টুকরো খবর
অঝোর বৃষ্টিধারায় ভাসল রাঁচি শহর
চব্বিশ ঘণ্টায় ১২২.৫ মিলিমিটার বৃষ্টিতে হাবুডুবু অবস্থা ঝাড়খণ্ডের রাজধানী শহর রাঁচির। শতাব্দী প্রাচীন এই শহরের বিস্তীর্ণ এলাকাই জলমগ্ন। জলে ভাসছে রাজ্য সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ‘সূচনা ভবন’ লাগোয়া রাস্তার একাংশ। হাঁটু জল জমে রয়েছে মেন রোডের বেশ কিছু এলাকায়। থারপাকনা, লোহারকোচা বস্তি, ডেলাটোলি, কোকর-সহ রাঁচি শহরের বহু জায়গাতেই এক ফুট থেকে দেড় ফুট পর্যন্ত জল দাঁড়িয়ে আছে। কাঁচা নর্দমা উপচে রাস্তায় ছড়িয়ে পড়েছে নোংরা আবর্জনা। জলবেষ্টিত এলাকায় স্বাভাবিক জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। রাজধানী শহরে রূপান্তরিত হলেও রাঁচিতে সুষ্ঠু নিকাশি ব্যবস্থা এখনও গড়ে ওঠেনি। তার উপরে পুর-আইন অগ্রাহ্য করে শহরের যত্রযত্র অবৈধ নির্মাণ এই শহরের বিপর্যস্ত নিকাশি ব্যবস্থাকে আরও বিপজ্জনক করে তুলেছে বলে অভিমত প্রবীণ বাসিন্দা তথা রাঁচির প্রাক্তন কাউন্সিলর বরুণ রায়-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের। নিকাশি ব্যবস্থা যে বেহাল তা মানছেন রাঁচি পুর নিগমের কর্তারাও। স্বয়ং মেয়র রমা খালখো অকপটে আজ কবুল করেন, রাঁচি শহরে সুষ্ঠু কোনও নিকাশি ব্যবস্থা এখনও গড়ে ওঠেনি। মেয়র অবশ্য অভিযোগের তির ছুড়েছেন রাজ্য সরকারের দিকেই। মেয়র বলেন, “রাঁচির নিকাশি ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ক’বছর আগেই রাজ্য সরকারকে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করেছিল। কিন্তু রাজ্য সরকার ওই টাকা এখনও কাজে লাগাতে পারেনি। তাই গড়ে ওঠেনি শহরের সুষ্ঠু নিকাশি ব্যবস্থা।” পাশাপাশি অবৈধ নির্মাণের জন্য শহরের অনেক জায়গায় নিকাশি নালা বিপর্যস্ত হওয়ার অভিযোগও এ দিন মেনে নিয়েছেন মেয়র। রাঁচির আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা জ্ঞানেন্দ্রকুমার মোহান্তি জনিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় রাঁচি পুর এলাকায় ১২২.৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ভারী না-হলেও আগামী ২৪ ঘণ্টায়ও শহরে মাঝারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।

