এই নাও তোমার সতীন পো
সন্ধ্যা রায়
আমার জন্ম নবদ্বীপে। জন্মের কিছুদিন পর আমরা এখনকার বাংলাদেশে চলে যাই। ওখানে আমার ঠাকুরদাদার জমিদারি ছিল। যদিও তখন তিনি বা ঠাকুমা, কেউ আর নেই। কাকারা থাকতেন। ওখানেই বাবা, মা, আমি আর ছোট ভাইকে নিয়ে ছিল আমাদের সংসার। আমার পরেই বোন হয়েছিল। কিন্তু ওর জীবন হল ক্ষণস্থায়ী। শুনেছি, বাবা-মার বিয়ের পরেই নাকি আমাদের অবস্থা পড়তে শুরু করে। প্রথম জীবনে বাবা প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। পরে পাটের ব্যবসায় মন দেন। সাত বছরে মাকে আর ন’বছরে বাবাকে হারিয়ে দু’ভাইবোন খুলনায় মামার বাড়ি চলে আসি। আগে পাঠশালায় পড়লেও এখানে আমরা নতুন করে স্কুলে ভর্তি হই। মামাদের আর্থিক অবস্থা সে রকম ভাল না হওয়ায় ভাইকে পাঠিয়ে দেওয়া হল নড়াইলে পিসির কাছে। বছর দুয়েক পরে আমাকেও ওই জায়গা, দেশের মায়া ছাড়তে হয়। তখন আমি ক্লাস সিক্সে পড়ি। চলে এলাম আবার নবদ্বীপে। মায়ের এক ধর্মভাইয়ের (সম্পর্কে আমার মামা) হাত ধরে তাঁর বাড়ি। ১৯৫৭-র সেই দিনটা ছিল রবিবার।
দু’এক মাসের মধ্যে মামা আমাকে নিয়ে সপরিবার উঠে এলেন কলকাতার পাইকপাড়ায়। কিন্তু আমার পড়াশোনার খরচ জোগানোর সামর্থ্য তাঁর ছিল না। তখন কী করি! এক দিন আমারই সমবয়স্ক স্থানীয় কিছু মেয়ে গাড়ি করে রাধা স্টুডিয়োতে আসছিল ক্রাউড-এর শুটিং করার জন্য। ওরা আমাকে ওদের সঙ্গে ডেকে নিল। আমি স্টুডিয়োতে গেলাম। সম্পূর্ণ অজানা রুপোলি পর্দার জগতে পা রাখার সে দিন ছিল রবিবার। আমি সে দিন বুঝতে পেরেছিলাম এখানেই ছড়িয়ে আছে হীরে, মণি, মাণিক্য, যা সম্পদ নয়, শিল্পী জীবনের সঞ্চয় হবে। ও দিকে শুটিং চলছে। ছবির নাম ‘মামলার ফল’। পরিচালক পশুপতি চট্টোপাধ্যায়, নায়িকা সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। আমি ক্রাউডে বসা। পরিচালক আমাকে ডেকে একটা সংলাপ বলতে বললেন। নায়ক-নায়িকার বিয়ের পর্ব সবে মিটেছে। আমি নায়িকার কোলে একটা ছোট বাচ্চাকে বসিয়ে দিয়ে বললাম, ‘এই নাও তোমার সতীন পো।’ নায়িকা আমার দিকে তাকাল। আমি তখন আবার বললাম, ‘বা রে, দেখছ কী! এ তো তোমার সতীন পো!’ ব্যস, এটুুকুই ছিল আমার সে দিনের কাজ। আর এর জন্য পারিশ্রমিক হিসেবে পেয়েছিলাম একটা শালপাতায় শিঙাড়া, বোঁদে, জিলিপি, সঙ্গে নগদ পাঁচ টাকা।
এর পর আমি ডাক পাই রাজেন তরফদারের ‘অন্তরীক্ষ’ ছবিতে। ওঁর সহকারী জগা বৈরাগী যে দিন ওঁর কাছে নিয়ে গেলেন, সে দিনটা ছিল রবিবার। আমি অপ্রাপ্তবয়স্ক বলে আমার মামাই ছবির কনট্র্যাক্ট পেপারে সই করেছিলেন। প্রথম দিন দশেকের আউটডোর শুটিং ছিল। পরে সেটা বেড়ে হল কুড়ি দিন। তখন রবিবারেও শুটিং হত। প্রোডাকশনের গাড়ি করেই আমি যাওয়া-আসা করতাম। কথা মতো এক রবিবারেই আমি সত্যজিৎ রায়ের বাড়িতে গিয়েছিলাম তাঁর সঙ্গে দেখা করতে।
আমার প্রিয়

