যাতায়াত করেন। এই সেতুর দু’দিকে কোনও রেলিং নেই। সেতুর উপর দিয়ে মালবাহী গাড়ি যেতে গিয়ে এক দিকের স্ল্যাব বসে যায়। প্রায় তিন বছর আগে ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনার পর ভাঙা স্ল্যাবের উপর আর একটি স্ল্যাব বসানো হয়। একটি ভাঙা স্ল্যাবের উপর আর একটি স্ল্যাব বসানোর ফলে সেতু হয়ে যায় অসমান। তার উপর আর এক দিকের স্ল্যাবও ক্রমশ ভাঙতে শুরু করেছে। ফলে, এই সেতু আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। এই অবস্থাতেই এর উপর দিয়ে ছোট ছোট গাড়ি, যাত্রিবাহী অটো যাতায়াত করে চলেছে। যে-কোনও সময় মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এলাকার মানুষকে এক রকম বাধ্য হয়েই ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে এই সেতু দিয়ে। অবিলম্বে এই জরাজীর্ণ সেতুটির সম্পূর্ণ সংস্কার প্রয়োজন।
মনিরুজ্জামান। কলসুর, উত্তর চব্বিশ পরগনা
|
বর্ষার ভেনিস |
সোনারপুর ও সন্নিহিত অঞ্চলের নিকাশি ব্যবস্থা দেখলে বড় অবাক লাগে। ‘বর্ষার ভেনিস’ এই সোনারপুরে বেশির ভাগ নর্দমা শেষ হয়েছে কোনও পুকুরে। মডেল হিসেবে পুরসভার ঠিক পিছনের জলাশয়টি দেখে যেতে পারেন। প্লাস্টিক, দুর্গন্ধ ও মশার লার্ভায় পরিপূর্ণ। শহরতলি এলাকায় জলাভূমি বোজানো কত সহজ, তা এলেই টের পাবেন। এই নর্দমাগুলি মাঝে মাঝে সাফ করা হয়, তবে নর্দমা আর রাস্তার মধ্যে কোনও তফাত থাকে না। ব্যবসায়ীরা ফুটপাথ দখল করেছেন আর অটোচালকরা রাস্তা। বালি, পাথরকুচি দিয়ে বিল্ডার্সরা রাস্তার দু’ধার দখল করেছেন। পথচারীদের চলা দায়। তার ওপর এখানে সারা রাত শব্দদূষণ, প্লাস্টিক বা টায়ার পোড়ানো সব কিছুই অবাধ।
প্রণব সরকার। ক্ষিরিশতলা, সোনারপুর
|
সাজানো শহরে গরু |
একদা ফরাসি উপনিবেশ চন্দননগরের সৌন্দর্যের খ্যাতি এখনও রয়েছে। ফরাসি ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, ভাস্কর্য ও চিত্রকলায় উৎকর্ষের কিছু পরিচয় এখনও মেলে। চন্দননগরের গঙ্গাতীরে সুসজ্জিত প্রশস্ত স্ট্র্যান্ডের সৌন্দর্য নিত্যভ্রমণার্থী ও বহিরাগত পর্যটকদের কাছে আকর্ষণ হিসাবে অম্লান।
কিন্তু সেই চন্দননগরের পরিবেশ এখন বেহাল। যেখানে-সেখানে গাছ কাটা হচ্ছে। পুরনো বিখ্যাত আমবাগানগুলি ধ্বংস করে বহুতল আবাসন তৈরি হচ্ছে। শহরের যেখানে-সেখানে আবাসন গড়ে উঠছে শহরকে ঘিঞ্জি করে। রাস্তার ফুটপাথগুলি হকারদের দখলে। যেখানে-সেখানে গুমটি, স্ট্র্যান্ড এলাকার নীচে অস্বাস্থ্যকর, কুৎসিত বেআইনি বসতি, রাস্তা ও ফুটপাথ দখল করে সবজি ও মাছের বাজার। যেখানে-সেখানে গজানো রাস্তার ধারে ফাস্ট ফুডের গুমটি স্টল, অবাধে ব্যবহৃত প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগের ছড়াছড়ি। আবর্জনায় উপচে-পড়া ভ্যাট। যার ফলে, গরু কুকুর বিড়াল কাকের দৌরাত্ম্য ইত্যাদি এখন চন্দননগরবাসীর গা-সওয়া হয়ে গিয়েছে। শহরে প্রচুর পুকুর আছে, কিন্তু সবগুলিই দূষিত, মানুষের স্নানের অযোগ্য। কিছু পুকুর আবার ধীরে ধীরে কৌশলে ভরাট করা হচ্ছে। ১৭টি ছোট-বড় নর্দমার দূষিত জল গঙ্গায় গিয়ে পড়ছে। |
