খেলা
ব্যাডমিন্টনে সম্ভাবনা
রা দু’জনেই হাওড়ার। এক জন দিশান্ত দেবনাথ। দ্বিতীয় জন মণিদীপা দে। সম্প্রতি বেতড় ব্যায়াম সমিতি আয়োজিত অল বেঙ্গল জুনিয়র স্টেট র‌্যাঙ্কিং ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতায় নিজ নিজ বিভাগে দু’জনেই জিতে নিল সেরার খেতাব। অন্য দিকে, দ্বিমুকুট জয় করে নজর কেড়ে নিল পশ্চিম কলকাতার মেয়ে অনুরিয়া দাস।
ফুটবল, ক্রিকেটে এগিয়ে থাকলেও ব্যাডমিন্টন চর্চায় হাওড়ার তেমন সুনাম নেই। দু’তিনটি ক্লাবে নিয়মিত চর্চা হয়। এরই মধ্যেই দিশান্ত, মণিদীপার মতো দু’চার জন খুদে প্রতিশ্রুতি জাগাচ্ছে। চ্যাটার্জিহাট যুব সংগঠনীতে ব্যাডমিন্টন শেখে দিশান্ত। ষষ্ঠ শ্রেণির এই ছাত্রটি অনূর্ধ্ব বালক বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বলল, “গত বছর এখানে রানার্স হয়েছিলাম। এ বার চ্যাম্পিয়ন হতে পেরে ভাল লাগছে।” রাজ্য র‌্যাঙ্কিয়ে এক নম্বর জায়গায় থাকা দিশান্ত এর আগে রায়গঞ্জ এবং কোন্ননগরে দু’টি র‌্যাঙ্কিং প্রতিযোগিতায় নেমে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
অনূর্ধ্ব ১৩ বালিকা বিভাগের চ্যাম্পিয়ন মণিদীপা ব্যাডমিন্টন খেলে বেতড় ব্যায়াম সমিতিতে। রাজ্য র‌্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বরে থাকা সপ্তম শ্রেণির এই ছাত্রীটি এ বছরই প্রথম জাতীয় ব্যাডমিন্টনে নেমে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছায়। হুগলির রিয়া ঘোষকে ২১-১৭, ২১-১৪ গেমে হারিয়ে মণিদীপা বলল, “আমি জাতীয় সেরা হতে চাই।” হাওড়ার আর এক প্রতিযোগী অনন্যা টিগ্গা সাব জুনিয়র গার্লস অনূর্ধ্ব ১৫ বিভাগের ফাইনালে হেরে যায় উত্তর কলকাতার ঈপ্সিতা সিংহের কাছে। ছেলেদের এই বিভাগে রাজ্য র‌্যাঙ্কিংয়ে প্রথম ও জাতীয় র‌্যাঙ্কিংয়ে তৃতীয় স্থানে থাকা পশ্চিম কলকাতার অরিন্তপ দাশগুপ্ত হারিয়ে দেয় পূর্ব কলকাতার সৌম্যদীপ্ত বসুকে।
এ বছর দুর্গাপুরের পরে হাওড়াতেও দ্বিমুকুট জয় করলেন পশ্চিম কলকাতার অনুরিয়া দাস। অনূর্ধ্ব ১৭-র জুনিয়র গার্লসে তারই জেলার ঈপ্সিতা সিংহকে হরানোর পর চেতলা গার্লস হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্রীটি অনূর্ধ্ব ১৯ বিভাগে হুগলির রূপসা ঘোষকে ২১-১৩, ২১-১৫ গেমে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হন। লেক গার্ডেন্স মিলন সঙ্ঘে কোচ সোমেন ভট্টাচার্যর কাছে অনুশীলন করেন। অনূর্ধ্ব ১৯-এর রাজ্য চ্যাম্পিয়ন অনুরিয়ার কথায়, “এ বার জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হতে চাই।” ছেলেদের অনূর্ধ্ব ১৭ এবং ১৯-এর সেরা খেতাব জিতেছেন যথাক্রমে শৌভিক ঘোষ ও ত্রিনাঙ্কুর নাগ। দু’জনেই উত্তর ২৪ পরগনার। নাগের বাজারের ছেলে ত্রিনাঙ্কুর রাজ্য চ্যাম্পিয়ন। ভারতীয় দলের হয়ে মরিশাস সফরে গিয়েছেন।
হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, মালদহ, দুই মেদিনীপুর, জলপাইগুড়ি-সহ ১৬টি জেলার ১১০ জন প্রতিযোগীকে নিয়ে শুরু হয়েছিল সাত দিনের এই প্রতিযোগিতা। সূচনা করেন রাজ্যের কৃষি বিপণনমন্ত্রী অরূপ রায়। ফাইনালে ওয়েস্ট বেঙ্গল ব্যাডমিন্টন অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শেখর বিশ্বাস, স্থানীয় বিধায়ক ব্রজমোহন মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। আয়োজক ক্লাবের সভাপতি দেবব্রত কুণ্ডু বললেন, “ক্লাবের মিনি ইন্ডোর স্পোর্টস কমপ্লেক্সে দ্বিতীয় বার এই র‌্যাঙ্কিং টুর্নামেন্ট হল। ব্যাডমিন্টনে পর পর দু’বার জেলার সেরা হয়েছি আমরা। স্থায়ী ভাল কোচের প্রয়োজন। ম্যাটও দরকার। টাকার অভাবে হচ্ছে না।”

ছবি: শঙ্কর নাগ দাস




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.