মন্ত্রকে মুকুলের অনুপস্থিতি নিয়ে সংসদে সরব শরদ
রেলমন্ত্রী মুকুল রায় দীর্ঘদিন ধরেই লোকসভায় অনুপস্থিত। এই অনুপস্থিতি নিয়ে দেশের রাজনীতির কারবারিদের মধ্যে ইতিমধ্যেই নানা আলোচনা হয়েছে। এ বার খাস লোকসভাতেই রেলমন্ত্রীর দীর্ঘ অনুপস্থিতির বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠল। প্রশ্ন তুললেন জেডিইউ-এর প্রধান শরদ যাদব। তিনি বলেন, রেলের অবস্থা এতটাই খারাপ যে দফতরের কাজে অবিলম্বে মন্ত্রীর নজর দেওয়া উচিত। কিন্তু তার পরিবর্তে তিনি দফতরে উপস্থিতই থাকছেন না। শুধু তা-ই নয়, তাঁর আর্জি, “আমি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুরোধ করছি, দলের কাজের জন্য শনি ও রবিবার আপনি মুকুলের সঙ্গে দেখা করুন। বাকি সময় রেলমন্ত্রীকে মন্ত্রকে থাকতে দিন।” আজ সংসদে শরদ বলেন, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বহু এলাকাতেই রেললাইনের হাল খুব খারাপ। ফলে যাঁরা ওই সব এলাকা দিয়ে যাতায়াত করেন, তাঁদের জীবনও বিপন্ন। এই অবস্থায় রেলমন্ত্রীর দীর্ঘ অনুপস্থিতি পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। যাত্রী নিরাপত্তার বিষয়টি যেখানে জড়িত, সেখানে মন্ত্রী কী ভাবে দিনের পর দিন মন্ত্রকে গরহাজির থাকেন, সেই প্রশ্নও তোলেন শরদ। মার্চে দীনেশ ত্রিবেদীর পদত্যাগের পর মন্ত্রকের দায়িত্ব নেন মুকুল। কিন্তু সংসদের অধিবেশন চলাকালীন তাঁকে দিল্লিতে কদাচিৎ দেখা গিয়েছে বলে সমালোচনা হয়েছে। মন্ত্রিসভার বেশির ভাগ বৈঠকেও অনুপস্থিত থেকেছেন মুকুল। তা নিয়েও সমালোচনা কম হয়নি। ৬ জুন পরিকাঠামোর সঙ্গে যুক্ত মন্ত্রীদের নিয়ে একটি বিশেষ বৈঠক ডেকেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সে বৈঠকে রেল মন্ত্রক নিয়েও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু সে বৈঠকেও হাজির হননি মুকুল। সংসদে জেডিইউ-এর সাংসদরা আজ স্লোগান দিতে থাকেন, ‘রেলমন্ত্রী কোথায়?’ আর তারই মধ্যে জেডিইউ প্রধান মজা করে বলেন, “রেলমন্ত্রীকে খবর দেবেন, সকাল-সন্ধে ওঁকে আমাদের মনে পড়ে।”

এ বার শান্তি আলোচনা চায় একাধিক জঙ্গি সংগঠন
শান্তি আলোচনা শুরু করার জন্য দিল্লিতে বন্দি থাকা মণিপুরি জঙ্গি নেতা নাওরেম ব্রজেন ওরফে সিটি মেইতেইকে উড়িয়ে নিয়ে এল ইম্ফল পুলিশ। ব্রজেন কেসিপি (সিটি মেইতেই) গোষ্ঠীর প্রধান। ব্রজেনের সংগঠন ছাড়াও কেসিপির আরও ৪ গোষ্ঠী শান্তি আলোচনায় বসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। স্বাধীনতা দিবসের আগে মণিপুরের ৪ জঙ্গি সংগঠন ও মেঘালয়ের জিএনএলএ শান্তির ইচ্ছা প্রকাশ ও অসমে কেপিএলটি সংগঠনের ২৭ জঙ্গির আত্মসমর্পণ ৩ রাজ্যের কাছে স্বস্তির খবর। মণিপুরে কেসিপির ৫টি গোষ্ঠী তাইবাংগাংবা, এম সি, লামফেল, সিটি মেইতেই ও পাখাংলাকপার শীর্ষ নেতারা সম্প্রতি, দিল্লিতে কেন্দ্রীয় যুগ্ম স্বরাষ্ট্র সচিব শম্ভু সিংহ ও রাজ্যের প্রধান সচিব সুরেশ বাবুর সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে জঙ্গিদের শিবির গড়া নিয়ে কথা হয়েছে। গোষ্ঠীগুলির সদস্য সংখ্যা ও অস্ত্র সম্ভার নিয়ে আলোচনা হয়নি। ৪ গোষ্ঠীর নেতারা রাজ্যের বাইরে শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনায় ব্যস্ত। কেসিপি (এম সি)-র প্রধান লালহেইবাকে সাইজোয়া জেল থেকে জামিনে ছাড়িয়ে আসাম রাইফেল্স শিবিরে রেখে দেওয়া হয়েছে। শনিবার দিল্লি থেকে উড়িয়ে আনা হয় ব্রজেনকেও। ২০১০-এ লাল্লুম্বার নেতৃত্বে কেসিপি (এল) সংঘর্ষবিরতি চুক্তি করেছে। তবে তাদের সঙ্গে শান্তি আলোচনা শুরু হয়নি। কুকি ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ও ইউনাইটেড পিপল্স ফ্রন্টের ছত্রছায়ায় ২০ কুকি জঙ্গি গোষ্ঠী সংঘর্ষবিরতিতে রয়েছে। তাদের সঙ্গেও শান্তি-বৈঠক শুরু করবে দিল্লি।

