|
|
|
|
|
|
|
হতাম যদি... |
টাস্ক ছিল ম্যাজিকবয় বা গার্ল হলে, জিনিয়াস’রা দেশের জন্য কী করত। শুনুন সে কাণ্ড! |
|
আজ থেকে আমি আর শুধু চন্দ্রমিতা নই, আমি ম্যাজিকগার্ল চন্দ্রমিতা। যে সব দুষ্টু লোক বাচ্চাদের চুরি করে তাদের মায়ের কাছ থেকে, আমি তাদের ভ্যানিস করে আরশোলা বানিয়ে দেব। ম্যাজিক করে সব গরিব মানুষকে আনন্দের চকোলেট দেব আর দুঃখগুলোকে গ্যাসবেলুনে ভরে ছেড়ে দেব।
চন্দ্রমিতা ঘোষ।
প্রথম শ্রেণি,
দ্য ফিউচার ফাউন্ডেশন স্কুল, কলকাতা |
|
আমি যদি ম্যাজিকগার্ল হই, তা হলে প্রথমেই আমি আমার জাদুশক্তি দিয়ে পৃথিবীর সব দূষণ শুষে নিয়ে মহাকাশের ওপরে গিয়ে ছেড়ে দেব। তার পর যত পশুপাখি এই পৃথিবী থেকে হারিয়ে গিয়েছে তাদের ফিরিয়ে আনব। যাঁরা আমাদের দেশের জন্য শহিদ হয়েছেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনব। আমি আমার জাদুশক্তি দিয়ে এক লক্ষেরও বেশি গাছ লাগাব। বাড়ির ছাদে ছাদে গিয়ে সোলার এনার্জির মেশিন বসাব, যাতে বেশি ইলেকট্রিসিটি খরচ না হয়। সব মানুষের কানে মন্ত্র দিয়ে ওদেরকে ভারতের উন্নতির পথে সব সময় যেতে বলব।
শর্মিষ্ঠা প্রামাণিক।
সপ্তম শ্রেণি,
বিদ্যা ভারতী গার্লস হাই স্কুল, নিউ আলিপুর |
|
|
ছবি: ওঙ্কারনাথ ভট্টাচার্য |
|
আমি মহাকাশ থেকে শক্তি সংগ্রহ করে সূর্যের পরিত্যাগ করা অতিবেগুনি রশ্মিকে দু’টি জিনিসে রূপান্তরিত করব। একটি হল ‘ভ্যাকুয়াম লেজার’, যা সব কিছু শুষে নিতে পারে এবং আর একটি হল ‘লাগানো মাত্রই শুকিয়ে যাওয়া সিমেন্ট।’ তার পর লেজার দিয়ে মাটির তলার প্রাচীন ধনরত্ন উঠিয়ে নেব। তা বিক্রি করে যে টাকা হবে, তার দ্বারা দুঃস্থ শিশুদের জন্য ‘জাদু সিমেন্ট’ দ্বারা তৈরি অবৈতনিক স্কুল বানাব ও গরিবদের জন্য অন্নসত্র খুলব। বিভিন্ন স্থানে লুকোনো ব্ল্যাক মানিকে ‘লেজার’-এর মাধ্যমে বার করে অতিবেগুনি রশ্মির দ্বারা তাকে হোয়াইট মানি করব। তার পর উষ্ণ অঞ্চলে সেই হোয়াইট মানি দিয়ে বিভিন্ন গাছ কিনে লাগাব। তাতে গ্লোবাল ওয়ার্মিং একটু হলেও কমবে।
রাহুল আচার্য।
ষষ্ঠ শ্রেণি,
বরানগর রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম উচ্চ বিদ্যালয় |
|
আমি ম্যাজিকগার্ল হয়ে গরিব মানুষদের বড়লোক করে দেব। দেশে কোনও গরিব থাকবে না। গাছপালায় সারা বছর ফল, ফুল, পাতা ভরে থাকার নির্দেশ দেব, সবাই ইচ্ছে মতো ফল পেড়ে খাবে। ইলিশ মাছের দাম করে দেব ৫ টাকা কিলো। সবাই যত খুশি কিনে খাবে। পরীক্ষাতে সবাই যেন ১০০-তে ৯৯ পায়, এ ব্যাপারটাও করব। মানুষেরা কেউ মারপিট করবে না। পশুদের কেউ ভয় পাবে না। ছোটরা বাঘের পিঠে করে সুন্দরবন বেড়াতে যাবে। সবাই পাখির মতো আকাশে উড়তে পারবে।
মাধুরী সুধা সরকার।
তৃতীয় শ্রেণি,
সোনারপুর শিশুনিকেতন |
|
