হাসপাতালের সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে বিষধর সাপ। অজ পাড়া-গাঁ নয়। খোদ কলকাতার সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল এসএসকেএমের ঘটনা। শনিবার রাতে এসএসকেএমের কার্জন ওয়ার্ডের সার্জিক্যাল বিভাগে একটি সাপ দেখতে পান রোগী ও তাঁদের আত্মীয়েরা। সকলে চেঁচামেচি শুরু করে দেন। সেটিকে তাড়া করলে একটি বাথরুমে ঢুকে পড়ে। পরে হাসপাতালের কর্মীরা সাপটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলেন। যদিও রোগী ও তাঁদের আত্মীয়দের অভিযোগ অস্বীকার করে হাসপাতাল সুপার তমালকান্তি ঘোষ বলেন, “রাতে একটি সাপ দেখতে পাওয়া যায়। তবে সেটি ওয়ার্ডে ঢোকেনি। ওয়ার্ডের পাশে চিকিৎসকদের একটি বাথরুম অনেক দিন বন্ধ ছিল। সেখানেই ওটিকে দেখতে পাওয়া যায়।” তিনি আরও জানান, হাসপাতালে পূর্ত দফতর কাজ করছে। বাথরুম পরিষ্কার করে যাতে ব্যবহার করা যায়, সে জন্য খোলা হয়েছিল। সেখানেই কর্মীরা সাপটিকে দেখতে পান। তাঁরা রাতেই সাপটিকে মেরে ফেলেন। সাপটি বিষধর কি না, সে ব্যাপারে সুপার বলেন, “হলেও হতে পারে। কিন্তু কী সাপ তা আমাকে জানানো হয়নি।” কিন্তু হাসপাতালের দু’তলায় সাপ ঢুকল কেমন করে? এ প্রসঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, সেটি তাঁদেরকেও ভাবাচ্ছে। পূর্ত দফতরের কাজ হয়ে গেলে হাসপাতালের বন্ধ ঘরগুলিকে জিনিসপত্র সরিয়ে ফাঁকা করে দিতে বলা হবে।
|
দিঘার সমুদ্র সৈকতের ধারে গজিয়ে ওঠা দোকানপাট পিছনে সরিয়ে সেই জায়গায় পযর্টকদের জন্য বাগান ও বসার জায়গা তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিল দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ। শনিবার পষর্র্দের চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের নগরোন্নয়ন দফতরের সচিব দেবাশিস সেনের সভাপতিত্বে আয়োজিত এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পর্ষদের নির্বাহী আধিকারিক সৌমেন পাল জানান, শনিবারের বৈঠকে দিঘা, মন্দারমণি ও শঙ্করপুরে নুলিয়া ও গ্রিনগার্ড নিয়োগ নিয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার পাশপাশি সৈকত পযর্টনকেন্দ্র দিঘার প্রবেশপথ থেকে ওড়িশার সীমান্ত পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশে শোভাবর্ধক বাহারি গাছ লাগানোরও সিদ্ধান্ত হয়েছে। দিঘা বিজ্ঞান কেন্দ্রে আয়োজিত বৈঠকে চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন ছাড়াও জেলাশাসক পারভেজ আহম্মেদ সিদ্দিকি, মহকুমাশাসক সুমিত গুপ্ত, রামনগর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দেবব্রত দাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
|
