মেঘালয়ে দুই কনস্টেবলকে জোর করে মুত্রপান করানোর অভিযোগে শেষ পর্যন্ত বরখাস্ত করা হল পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রশিক্ষক প্রদীপ বোরাকে। অভিযুক্তকে বরখাস্ত করতে ছয়দিন কেটে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ খোদ ডিজি। তিনি দুই দিনের মধ্যে ২ নম্বর মেঘালয় পুলিশ ব্যাটালিয়নের কম্যান্ডান্টকে ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলেছেন।
ঘটনার সূত্রপাত গত রবিবার। ২ নম্বর মেঘালয় পুলিশ ব্যাটালিয়নের কম্যান্ডান্ট এন রাজামার্তণ্ডন জানান, পশ্চিম গারো পাহাড়ের জিওরেগ্রে পুলিশ প্রশিক্ষণকেন্দ্রে মধ্যাহ্নভোজ চলাকালীন দুই কনস্টেবল অ্যান্টনি সিংগসাই ও ত্রেচামি লিটানের সঙ্গে অন্য কয়েকজন প্রশিক্ষণরত কনস্টেবলের ঝগড়া হয়। মেস পরিচালক সেই কথা প্রশিক্ষক প্রদীপ বোরাকে জানান। অভিযোগ, বিকেলে নামডাকার সময় প্রদীপবাবু, ৬০০ প্রশিক্ষণরত কনস্টেবলের সামনে সিলভেস্টার মাজাও, পেম্পু মারাক ও পায়া কাসিপা নামে তিন কনস্টেবলকে বোতলে মুত্রত্যাগ করার নির্দেশ দেন। এরপর, সকলের সামনে অ্যান্টনি ও ত্রেচামিকে ওই মুত্র পান করতে বাধ্য করেন। ওই অভিযোগ পাওয়ার পরেও বোরার বিরুদ্ধে প্রথমে কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি।
পরে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পরে, কাল বিকেলে বোরাতে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এইচ ডি আর লিংডো। তিনি বলেন, “সভ্য সমাজে, এই ধরণের বিকৃত শাস্তি কিছুতেই মানা যায় না। দোষ প্রমাণিত হলে, বোরাকে কঠিন শাস্তি পেতে হবে।”রাজ্য পুলিশের ডিজি এন রামচন্দ্রন বলেন, “ওই প্রশিক্ষককে বরখাস্ত করে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সব সাক্ষ্য-প্রমাণ জড়ো করার কাজ চলছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের জবানবন্দিও গ্রহণ করা হয়েছে। দ্রুত তদন্তের নিষ্পত্তি করা হবে।”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেরায় বোরা জানিয়েছেন, ওই দুই কনস্টেবল মদ্যপ অবস্থায় ঝামেলা করছিল বলেই তিনি তাদের শাস্তি দিয়েছিলেন। বোরার দাবি, তিনি মোটেই দু ’জনকে মুত্রপানে বাধ্য করেননি। কিন্তু মুত্রত্যাগ করা তিন কনস্টেবল ও মুত্রপান করা দুই কনস্টেবলের ভাষ্য বোরার দাবির বিপক্ষে গিয়েছে। |