|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৩... |
|
‘নিমগাছ’ কবিতা, বিপন্ন ব |
ব-এর বিপদ। নির্বাচিত বনফুল(মিত্র ও ঘোষ) গ্রন্থের ভূমিকা ‘স্থানকালমনশ্চেতন বনফুল’-এর শুরুতেই বনফুলে ব-এর সন্ধান। কী প্রকারে? লেখকের নাম বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়, ছদ্মনাম বনফুল, পেশা বৈদ্য, প্রধান বৈশিষ্ট্য ব্যাপ্তি, বৈচিত্র, বলিষ্ঠতা...। ইহাতেও শান্তি নাই, বনফুলের পুরুষালি গদ্যের প্রশংসায় বিশ্বকর্মার প্রসঙ্গ পাড়িয়াই বন্ধনীতে লেখক চমকিত, আবারও ‘ব’! তাহা না হয় হইল, কিন্তু তাহাতে ঘটিলটা কী? খুঁজিয়া খুঁজিয়া এমন কয়েকটি ব জড়ো করিয়া লাভ হইল কী? অবিশ্যি লাভক্ষতির হিসাব কে করে, বঙ্গীয় গ্রন্থের ভূমিকা অদ্যাবধি অধিকাংশত এমনই বৈদ্যালয়িক রচনার ন্যায়। তাহাকে উপেক্ষা করিতে পারিলেই বৃহত্তর মঙ্গল। কিন্তু এই গ্রন্থ সংকলনে এমন একটি বিবেচনার পরিচয় দেখিলাম যে তাহাকে উপেক্ষা করিতে পারিতেছি না। চিরকাল বাংলা সাহিত্যের বাঘা বাঘা আলোচকেরা যে ‘নিমগাছ’কে ছোটগল্প বলিয়া আসিলেন তাহা এই গ্রন্থে কবিতা হিসাবে সংকলিত! বিস্ময় এই কারণে নয় যে ‘নিমগাছ’কে কাহারও কবিতা বলিয়া মনে হইতে পারে না। বিস্ময় এ কারণে যে কোথাও বিন্দুবিসর্গ যুক্তির অবতারণা না-করিয়া ছোটগল্প হিসাবে পরিচিত রচনাটিকে কবিতা হিসাবে ধরিয়া লওয়া হইয়াছে। বিশেষত, বনফুলের বিশিষ্ট ছোটগল্পরীতিটিকে বিশ্লেষণ করিতে এতকাল যে গল্পটির উদাহরণ দেওয়া হইয়াছে সেই ‘নিমগাছ’-এর ছোটগল্পত্ব অস্বীকার করা যায় কী করিয়া তাহা দুর্বোধ্য। এই পর্যন্ত লিখিয়াছি, অকস্মাৎ বিড়ালটি ফ্যাঁচ করিয়া হাসিয়া বলিল, বুঝিলে না বাপু, ছোটগল্প-এ ‘ব’ কই, উহা ত ‘কবিতা’য়! |
|
|
|
|
|