সদস্যপদ-বিতর্কে ফরওয়ার্ড ব্লকে ‘বিদ্রোহ’ সামাল দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হল। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কমিটির সদস্যের ইস্তফা রাজ্য নেতৃত্ব গ্রহণ করছে না বলে পদত্যাগীদের জানালেন দলের রাজ্য সম্পাদক অশোক ঘোষ। তিনি আলোচনার পথেই সমাধানসূত্র বার করার পক্ষপাতী। তবে রাজ্য সম্পাদকের সঙ্গে পদত্যাগী জেলা সম্পাদকের প্রথম দিনের বৈঠকে সেই রফাসূত্র অধরাই ছিল। অশোকবাবু আজ, শনিবার ফের জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারেন বলে ফ ব সূত্রের খবর।
প্রাক্তন মন্ত্রী সরল দেব ও তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ নেতা রঞ্জিৎ চৌধুরীকে কেন্দ্র করেই ফ ব-য় বিবাদ তুঙ্গে উঠেছে। রঞ্জিৎবাবুর কিছু অনুগামী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সদস্যপদ নবীকরণ না-করা সত্ত্বেও তাঁদের জন্য রাজ্য নেতৃত্ব ফর্ম পাঠিয়ে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রায় গোটা জেলা নেতৃত্ব। প্রতিবাদে জেলা কমিটির ৪৯ জন সদস্য কমিটি থেকে ইস্তফা দিয়ে চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছেন অশোকবাবুর কাছে। তার মধ্যে রাজ্য কমিটির চার জনও আছেন। ইস্তফার সই-সংবলিত প্রতিবাদপত্র পাওয়ার পরেই শুক্রবার জেলা সম্পাদক হরিপদ বিশ্বাসকে দলের রাজ্য দফতরে আলোচনায় ডেকেছিলেন অশোকবাবু। দলীয় সূত্রের খবর, প্রবীণ রাজ্য সম্পাদক হরিপদবাবুকে বলেন, তাঁদের ইস্তফা এখনই গ্রহণ করা হচ্ছে না। খোলাখুলি আলোচনা করেই সমস্যার মীমাংসা করা হোক। অশোকবাবুর প্রাথমিক প্রস্তাব অবশ্য হরিপদবাবু মানতে পারেননি। সেই জন্যই ফের বৈঠক ডাকা হয়েছে। তবে এ দিন বৈঠকের পরে দুই নেতাই প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাননি।
দলীয় সূত্রের খবর, অশোকবাবুর প্রস্তাব ছিল, বিতর্কিত সদস্যপদগুলির বিষয়ে জেলা নেতৃত্বই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু বিলি হয়ে-যাওয়া ফর্ম রাজ্য কমিটির কাছেই জমা পড়ুক। কিন্তু ওই প্রস্তাবে আপত্তি আছে জেলা নেতৃত্বের। কারণ, তাতে সেই জেলা কমিটিকে এড়িয়ে কাজ করার অভিযোগ থেকেই যায়। জেলার হাতেই যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার ভার দিয়ে কোনও রফাসূত্রের খোঁজে আজ ফের আলোচনা হওয়ার কথা। দলের জেলা কমিটির এক সদস্যের কথায়, “যে প্রশ্ন তুলে আমরা ইস্তফা দিয়েছি, সেখান থেকে পিছিয়ে আসা যায় না। দু’পক্ষের মান রেখেই কোনও রফাসূত্র বার করার চেষ্টা হচ্ছে। সামনে পঞ্চায়েত ভোটের কথা দলে সকলকেই মাথায় রাখতে হবে।” |