শতবর্ষ পেরিয়ে যাওয়া বিখ্যাত চিত্রশিল্পী ক্ষিতীন্দ্রনাথ মজুমদারকে নিয়ে সাধন দাসের লেখা ‘মনে রাখেনি কেউ’ শীর্ষক চিঠিটি গত ২৮ জুলাই প্রকাশিত হয়েছে। ওই প্রসঙ্গে কয়েকটি তথ্য সংযোজন করতে চাই। প্রথমত, ক্ষিতীন্দ্রনাথ স্মরণে ‘আকাশবাণী মুর্শিদাবাদ’ থেকে ইতিমধ্যেই একটি কথিকা প্রচারিত হয়েছে। দ্বিতীয়ত, মুর্শিদাবাদ থেকে প্রকাশিত নবিউল ইসলাম সম্পাদিত ‘প্রদর্শিকা’ পত্রিকায় ক্ষিতীন্দ্রনাথ সর্ম্পকে ‘শতবার্ষিকী শ্রদ্ধাঞ্জলি’ শীর্ষক অধ্যাপক শ্যামল রায়ের লেখা প্রবন্ধ রয়েছে। তৃতীয়ত, ওই লেখকেরই লেখা ‘মা মাটি মানুষের মুর্শিদাবাদ’ গ্রন্থে ক্ষিতীন্দ্রনাথ সর্ম্পকে একটি প্রবন্ধ রয়েছে। ফলে ক্ষিতীন্দ্রনাথকে ‘কেউ মনে রাখেনি’ বলা বোধহয় সমীচিন নয়। তবে সাধনবাবুর ওই পত্রটি ক্ষিতীন্দ্রনাথ সর্ম্পকে অন্য বিষয়ে আমাদের সমৃদ্ধ করেছে।
সমীর ঘোষ, জিয়াগঞ্জ
|
দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের জন্মের সার্ধশতবর্ষ এ বছরের ১৯ জুলাই থেকে শুরু করে সারা বছরব্যাপী উদযাপন করার কর্মসূচি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর গ্রহণ করেছে। এমনকী গত ১৯ জুলাই সন্ধ্যায় রবীন্দ্রসদনে ‘ধনধান্যে দিবস’-এর অনুষ্ঠান থেকে কবির স্মৃতির উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী দক্ষিণ কলকাতার আলিপুরে তিন একর জমিতে ‘ধনধান্য’ নামের একটি অত্যাধুনিক অডিটোরিয়ামের শিলান্যাস করেন। নদিয়াবাসী হিসাবে আমরা এতে আনন্দিত ও আহ্লাদিতও। তবুও একটি কথা না বললেই নয়। তা হল, কবি ও নাট্যকারের জন্মের দেড়শো বছর পূর্তির পরেও কৃষ্ণনগর স্টেশন লাগোয়া তাঁর জন্মভিটেটি নোংরা আর্বজনাময় হয়েই রইল। আমার প্রশ্ন, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের অনুগামীরা এটি ভুললেন কি করে? অবিলম্বে কবির জন্মভিটের সংস্কার চাই।
নীলাদ্রিশেখর সরকার, বেথুয়াডহরি |