মাওবাদী হানা নিয়ে সতর্কবার্তা কেন্দ্রের
শুধু বিদেশি মদতপুষ্ট জঙ্গি নয়, মাওবাদীরাও স্বাধীনতা দিবসে হামলা চালাতে পারে। আজ পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের ন’টি মাওবাদী অধ্যুষিত রাজ্যকে এই সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, আগামী কাল কালা দিবসের ডাক দিয়েছে সিপিআই (মাওবাদী)। নিজেদের প্রভাবাধীন এলাকায় মাওবাদীরা কালো পতাকা তুলবে। সেই সঙ্গে সরকারি দফতর, রেল স্টেশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো, স্বাধীনতা দিবস উযযাপনের অনুষ্ঠান ও অন্যান্য ভিড়ে ঠাসা এলাকায় তারা নাশকতার চেষ্টা চালাতে পারে বলেও আশঙ্কা করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করতে মাওবাদী-অধ্যুষিত রাজ্য সরকারগুলিকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

কিষেণজি নিধনে শৌর্য পদক দুই জওয়ানকে
জঙ্গলমহলে শীর্ষস্থানীয় মাওবাদী নেতা কিষেণজির বিরুদ্ধে যৌথ অভিযানে সাফল্য ও সাহসের স্বীকৃতি হিসেবে সিআরপি-র দুই জওয়ান, অ্যাসিস্ট্যান্ট কম্যান্ড্যান্ট নগেন্দ্র সিংহ এবং বিনোজ পি জোসেফকে শৌর্য চক্রের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। সাহসিকতার জন্য সেনাবাহিনীতে অন্যতম সেরা সম্মান হিসেবে এই শৌর্য পদক দেওয়া হয়। মঙ্গলবার, স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে নগেন্দ্র ও জোসেফকে ওই সম্মান দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। পরে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় তাঁদের হাতে ওই শৌর্য পদক তুলে দেবেন। শৌর্য চক্রের জন্য মনোনীত হওয়ার খবর পেয়ে নগেন্দ্র এ দিন বলেন, “কিষেণজির মতো দুর্ধর্ষ মাওবাদী নেতাকে দীর্ঘদিন ধরে খোঁজা হচ্ছিল। জঙ্গলে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে সাফল্য একটা বড় ব্যাপার।”

