গাড়ির ধাক্কায় এক খনিকর্মীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বর্ধমানের জামুড়িয়ায় নিঘা মোড়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা অবরোধ করা হল ২ নম্বর জাতীয় সড়ক। শনিবার দুপুর সাড়ে ৩টে থেকে ওই অবরোধ হয়। মৃত মহেন্দ্র পাসোয়ানের (৫৫) বাড়ি নিঘাতেই। কাজ করতেন নিঘা কোলিয়ারিতে। মহেন্দ্রবাবুকে খুন করা হয়েছে বলে স্থানীয় নিমচা ফাঁড়িতে অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁর ছেলে বিনোদ পাসোয়ান।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত ৯টা নাগাদ নিঘার বাসিন্দা তথা সহকর্মী জওহর পাসোয়ানের সঙ্গে মোটরবাইকে করে স্থানীয় জে কে নগরে ‘বিরহা’ (ভোজপুরী অনুষ্ঠান) দেখতে যাওয়ার জন্য রওনা দেন মহেন্দ্রবাবু। কিছু ক্ষণের মধ্যেই ফিরবেন জানিয়ে তাঁকে জে কে নগর মোড়ে নামিয়ে দিয়েছিলেন জওহর। কিন্তু বেশ কিছু ক্ষণ পেরিয়ে গেলেও তিনি না আসায় মহেন্দ্রবাবু জে কে নগরের দিকে হাঁটতে শুরু করেন। মহেন্দ্রবাবুর ভাগ্নে পাপ্পু পাসোয়ান জানান, পরে জে কে নগরে যাওয়ার রাস্তায় মহেন্দ্রবাবুকে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়েছিলেন। তাঁরাই প্রথমে তাঁকে ইসিএলের সাতগ্রাম এরিয়া রিজিওনাল হাসপাতাল, পরে ইসিএলের কাল্লা কেন্দ্রীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। রাত ১২টা নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর।
পাপ্পুর দাবি, মৃত্যুর আগে মহেন্দ্রবাবু তাঁকে জানান, যেতে যেতে তিনি একটি গাড়িকে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। হঠাৎ সেটি এগিয়ে এসে তাঁকে ধাক্কা মারে। তিনি ওঠার চেষ্টা করলে আবার ধাক্কা মারে গাড়িটি। এই ভাবে পরপর তিন বার ধাক্কা মারা হয়। এ দিন সকালে তাঁর পরিবারের লোকজন শ্রীপুর ফাঁড়িতে অভিযোগ করতে যান। সেখান থেকে তাঁদের নিমচা ফাঁড়িতে যেতে বলা হয়। অভিযোগ, নিমচা ফাঁড়ি আবার তাঁদের শ্রীপুর ফাঁড়িতে ফিরে যেতে বলে। এতেই খেপে উঠে দুপুরে পথ অবরোধ করেন পরিবারের লোকজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা। আসানসোলের এডিসিপি সুরেশকুমার চাড্ডে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিমচা ফাঁড়িতে অভিযোগ নেওয়ার আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে। পুলিশ জানায়, দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে। |