ছায়াছবি: পথের পাঁচালী, বন্দিনী
নায়ক: উত্তমকুমার, দিলীপকুমার
নায়িকা: সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়, মীনাকুমারী
গায়ক: হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, মেহিদি হাসান
গায়িকা: সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, লতা মঙ্গেশকর
চিত্রপরিচালক: সত্যজিৎ রায়, কমল আমরহি
ব্যক্তিত্ব: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
এক দিন সাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে ডেকে পাঠালেন। তখন আমি টালিগঞ্জে আমার ভাই, জামাইবাবু, বোনপো, বোনঝির সঙ্গে থাকি। ওরা সকলেই পূর্ব পাকিস্তান ছেড়ে এসেছে। এক সকালে আমি তারাশঙ্করবাবুর বাড়িতে যাই। দিনটা ছিল রবিবার। উনি আমাকে দেখে বললেন, তুমি আমার অনেক গল্পের নায়িকা হতে পারবে। কিন্তু এখন তুমি ছোট। এর পরেই আমি ‘নাগিনী কন্যার কাহিনি’তে সহ নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করার সুযোগ পেলাম। তখন আমার বয়স চোদ্দো। তখন অন্যান্য দিনের মতো রবিবারেও আমি ভোর সাড়ে চারটেতে ঘুম থেকে উঠতাম। কুকুর নিয়ে সোজা চলে যেতাম মর্নিং ওয়াকে বালিগঞ্জ লেকে। বাড়ি ফিরে স্নান। তার পর বিভিন্ন ফোন আসত। ও দিকে প্রোডাকশন হাউসের লোকজনও আসছে-যাচ্ছে। ওঁদের স্ক্রিপ্ট শুনতাম। সিনেমার অফার নেওয়া-না-নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হত। জামাইবাবুর পরামর্শ মতোই তখন চলতাম।
১৯৬২ কী ’৬৩-তে আমি থিয়েটারে জয়েন করি। ছবি বিশ্বাসের হাত ধরে। মঞ্চে আমার অভিনয়ের প্রথম দিন রবিবার। থিয়েটারের নাম ছিল ‘ডাকবাংলো’।
বিয়ের পর আমার কাজের চাপ বেড়ে গেল সাংঘাতিক। একের পর এক ছবি হচ্ছে। মুম্বইতে হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ‘আসলি-নকলি’। নায়ক দেবানন্দ, নায়িকা সাধনা, আর সহ নায়িকা আমি। এর পর চেন্নাই থেকে ডাক এল ‘পূজা কি ফুল’ করার। করলাম। তার পর এম জি আর-এর ছবি ‘বন্দেগি’। আমি নায়িকা। শক্তি সামন্তের ডিরেকশনে করলাম ‘জানে আনজানে’। শাম্মি কপূরের পাশে আমি সহ নায়িকা। হল ‘পলাতক’-এর রিমেক (হিন্দিতে) ‘রাহগির’। বিশ্বজিৎ নায়ক। আমি নায়িকা। এ রকম চলতে থাকল। এরই মধ্যে হল আমাদের নিজস্ব ব্যানার সন্ধ্যা চিত্র। আমাদের পরিচালনায় হল ‘শহর থেকে দূরে’, ‘খেলার পুতুল’, ‘কুহেলি’।
একটা মজার ঘটনা মনে পড়ছে। তখন পৌষ মাস। এন টি ওয়ান স্টুডিয়োতে ‘সংসার সীমান্তে’র শুটিং চলছে। হোস পাইপ দিয়ে বৃষ্টির সিনে আমি আর সৌমিত্রবাবু শট দিয়ে উঠেছি। ব্যস, আমার হাঁচি শুরু হয়ে গেল। তখন আমার কর্তার নির্দেশে রাত্তির আড়াইটের সময় আমার জন্য র’চা এল। ওই চা খেয়ে আমি একদম ফিট। তার পর বাকি রাত শুটিং-এ কেটে গেল। সেই সময় রবিবার করে মাঝে মধ্যে ডায়মন্ডহারবার চলে যেতাম ইলিশের সন্ধানে। ওই মাছ কিনে এনে নিজে হাতে রান্না করতাম। দুপুরে জমিয়ে খাওয়া হত। এর পর সন্ধেবেলায় আমার কর্তার কাজ করার আর কোনও ইচ্ছা থাকত না। ছুটির মেজাজেই পুরো দিনটা চলে যেত। যাত্রায় আমি অভিনয় করেছি কুড়ি বছর। প্রথম পালার নাম ‘করুণাময়ী’। যাত্রার সিজনে যাত্রামঞ্চই ছিল আমার সন্ধের ঠিকানা।
এখন রবিবার মানে আমার হাতে একটু বাড়তি সময়, যা নিজস্ব চিন্তাভাবনায় কাজে লাগাতে পারি। এই দিনটায় আমি সারা সপ্তাহের কাজের প্ল্যানিং করি। সন্ধেবেলায় কোনও অনুষ্ঠান থাকলে যেতে হয়। লোকে বলে রবিবার নাকি নিষ্ফলা দিন। আমার মনে হয়, যত ভাল ভাল কাজ রবিবারেই মানুষের মাথায় আসে।