খড়িবাড়ি এলাকায় কলার বাগানে ছড়িয়ে পড়া ‘পানামা উইচ’ রোগ নিয়ন্ত্রণে প্রচারে নামল ব্লক কৃষি দফতর। রবিবার এই ব্যাপারে ব্লকের দেবীগঞ্জে ৫০ জন চাষিকে নিয়ে একটি কর্মশালা হয়। সেখানে রোগ নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে বাসিন্দাদের হাতেকলমে শেখানো হয়। ব্লক কৃষি আধিকারিক মেহফুজ আহমেদ জানান, ব্লকের বহু কলা বাগানে ওই রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। মালভোগ চাষ হচ্ছে এমন জমিতে রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। গাছে ফুল ধরার পরে শুকিয়ে যাচ্ছে। সাধারণত একই জমিতে বার বার কলা চাষ করলে এই ধরনের সমস্যা হয়। বীজ শোধন করে চাষ করলে এ সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কর্মশালায় কৃষকদের সে কথা জানান গুজরাট আনন্দ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডি জে পটেল, কীটনাশক বিশেষজ্ঞ বিবেক ছেত্রীও।
|
হাতির হামলায় গুরুতর জখম হলেন এক বৃদ্ধ। রবিবার সকাল প্রায় ৭টায় ঘটনাটি ঘটেছে বিষ্ণুপুর থানার বাঁকুড়া (উত্তর)বন বিভাগের রাধানগর রেঞ্জের পাতলাপুর গ্রামে।
বন দফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জখম ব্যক্তির নাম মদন পাল। তাঁকে বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। মদনবাবুর ছেলে শিবরামবাবু বলেন, “বাবা সকালে জমিতে কাজ করছিলেন। দ্বারকেশ্বর নদ পেরিয়ে একটি হাতি হঠাৎ আমাদের গ্রামে ঢুকে পড়ে। বাসিন্দাদের তাড়া খেয়ে হাতিটি পালানোর চেষ্টা করে। সেই সময় বাবাকে সামনে পেয়ে হাতিটি বাবাকে শুঁড়ে পেঁচিয়ে আছাড় মারে। উদ্ধারের পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।” ডিএফও বাঁকুড়া (উত্তর) এস কুলন ডেইভাল বলেন, “জখম বৃদ্ধের চিকিৎসার দায়িত্ব আমরা নিয়েছি। হাতিটির উপরেও নজর রাখা হচ্ছে।” বাঁকুড়া জেলায় গত কয়েক মাসের মধ্যে হাতির হামলায় বেশ কয়েক জনের মৃত্যু হয়েছে।
|
জঙ্গলের শাল গাছ কেটে বিক্রির জন্য ফেলে রাখা হয়েছিল স্কুলের মাঠে। বন সুরক্ষা কমিটির কাছে থেকে খবর পেয়ে রবিবার বনকর্মীরা চুরির উদ্দেশ্যে কাটা দু’টি শালগাছ উদ্ধার করল। বাঁকুড়ার জয়পুর রেঞ্জের প্রতাপপুর জুনিয়র হাইস্কুলের মাঠ থেকে বন দফতরের জয়পুর রেঞ্জের আধিকারিক স্বপন ঘটক বলেন, “গাছগুলি চুরির উদ্দেশ্যে কাটা হয়েছে বলে ওই এলাকার এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে জয়পুর থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।”
|
রবিবার সকালে খানাকুলের গৌরান গ্রামে সর্পদষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক বধূর। পুলিশ জানায়, তাঁর নাম সন্ধ্যা দিগের (৩৯)। গরুর খাবারের জন্য খড়ের গাদায় হাত দিয়েছিলেন তিনি। সে সময়ে সাপে ছোবল মারে তাঁকে। স্থানীয় বাসিন্দারা আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানেই মারা যান ওই মহিলা। দেহ ময়না-তদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
|
যত্রতত্র পশুর মাংস কেটে বিক্রি করার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও রাজার শহর কোচবিহারে এ চিত্র নিত্যদিনের। সকাল হতেই শহরের ছোট-বড় নানা গলির মুখে চলে অবাধে পাঁঠা-খাসি কাটা। ছাল ছাড়ানো সেই সব পশুদেহ প্রকাশ্যে বাঁশে ঝুলিয়ে সাজিয়ে রাখেন বিক্রেতারা। অনেকের মধ্যেই এ সবের প্রভাব পড়ে, বিশেষ করে শিশুমনে। |