ফোনে টাকা চেয়ে হুমকি, আতঙ্ক করিমগঞ্জে
করিমগঞ্জ জেলার রামকৃষ্ণনগর থানা এলাকায় সমাজবিরোধী দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে। স্কুলশিক্ষক সানন্দ দাসকে অপহরণ ও হত্যার পর গত দেড় মাসে দিনে দুষ্কৃতীরা মোবাইল ফোনে হুমকি দিয়ে বেশ কয়েজনের কাছে মোটা টাকা দাবি করেছে বলে অভিযোগ। এর মধ্যে দরগারবন্দের ব্যবসায়ী সজল দাস ও আনন্দপুরের শিক্ষক আয়াজ আলি পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। যে সব মোবাইল ফোন থেকে হুমকি দেওয়া হয়েছে, সেগুলিরও উল্লেখ করা হয়েছে এজাহারে। আয়াজ আলি জানান, তাঁর কাছে দুই লক্ষ টাকা দাবি করা হয়েছে। দিতে না-পারলে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয়েছে। সজল দাসকে বলা হয়েছে পুলিশে খবর না-দিতে। দিলে সানন্দ দাসের অবস্থা তাঁরও হবে বলে হুঁশিয়ার করে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। পুলিশ মোবাইল ফোনের কললিস্ট-এর সূত্র ধরে কাল গভীর রাতে ফারুক আহমেদ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। পুলিশের খাতায় সে ডাকাত হিসেবে পরিচিত। কামকৃষ্ণনগর থানার ওসি পি রাজবংশী জানিয়েছেন, ফারুক মোবাইলে অর্থ দাবির কথা স্বীকার করে নিয়েছে। এর আগে ২০ জুন স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে অপহৃত হয়েছিলেন তানিরবন্দ নজরুল ইসলাম নিম্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সানন্দ দাস। পরে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় পুলিশ মোট সাত জনকে গ্রেফতার করলেও এলাকাবাসীদের দাবি, আসল খুনিরা ধরা পড়েনি।

দাউদ কি বন্ধু, সঞ্জয়কে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের
দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্নের মুখে পড়লেন সঞ্জয় দত্ত। তাঁর সঙ্গে অপরাধ জগতের সম্পর্ক কতটা গভীর তা জানতে চেয়েছে শীর্ষ আদালত। ১৯৯৩-এ মুম্বই বিস্ফোরণ মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন সঞ্জয়। টাডা আইনের কবল থেকে রেহাই পেলেও অস্ত্র আইনে নিম্ন আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন তিনি। সিবিআইয়ের বক্তব্য, সঞ্জয়ের সঙ্গে দাউদ ও তার সহযোগীদের সম্পর্ক রয়েছে। তাদের কাছ থেকে অস্ত্রশস্ত্র কিনেছিলেন তিনি। নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানান সঞ্জয়। আজ সেই আর্জির চূড়ান্ত শুনানি শুরু হয়েছে। দাউদ-ঘনিষ্ঠতার কথা প্রকারান্তরে স্বীকার করে নিয়েছেন সঞ্জয়ের আইনজীবী হরিশ সালভে। তিনি বলেন, মুম্বই বিস্ফোরণের আগে দুবাইয়ে দাউদের একটি নৈশভোজে যোগ দিয়েছিলেন সঞ্জয়। সালভে আরও বলেন, মুম্বই দাঙ্গার সময়ে সঞ্জয়ের পরিবারকে হুমকি দেওয়া হয়। তা-ই তিনটি রাইফেল কেনেন। তবে দু’টি রাইফেল ও গ্রেনেড সে দিনই ফেরত দেন। যে এ কে-৫৬ রাইফেল তাঁর কাছে ছিল সেটিও পরে নষ্ট করে ফেলা হয়। সঞ্জয়ের কাছে অপরাধ জগতের কাছ থেকে নেওয়া একটি পিস্তলও ছিল বলে জানিয়েছে সিবিআই। সালভে বলেন, ওটি মুম্বই দাঙ্গার আগে কেনা।

হেরোইন-সহ ধৃত তিন জন
হেরোইন-সহ দুইজনকে গ্রেফতার করল বিএসএফ। তাদের কাছ থেকে ৬৪ গ্রাম হেরোইন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। গত কয়েক দিনে এই নিয়ে তিন জনকে মাদক চালানের দায়ে ধরা হল। তিন জনই আদতে মায়ানমারের নাগরিক। বিএসএফ-এর কাছাড়-মিজোরাম ফ্রন্টিয়ারের এক সূত্র জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ৭ অগস্ট তাঁরা শিলচরে অভিযান চালান। সে সময় ৩০ গ্রাম হেরোইন-সহ মায়ানমারের এক নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জেরার সূত্র ধরে রবিবার মিজোরাম পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে আইজলে খোঁজ মেলে লালবিয়াটসন ও লালবিয়াটুঙ্গা নামে মায়ানমারের আরও দুই নাগরিকের। তাদের কাছে মেলে ৬৪ গ্রাম হেরোইন।

