নিজের বাবা-মায়ের নামে একটি ট্রাস্ট থেকে প্রতি বছর কৃতী প্রতিবন্ধী পড়ুয়াদের কল্যাণে এক লক্ষ টাকা দেবেন লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। ‘পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য প্রতিবন্ধী সম্মিলনী’ নামে একটি সংগঠন শুক্রবার রবীন্দ্র সদনে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে কৃতী প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেয়। সেই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে সোমনাথবাবু অর্থসাহায্যের কথা ঘোষণা করেন। সংগঠনটি এ দিনের অনুষ্ঠানে ২৭০ জন কৃতী প্রতিবন্ধী ছাত্রছাত্রীর প্রত্যেককে শংসাপত্র এবং দু’হাজার টাকা দিয়েছে। |
এক কৃতীর হাতে শংসাপত্র তুলে দিচ্ছেন লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়।
পাশে প্রাক্তন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রবার কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে।—নিজস্ব চিত্র |
প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে সরকার ও সমাজের যা করা উচিত, তা করা হয় না বলে অনুষ্ঠানে অভিযোগ করেন সোমনাথবাবু। তাঁর আক্ষেপ, প্রতিবন্ধীদের সমস্যাকে ‘গত জন্মের কাজের ফল’ বলে দেগে দিয়ে অনেকে তাঁদের প্রতি দায়িত্ব এড়িয়ে যান। এই পরিপ্রেক্ষিতে প্রাক্তন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ‘পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য প্রতিবন্ধী সম্মিলনী’ উল্লেখযোগ্য কাজ করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। সোমনাথবাবু বলেন, “কান্তিবাবুর উদ্যোগ প্রশংসনীয়। ওঁরা দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করছেন। কিন্তু যে-স্বীকৃতি ওঁদের পাওয়া উচিত ছিল, তা এখনও পাননি। আমার বাবা-মায়ের নামে একটি ট্রাস্ট আছে। সেই ট্রাস্টের পক্ষ থেকে প্রতি বছর সংগঠনটিকে এক লক্ষ টাকা দেব।”
সংগঠনের সম্পাদক কান্তিবাবু ঘোষণা করেন, তাঁরা এখন থেকে প্রতি বছর প্রত্যেক প্রতিবন্ধী কৃতী পড়ুয়াকে উচ্চশিক্ষার জন্য ১২ হাজার টাকা দেবেন। প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রতি বছর অন্তত একটি ‘বিশেষ বিদ্যালয়’ গড়ে তোলার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানান তিনি। তাঁর অভিযোগ, গত দেড় বছরে রাজ্যে একটিও ‘বিশেষ বিদ্যালয়’ তৈরি হয়নি। তিনি জানান, এর আগে প্রতি বছর রাজ্য সরকারের সঙ্গেই কৃতী প্রতিবন্ধীদের সংবর্ধনার অনুষ্ঠান করা হত। কিন্তু এ বছর বর্তমান সরকার তাঁদের প্রস্তাবে রাজি হয়নি বলে অনুযোগ করেন প্রাক্তন মন্ত্রী। |