|
এই আধুনিক, সাজানো শহরের যে কোনও রাস্তায় যখন-তখন পালে পালে গরু-বাছুর বিচরণ করছে। রাস্তার দু’ধারে লাগানো গাছপালা নষ্ট করা, ভ্যাটের আবর্জনা চার দিকে ছড়ানো, পথচারী মানুষ ও যানবাহনের অসুবিধা ও দুর্ঘটনার আশঙ্কা সৃষ্টি করা ছাড়াও স্ট্র্যান্ড-সহ শহরের অধিকাংশ রাস্তাই গোময়লিপ্ত করে নোংরা করা এদের নিত্য- নৈমিত্তিক কাজ।
চন্দননগর পরিবেশ উন্নয়ন সমিতি গত দশ বছর যাবৎ এই সমস্যাগুলি নিয়ে প্রশাসন ও পুর কর্তৃপক্ষের কাছে দরবার করে আসছে। কিন্তু বিশেষ কিছুই সুরাহা হয়নি। ইতিমধ্যে জমানার পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু পরিবেশের বেহাল অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি।
কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ সান্যাল।
প্রাক্তন সম্পাদক ও প্রাক্তন সভাপতি, চন্দননগর পরিবেশ উন্নয়ন সমিতি, চন্দননগর
|
বেহাল বাসস্ট্যান্ড |
|
মন্দিরের দেশ, বালুচরীর শহর, মল্লরাজাদের একদা রাজধানী বিষ্ণুপুর। একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন স্থানও। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এই শহরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন একটি বাসস্ট্যান্ড নেই। বিষ্ণুপুর রসিকগঞ্জে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড। অপরিসর জায়গা, অল্প বৃষ্টিতে জল থইথই করে। যাত্রীদের নির্বিঘ্নে বসার জায়গা নেই। নেই পানীয় জলের ব্যবস্থা। একটি মাত্র নোংরা টয়লেট নরকের থেকেও খারাপ।
সুদর্শন নন্দী। রাঙামাটি, মেদিনীপুর
|
দুর্ঘটনা ঘটতে কতক্ষণ |
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ভাঙড় ব্লকের বামনঘাটা উচ্চবিদ্যালয়ে পড়াই। এই বিদ্যালয়ে দু’হাজার ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করে। বিদ্যালয়ে আসতে গেলে ছাত্রছাত্রীদের প্রায় ষাট মিটার দীর্ঘ একটি কাঠের সেতুর উপর দিয়ে বিদ্যালয়ে আসতে হয়। বিগত কয়েক মাস সেতুটির অবস্থা অত্যন্ত বিপজ্জনক। এই সেতুটিই বিদ্যালয়ে পৌঁছনোর একমাত্র রাস্তা। কয়েক হাজার মানুষ ও অসংখ্য ছোট গাড়িও যাতায়াত করে সেতুর উপর দিয়ে। অবিলম্বে একটি কংক্রিটের ব্রিজ তৈরি হোক।
মানস হালদার। প্রধান শিক্ষক, বামনঘাটা উচ্চ বিদ্যালয়, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা
|
সর্বনাশের পথ |
তমলুকের কলেজপাড়া থেকে মানিকতলা পর্যন্ত প্রায় ৩ কিমি রাস্তার অবস্থা বেহাল। মাস সাতেক আগে ঢালাইয়ের কাজ শুরু হলেও এখনও তা অসম্পূর্ণ। বর্তমানে কাজ বন্ধ। ইট-পাটকেলের মধ্যে জল জমে যাতায়াতের পথে সমস্যা তৈরি করে। ইট-পাটকেলের উপর যাতায়াতও দুষ্কর।
সুদীপ্ত মণ্ডল। পূর্বকোলা, তমলুক |
|
|
|
|
|