সিপিএমের বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক তথা রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অমিয় পাত্রের গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ হয়নি। মঙ্গলবার তালড্যাংরার চকশ্যামপুর এলাকার জ্ঞানেন্দ্রপ্রসাদ উচ্চবিদ্যালয়ের ভোটে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে গন্ডগোল বাধে সিপিএম-তৃণমূলের মধ্যে। সেই সময় কিছু তৃণমূল সমর্থক অমিয়বাবুর গাড়ি ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ ওঠে। বাঁকুড়া পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার বলেন, “এ দিন বিকেল পর্যন্ত কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। ঘটনাস্থলে আগে থেকেই পুলিশ মোতায়েন থাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি।” |
অমিয় পাত্রের অভিযোগ, “তৃণমূলের গুণ্ডামির জেরে মনোনয়ন জমা দিতে পারল না আমদের প্রার্থীরা। মনোনয়ন জমা দিলে আমরাই জয়ী হতাম। তাই বোমাবাজি ও আমার গাড়ি ভাঙচুর করে মনোনয়ন জমা দেওয়া ভেস্তে দিল।” যদিও পুলিশ সুপারের দাবি, “ঘটনাস্থালে কোনও বোমাবাজি হয়নি।” তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি অরূপ খাঁ বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের দলের কোনও সম্পর্ক নেই। সিপিএমের সাজানো নাটক।”
এই ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার দিকে আঙুল তুলেছেন দলের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু। তাঁর অভিযোগ, পাশেই একটি গ্রামে এলাকা ঘিরে দুষ্কৃতীরা অমিয়বাবুকে আটকে রাখলেও পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকায় ছিল। এক বিবৃতিতে বিমানবাবু বলেছেন, ‘যে ভাবে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এই ধরনের আক্রমণের ঘটনা ঘটছে, দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব বাড়ছে, বিঘ্নিত হচ্ছে রাজ্যে গণতন্ত্র ও শান্তির পরিবেশ, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। যাঁরা প্রশাসনের উচ্চ স্তরে আছেন, তাঁদের এই ঘটনাগুলো ছোট করে দেখানোর প্রবণতা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করছে। দুষ্কৃতীরা উৎসাহিত হচ্ছে’। |