পুর হাসপাতাল মাতৃসদনে গর্ভপাত এবং বন্ধ্যাকরণ ক্ষেত্রে আশা বর্মনের চিকিৎসার বিস্তারিত অভিযুক্ত চিকিৎসককে জানাতে বললেন পুর কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার চিঠি পাঠিয়ে ৭ দিনের মধ্যে তাঁকে এ ব্যাপারে জানাতে বলা হয়েছে। যদিও গত ৮ অগস্ট থেকে তিনি ছুটিতে রয়েছেন। মঙ্গলবার মাতৃসদনের ওই চিকিৎসক অর্ণব বর্মার কাজে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। তবে এ দিন তিনি যোগ দেননি। আরও কয়েকদিন পর কাজে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন। পাশাপাশি ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের আর্জি জানিয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছেও এ দিন চিঠি পাঠিয়েছেন পুর কর্তৃপক্ষ।
মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত বলেন, “মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে চিঠি পাঠিয়ে তদন্তের বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে। আশাদেবীর চিকিৎসার ব্যাপারেও বিস্তারিত জানাতে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসককে জানানো হয়েছে।” মাতৃসদনে চিকিৎসা করাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ায় চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। পুর কর্তৃপক্ষের তরফে কেউ এখনও তাঁদের বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা না জানানোয় ক্ষোভ বাড়ছে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে। ডেপুটি মেয়র রঞ্জন শীলশর্মা এবং স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ মৈত্রেয়ী চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে চিকিৎসককে আড়াল করার চেষ্টার অভিযোগ ওঠায় তা খতিয়ে দেখার দাবিও উঠেছে।
মাতৃসদনে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠলে ডেপুটি মেয়র এবং স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ জানিয়েছিলেন, চিকিৎসায় কোনও সমস্যা হয়নি। জরুরি প্রয়োজনে বিভিন্ন পরীক্ষা করানোর দরকার হতে পারে। সেই পরিকাঠামো মাতৃসদনে নেই বলেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক অর্ণববাবু আশাদেবীকে রেফার করেছেন। অথচ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে জানা যায় অন্ত্রে কয়েক জায়গায় ফুটো হয়ে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। মৃতার স্বামী উত্তম বর্মন দাবি করেন, গর্ভপাত করাতে গিয়ে চিকিৎসক বেশি কাটাছেঁড়া করেছেন বলে তাঁদের কাছে স্বীকারও করেছিলেন। চিকিৎসক অর্ণববাবু অবশ্য এ ব্যাপারে কিছু বলতে চাননি। তিনি বলেন, “যা জানানোর আগেই বলেছি। নতুন কিছু বলতে চাই না। দিন কয়েক পর কাজে যোগ দেব।” |