সাক্ষাৎকার: অনির্বাণ কর

ভারতের অলিম্পিক পদকের সিংহভাগই ইদানীং আসছে হয় গুলি ছুড়ে, না হয় ঘুসি চালিয়ে। এ দেশের সিনেমার অ্যাংরি হিরোরা এর পর কৃতিত্ব দাবি করলে কিন্তু কিছু বলার থাকবে না!
শিশির পাল। এইরোলি

হায়, শেষ লড়াইয়ে গিয়া মেরি কিছু কম পড়িল।
বিকাশ মোদক। আড়িয়াদহ

ছুটন্ত দুরন্ত গতির শতাব্দী এক্সপ্রেস থেকে ‘ইঞ্জিন’ খুলে ছুটে চলল কম্পার্টমেন্টগুলিকে পিছনে ফেলে! এই ‘ছোট্ট’ ঘটনাটা যেন আমাদের রাজ্যের বর্তমান প্রতীক! এখানে রাজ্যের যিনি ইঞ্জিন,(পড়ুন হেড) তিনি দুরন্ত গতিতে ছুটে বাকি কম্পার্টমেন্টগুলিকে (পড়ুন ডিপার্টমেন্ট) পিছনে ফেলে চলেছেন; দুর্ঘটনা ঘটতে কত ক্ষণ!
ল্যাংড়া সরকার। বর্ধমান

‘মানুষের সঙ্গে প্রভুর মতো নয়, বন্ধুর মতো ব্যবহার করতে হবে’! ক্ষমতাহীন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর এই আবেগকম্প উচ্চারণে আপ্লুত বঙ্গবাসীর সখীসুলভ একটি মাত্র জিজ্ঞাসা প্রভু, আপনারা ‘শক’ না খেলে কি এমন ‘সখ্য’রসের সাধনা করতেন?
লেনিন সেন। কালনা