আদালত থেকে বিতাড়িত আইনজীবী
বিচারপতির নির্দেশে বিচারকক্ষ থেকে আইনজীবীকে জোর করে বের করে নিয়ে গেলেন নিরাপত্তাকর্মীরা। এই বিরল দৃশ্যের সাক্ষী হয়ে রইল সুপ্রিম কোর্ট। গুজরাতের রাজ্যপাল কমলা বেনিওয়ালকে সরানোর দাবি নিয়ে এক জনস্বার্থ মামলার সওয়াল করছিলেন আইনজীবী অশোক পাণ্ডে। দুই বিচারপতি এইচ এল দাত্তু এবং এ কে দাভেকে নিয়ে গঠিত নিয়ে গঠিত বেঞ্চ তাঁকে জানিয়ে দেয় মামলার আবেদনটি খারিজ করা হচ্ছে। তুচ্ছ যুক্তিতে মামলা করার শাস্তি হিসেবে ২৫ হাজার টাকা জরিমানারও নির্দেশ দেয় আদালত। তার পরেও পাণ্ডে প্রায় এক ঘণ্টা সওয়াল করেন। বিচারপতিরা ধৈর্যচ্যুত হয়ে পাণ্ডের উদ্দেশে বলেন, “উনি আদালতের মূল্যবান সময় নষ্ট করছেন।” তাঁরা নিরাপত্তাকর্মীদের ডেকে পাণ্ডেকে বিচারকক্ষ থেকে বের করে দিতে বলেন।

আলোকচিত্র প্রদর্শনী
প্রকৃতি নিজেই এক শিল্পী। আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে থাকলেও হামেশাই নজর এড়িয়ে যায় এমন সৃষ্টিগুলি। প্রকৃতির নিজের হাতে গড়া এমন অজস্র সৃষ্টিই গত দু’ দশক ধরে ক্যামেরায় ধরে রেখেছেন আগরতলার আলোকচিত্রী বাপি রায়চৌধুরী। পেশায় অভিজ্ঞ এই চিত্র সাংবাদিকের এমন ব্যতিক্রমী কিছু ছবি দেখার সুযোগ পাচ্ছেন আগরতলাবাসী। আগামী শুক্রবার আগরতলা সিটি সেন্টারে শুরু হবে বাপির ২৬টি ছবি নিয়ে একক প্রদর্শনী ‘স্কালপ্ড বাই নেচার’। প্রদর্শনী চলবে ২১ অগস্ট অবধি। প্রতিদিন বিকাল ৫টা থেকে রাত্রি ৮টা পর্যন্ত। প্রদর্শনীর শুভ উদ্বোধন করবেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।

এটিএম ভেঙে টাকা লুঠ জামশেদপুরে
এটিএমের সুরক্ষা ব্যবস্থাও নিশ্ছিদ্র থাকছে না। কাল রাতে জামশেদপুরের বারিডিহি বাজারে দুষ্কৃতীরা চড়াও হয় রাষ্ট্রায়ত্ত একটি ব্যাঙ্কের এটিএম কাউন্টারে। রীতিমতো তৈরি হয়েই এসেছিল তারা। পুলিশ জানিয়েছে, কাউন্টারে ঢুকে এটিএম মেশিন ভেঙে ফেলে দুষ্কৃতীরা। তারপর ওই কাউন্টারে যত টাকা ছিল সবটাই তারা লুঠ করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ আসে। দুষ্কৃতীদের হদিশ পুলিশ এখনও পায়নি।

ডাকাতিতে বাধা, গুলি
ডাকাতিতে বাধা দিতে গেলে বেঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি আর্থিক সংস্থার ম্যানেজারকে গুলি করে দুই ডাকাত। আহত ম্যানেজারকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তিনি বিপন্মুক্ত বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.