পুলিশ-ব্যান্ডের ব্লকে বসে ফুলের আলপনা কী ভাবে করা হবে, কারিগরদের নির্দেশ দিচ্ছিলেন মল্লিকঘাট ফুলবাজারের ব্যবসায়ী শচীন হালদার। শচীন জানালেন, শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে। ১০০ কেজি রজনীগন্ধা, ৬০ কেজি গাঁদা, ৬০০-র মতো গোলাপ, ১৫ কেজি ঝাউপাতা দিয়ে সাজানো হচ্ছে পুরো অনুষ্ঠান। থাকছে নানা ধরনের বাহারি ছোট ছোট গাছও। শচীন বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর স্যালুট বেস-এর পিছনে ফুল দিয়ে ভারতের পতাকা করা হবে। মঞ্চের সামনে থাকবে ফুলের আলপনা।”
রেড রোডের দু’দিকে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে ব্লক অনুযায়ী। ভিআইপি ব্লক-সহ মোট ব্লক থাকছে সাতটি। সব মিলিয়ে প্রায় ৫৪০০টি বসার আসন থাকছে। মুখ্যমন্ত্রীর স্যালুট মঞ্চের ঠিক উল্টো দিকেই থাকছে পুলিশ-ব্যান্ডের স্ট্যান্ড। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বার পুলিশ-ব্যান্ড নানা রকম অভিনব আয়োজন করছে। পুলিশের এক আধিকারিক জানালেন, তাঁদের ট্যাবলোতে কোনও সিডি বাজানো হবে না। গান-বাজনার ‘লাইভ শো’ যেমন হয়, সে রকমই অনুষ্ঠান করা হবে ট্যাবলোতে। পুরো রেড রোডে মাইকের ব্যবস্থা এমন ভাবে করা হচ্ছে যে, এই লাইভ-ব্যান্ড সব কোণ থেকেই স্পষ্ট ভাবে শোনা যাবে। কলকাতা পুলিশের নিজস্ব অকেস্ট্রার দল মহড়া দিয়ে তৈরি হয়েছে। কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে বিপর্যয় মোকাবিলা সংক্রান্ত একটি ট্যাবলোও থাকবে বলে জানালেন পুলিশের পদস্থ আধিকারিকেরা। |
১৫ অগস্ট বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকেই। তাই হঠাৎ বৃষ্টি এসে গেলেও মুখ্যমন্ত্রী যাতে স্যালুট মঞ্চে দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন, তার জন্য রয়েছে বিশেষ ধরনের একটি শেড। মুখ্যমন্ত্রীর স্যালুট মঞ্চের বাঁ দিকে রয়েছে মন্ত্রী, বিচারক ও কূটনীতিকদের বসার জায়গা। ডান দিকেও রয়েছে ভিআইপি-দের বসার জায়গা। স্যালুট মঞ্চের কাছেই রয়েছে ধারাবিবরণী যিনি করবেন, তাঁর বসার বক্স। কর্তব্যরত এক পুলিশ অফিসার জানালেন, শুধু ভিআইপি বা মন্ত্রী-আমলাদের জন্যই নয়, অনুষ্ঠান দেখতে আসা সাধারণ মানুষের জন্য পুরো বি এবং ডি ব্লক রাখা হয়েছে। ডি ব্লকে রয়েছে ১২৫০ চেয়ার এবং বি ব্লকে রয়েছে এক হাজার চেয়ার। যাঁরা এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছেন, তাঁদের ও তাঁদের অভিভাবকদের জন্যও রয়েছে আলাদা ব্লক। আধিকারিকেরা জানান, ট্যাবলোগুলি ফোর্ট উইলিয়ামের নর্থ গেট থেকে এসে রেড রোড ধরে এগিয়ে গিয়ে রেড রোড ও মেয়ো রোডের সংযোগস্থলের দিকে চলে যাবে।
মঙ্গলবার রাতে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতির মধ্যেও দেখা গেল নিরাপত্তা কড়াকড়ি। দিনভর পুলিশ-কুকুর ঘুরেছে। প্রতিটি চেয়ারের নীচেও মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে। এক নিরাপত্তা আধিকারিক জানান, ফুটপাথের দু’দিকে যে লোহার রড লাগানো হয়েছে, তার ভিতরটা ফাঁপা হওয়ায় সেগুলিকেও মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে পরীক্ষা করা হয়। রেড রোড জুড়ে আছে বেশ কিছু ওয়াচ টাওয়ার। |