মাথার উপরের আলোগুলো হাওয়া হয়ে গিয়ে বহু ত্রিফলাই এখন ত্রিশূলে রূপান্তরিত হয়েছে!
বনি-উপমন্যু। গরফা

বিদ্যুৎ সংকটের ঘটনা থেকেই বোঝা গেল, যে গাঁধীজি ঠিকই বলেছিলেন, দ্য নেশন হ্যাজ এনাফ ফর এভরিওয়ানস নিড বাট নট ফর এভরিওয়ানস ‘Grid’!
অনুপম দাস। বাল্টিমোর

এ বার ভারতের সঙ্গে একদিনের ক্রিকেটে ‘শ্রী’লঙ্কার ক্রিকেটাররা তাঁদের দেশের নামের আগে ‘বি’ শব্দটা যোগ করায় সে দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা হতাশ!
উজ্জ্বল গুপ্ত। তেঘড়িয়া

লক্ষ্মণ শেঠের ‘আই কেয়ার’ কলেজ হাইকোর্টের রায়ে বৈধতা পাওয়ার পর তিনি কি কলেজের নাম পরিবর্তন করে ‘আই ডোন্ট কেয়ার’ রাখবেন?
অরুণ গুপ্ত। কল-৮৪

এর পর জলে পড়ে গেলেই লোকে (P)help(s) (P)help(s) বলে চেঁচাবে!
সায়ন্তন দত্ত। রবীন্দ্রপল্লি

পড়শি গ্রহের হাঁড়ির খবর জানতে যে বাঙালি নারীর প্রধান ভূমিকা থাকবে, তা আর নতুন কী! আমাদের বাড়ির বউ-মেয়েরা সব সময়ই তো সেটাই করেন!
চঞ্চল পাল। শ্যামবাজার

শ্রীমান মূষিক বেজায় খুশিক, আরামে নিকট-দূর।
বিনা সম্বলে এসি কম্বলে ঘুরিছেন শ্রীইঁদুর।
তাহাদেরই মুখে খাদ্য জোগাতে মানবযাত্রী ওঠে।
নিপুণ দন্ত। খাদ্য অন্ত। স-ঢেকুর লেজ ছোটে।
কী জ্বালা! ওহে ভারতীয় রেল তাই নিয়ো কণ্ঠে ঘুঁটের মালা

