বুদ্ধের কনভয়ে বিস্ফোরণের মামলায় ছত্রধরের জামিন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের কনভয়ে মাইন বিস্ফোরণের মামলায় জামিন পেলেন জনগণের কমিটির নেতা ছত্রধর মাহাতো। মঙ্গলবার মেদিনীপুর আদালত তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে। আরও কয়েকটি মামলায় অভিযুক্ত হওয়ায় জেলেই থাকতে হবে ছত্রধরকে।
২০০৮ সালের ২ নভেম্বর শালবনিতে জিন্দলদের ইস্পাত প্রকল্পের শিল্যান্যাস করতে এসেছিলেন বুদ্ধদেববাবু। অনুষ্ঠান সেরে ফেরার পথে মেদিনীপুর শহর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে কলাইচণ্ডী খালের কাছে তাঁর কনভয়ে মাইন বিস্ফোরণ হয়। রাস্তার এক পাশে মাইনটি পোঁতা ছিল। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ওই দিন শালবনিতে এসেছিলেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় ইস্পাতমন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান, ওই মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী জিতিন প্রসাদ, রাজ্যের প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রী নিরূপম সেন প্রমুখ। তাঁরা সকলেই নিরাপদে থাকলেও পুলিশ গাড়িতে থাকা ৬ পুলিশকর্মী-সহ এক পথচারী জখম হয়েছিলেন। |
|
লোডশেডিং। বন্ধ পাখা, চলছে না শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রও। মঙ্গলবার একটি অনুষ্ঠানে
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ও অন্য সিপিএম নেতারা। ছবি: পি টি আই। |
এরপরই ওই ঘটনায় জড়িতদের খোঁজে লালগড়ের ছোটপেলিয়ায় হানা দেয় পুলিশ। তল্লাশি চালানোর নামে অত্যাচারের অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। ছিতামণি মুর্মু-সহ কয়েকজন আদিবাসী মহিলাকে নির্যাতন করা হয় বলেও অভিযোগ। এই অত্যাচারের ঘটনাকে সামনে রেখেই আন্দোলন শুরু হয়ে জঙ্গলমহলে। গড়ে ওঠে জনগণের কমিটি। ২০০৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর লালগড়ের বীরকাঁড় থেকে ছত্রধরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে প্রায় ২৫টি মামলা রয়েছে। ইউএপিএ ধারাতেও মামলা রয়েছে। মেদিনীপুর আদালতেই এই সব মামলার বিচার চলছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ে মাইন বিস্ফোরণের মামলায় ছত্রধরকে যুক্ত করার জন্য ২০১১ সালের ১৯ নভেম্বর মেদিনীপুর আদালতে আবেদন জানায় পুলিশ। ২১ নভেম্বর তা মঞ্জুর হয়।
এই দিন মেদিনীপুর আদালতে এই মামলায় ছত্রধরের জামিনের আবেদন জানান আসামীপক্ষের আইনজীবী শঙ্খশুভ্র দাস। পরে সরকারপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ নাজিম হাবিবের বক্তব্য শুনে ভারপ্রাপ্ত সিজেএম সুজিত বন্দ্যোপাধ্যায় ওই আবেদন মঞ্জুর করেন। আদালত সূত্রে খবর, এখনও কনভয়ে বিস্ফোরণের মামলার চার্জশিট হয়নি। সেই নিরিখেই জামিন দেওয়া হয়েছে ছত্রধরকে। |
|