বেআইনি অস্ত্র রাখার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন ওক ক্রিক গুরুদ্বার হত্যাকাণ্ডে জড়িত ওয়েড মাইকেল পেজের প্রাক্তন বান্ধবী মিস্টি এ কুক। ইতিমধ্যে আজ গুরুদ্বার হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে ফোন করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাম ওবামা।
পুলিশ জানিয়েছে, ৩১ বছরের কুক রেস্তোরাঁ কর্মী ও নার্সিং-এর ছাত্রী। ‘শ্বেতাঙ্গরাই সর্বশ্রেষ্ঠ’ এই মত প্রচারকারী সংগঠনের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। একই মতে বিশ্বাস ছিল ওয়েড পেজেরও। এফবিআই এবং দক্ষিণ মিলাউকি পুলিশের যৌথ তদন্তে গ্রেফতার করা হয়েছে কুককে। ২০০২ সালে নিয়ম ভাঙায় ট্র্যাফিক অফিসারের হাতে ধরা পড়েও পালিয়ে যান কুক।
কুকের বাড়িতে এ দিন তল্লাশি চালিয়ে একটি বন্দুক পেয়েছে পুলিশ। যদিও গুরুদ্বার-হত্যাকাণ্ডে সেটি ব্যবহার হয়নি। ঘাতক পেজ কুকের সঙ্গে দক্ষিণ মিলাউকিতেই থাকত। কুকের প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, কিছু দিন আগে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। ইন্টারনেটে বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য ছড়ানোয় কুকও যথেষ্ট সক্রিয় বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। প্রতিবেশীদের দাবি, পেজের সঙ্গে সম্পর্কের পরেই বদলে যেতে শুরু করেন কুক।
আজই এফবিআই জানিয়েছে, পুলিশের গুলিতে নয়, নিজের গুলিতেই মারা গিয়েছে নয়া নাৎসি ওয়েড পেজ। অর্থাৎ আত্মহত্যাই করেছে সে। তার ব্যাপারেও আরও কিছু তথ্য জানতে পেরেছে পুলিশ। ১৯৯২ থেকে ’৯৮ পর্যন্ত মার্কিন সেনায় থাকাকালীন পেজ সেখানেও ‘শ্বেতাঙ্গরাই সর্বশ্রেষ্ঠ’, এই মতবাদ ছড়াতে উদ্যোগী হয়েছিল। তার প্রাক্তন সহকর্মীরাই জানিয়েছেন সে কথা। পেজের শরীরে নানা উল্কি ছিল। সেটি আসলে বিদ্বেষ প্রকাশের মাধ্যম। তার ডান কাঁধের নীচে লেখা ছিল ৮৩৮। তদন্তকারীদের দাবি, এটি সাঙ্কেতিক চিহ্ন, ‘হ্যামারস্কিন’ গোষ্ঠীর সদস্যদের চিহ্নিত করতে যা ব্যবহার হয়। ১৯৮০ থেকে এই গোষ্ঠী নানা অপরাধমূলক কাজের জন্য অভিযুক্ত। |