ছেলেটির বিয়ে! ছেলেটিই বলা ভাল। বাইশ-তেইশ। তরুণ কবি। বিখ্যাত সাপ্তাহিকে কবিতা ছাপা হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পে চাকরিও হয়ে গিয়েছে। সুতরাং বিয়ের কার্ডে লেখা হল: ‘নিটোল নারীর সাথে একত্রবাসের অঙ্গীকারের একটি অনুষ্ঠানে আপনিও আসুন।’ কার্ড গেল সিনেমা পত্রিকার ফোটোগ্রাফারের কাছেও। সেও আসবে সরাসরি বিয়ের ছবি তুলতে পাত্রীর বাড়িতে।
পাত্রী? মৃত জোতদার দাদামশাইয়ের হিসাব মতো একদম খাপে খাপে মিলে গিয়েছে। বাড়িতে দোনলা বন্দুক আছে। লেভি লাগে সরকারকে বছরে চল্লিশ কুইন্টাল ধান। দুশো বছরের পুরনো রাজবাড়ি। জমিদারি গিয়েছে, ঠাটটা রয়ে গিয়েছে। পাত্রীর বাবা শিক্ষক, বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী।
বিয়ের আসর বসেছে বিশাল রাজবাড়িতে। ফোটোগ্রাফারের দেখা নেই। পাত্রীপক্ষের ছবি তোলার কথা, পাত্রীর পিসতুতো দাদার। জাহাজের ক্যাপ্টেন। দুর্লভ রঙিন ছবি তোলা হবে। ফ্লাইটে ক্যামেরা এসে গিয়েছে। দাদা পৌঁছয়নি। পাত্রীর পিসেমশাই রাশভারী, টাটা কোম্পানির জি এম। তিনিই স্বয়ং ক্যামেরা নিয়েছেন হাতে ফটাফট শাটার টিপছেন আর বলছেন: ফাইন...
বর-বউকে সাজানো। সুষ্ঠু ভাবে অতিথি আপ্যায়নের কিছু কেজো মহিলা-পুরুষ চিরকালই থাকে। তাঁরা প্রাণপাত করছেন। বন্ধুবান্ধবদের নির্বিকার তদ্গত অবস্থা। পিতৃবন্ধুরাও তা-ই। অনেক রাতে বর-বউ দোতলার ঘরে যখন ঢুকল তখন ফুল-মালার কোনও চিহ্ন নেই। খাটের ওপর ছড়ানো উপহার সামগ্রীর রাশ।
আঠারো বছরের কনের মুখে হাসি। খাট থেকে সব নামিয়ে রাখল মেঝেতে। বাপের বাড়ির বাক্সটি টেনে বের করল খাটের নীচে থেকে। বের করল দু’দিন আগের বাসী ফুলের মালা। তাতেই হল মাল্যদানের রিপ্লে।
পঁয়ত্রিশ বছর পর আবার খোলা হল বাক্স। পুরনো অ্যালবাম বের করা হল ‘ফেসবুক’-এ ছবি দেব বলে। বিয়ের কার্ডটিও রয়েছে। একটি মাত্র ছবি উঠেছে বিদায়বেলার। সূর্যের আলোয় তোলা। মালা দু’টি চিকচিকে কাগজে মোড়া।
এখন ডি এন এ রিপোর্টে পিতৃত্ব প্রমাণিত হলে
ডাক্তার বলেন: অভিনন্দন, তোমার বাবা হয়েছে!

কাজী পারভেজ
ক্ষমা করিনি
বিয়ের দু’মাসের মধ্যে শ্বশুর-শাশুড়ির খারাপ ব্যবহারে বিরক্ত হয়ে আমার স্বামী আমাকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ির কাছাকাছি একটা ফ্ল্যাটের পাঁচ তলায় থাকতে শুরু করেন। ফ্ল্যাটটি ছিল লিফটহীন। স্বামীর সঙ্গে শ্বশুরবাড়িতে গেলে শ্বশুর-শাশুড়ি ভালই ব্যবহার করতেন। অফিসের কাজে ওঁকে কয়েক দিনের জন্য কলকাতার বাইরে যেতে হয়। বলে যান, কোনও সমস্যায় পড়লে বাবার কাছে যেতে। হঠাৎ বাথরুমে পড়ে গেলাম। তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। পেটে ব্যথা শুরু হল। রক্তপাতও হতে লাগল। ডাক্তার সিঁড়ি ভাঙতে বারণ করলেন। না হলে গর্ভপাত হয়ে যাবে। রাত্রি আটটার সময়ে শ্বশুরবাড়ি গেলাম। শ্বশুর-শাশুড়ি থাকতে তো দিলেনই না, আমাকে, আমার বাবা-মাকে অকথ্য গালিগালাজ করতে শুরু করলেন। এও বললেন, আমার গর্ভস্থ সন্তান যেন পৃথিবীর আলো না দেখে। পর দিন রাত্রে গর্ভপাত হয়ে যায়। আমার আর সন্তান হয়নি। ডাক্তার বলেছেন আর হবে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, কলকাতা-৩৪

মুখ খোলার, গল্প করার, গলা ফাটানোর
বিভাগ। এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার আপনাদের।

ই মেল-এ অথবা ডাকে, চিঠি পাঠান।
ই-মেল: chirkut.rabi@abp.in
চিঠি: চিরকুট, রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.