আমি ম্যাজিকবয় হয়ে আমাদের দেশের চার দিকটা চকোলেট, চিপস, ক্রিম বিস্কুট দিয়ে এমন ভাবে ঘিরে দেব, যাতে শত্রুরা আক্রমণ করতে না পারে। আর দেশের ভিতরে অনেক গাছ লাগিয়ে দিয়ে তাদের ডাকে বৃষ্টি আনব এবং সেই বৃষ্টির সময় মেঘটা করে দেব গেরুয়া রং, বৃষ্টি সাদা আর গাছের মাথার সবুজে বানাব ম্যাজিক পতাকা। এই ম্যাজিক বৃষ্টি বিশ্ব উষ্ণায়ন দূর করে জলের ভান্ডার পূর্ণ করবে।
নীলাঙ্কন বেতাল।
চতুর্থ শ্রেণি,
বনফুল শিশুতীর্থ,
সালকিয়া, হাওড়া |
|
এমন এক ম্যাজিক দেব যে দেশের সকল ছেলেমেয়েরা স্কুলে চলে আসবে। কেউ যদি গাছ কাটতে আসে, তার হাত থেকে কুড়ুলটা ধপাস করে পড়ে যাবে। যার যে অসুখই হোক না কেন, ম্যাজিকে সব রোগ সেরে যাবে। যদি কেউ ঝগড়া-মারামারি করতে যায়, তার হাত মুখ আটকে যাবে এবং পরে তারা বন্ধু হয়ে যাবে।
মঞ্জিমা চক্রবর্তী।
প্রথম শ্রেণি,
নবনালন্দা শিশু বিদ্যাপীঠ, মধ্যমগ্রাম |
|
ম্যাজিকগার্লের পরনে লাল শাড়ি, কপালে টিপ ও কাঁধে শান্তিনিকেতনী ব্যাগ। সব মিলিয়ে বেশ একখানা মা-মা চেহারা। এত দিন আমরা টিভিতে শুধু স্কার্ট টপ পরা বিদেশি নায়িকাদেরই দেখেছি, কিন্তু এ বার শাড়ি পরেও অসাধ্য সাধন করবে ম্যাজিক গার্ল। তার ব্যাগে থাকবে একটা চকোলেট, এক বোতল জুস ও এক জোড়া চশমা। ভাবছ তো, এই ক’টা জিনিস দিয়ে কী এমন করতে পারবে ম্যাজিকগার্ল? এই একটা চকোলেট পুরো পৃথিবীর লোক খেয়ে শেষ করতে পারবে না। আর ওই বোতলের এক ফোঁটা জুস হাজার গাছকে জন্ম দেবে। আর ওই চশমা চোখে গলালেই মানুষজনের মনের কথা সহজেই টের পাওয়া যাবে। এই তিনটে জিনিস দিয়েই কিন্তু দৈনন্দিন জীবনের আসল প্রয়োজনীয় জিনিসগুলির অভাব আমরা টের পাব না।
সুহানা সিমরান।
ষষ্ঠ শ্রেণি,
জুলিয়েন ডে স্কুল, কল্যাণী, নদিয়া |
|
আমি যদি ম্যাজিকবয় হই, তবে প্রতি রাস্তায় রাস্তায় যেমন প্রাণীদের শৌচালয় গড়ে দেব, তেমনই শৌচালয়ে রাখার চেষ্টা করব বিশ্বের সবচেয়ে উত্তম দুর্গন্ধনাশক পদার্থ। আর যেটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ তা হল, চতুষ্পদীদের এমন ভাবে সম্মোহিত করব যে তারা যত্রতত্র প্রাকৃতিক কাজ সারবে না। দেশের প্রতিটি রাস্তা, উপরাস্তা, শাখারাস্তা, অলিগলি, তস্যগলি হয়ে উঠবে সাফসুতরো। আমরা, দেশের মানুষেরা রুমালবিহীন নাকে, ঋজু দেহে মাথা তুলে, দৃঢ় পদক্ষেপে গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাব।
সম্বুদ্ধ ভট্টাচার্য।
নবম শ্রেণি,
ভাটপাড়া অমরকৃষ্ণ পাঠশালা |
|
জিনিয়াস জিন্দাবাদ
বকচ্ছপ, হাতিমিকে মনে পড়ে? মানে মাথা এক জনের তো লেজ আর এক জনের।
সত্যি কী ফাটাফাটি সব কম্বিনেশন, না? এ বার তোমাদের পালা। তোমরা ইচ্ছে মতো
দু’রকম জন্তু বা পাখি বেছে নাও, আর তার পর তাদের এক সঙ্গে মিশিয়ে ফেলো। ব্যস,
রেডি
হয়ে যাবে নতুন কোনও হাতিমি বা বকচ্ছপ। তোমাদের নতুন এই সৃষ্টির একখানা
জম্পেশ নাম দিয়ে, এঁকে পাঠিয়ে দাও ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। খামের উপর লেখো
সেপ্টেম্বরের জিনিয়াস জিন্দাবাদ,
রবিবারের আনন্দমেলা,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১ |
|
|
|
|
|
|