একটি প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর সম্পাদিকার বিরুদ্ধে মিড-ডে মিলের হিসেব নিয়ে বেনিয়মের অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি বড়জোড়া পশ্চিম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। এ নিয়ে সম্প্রতি বড়জোড়া বিডিও এবং বড়জোড়ার পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগও জানিয়েছেন তাঁরা। শুক্রবার ওই স্কুল পরিদর্শনে যান পঞ্চায়েত প্রধান অলোক মুখোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, “স্কুলের মিড-ডে মিলের হিসেবে গোলমাল হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে। বিষয়টি বিডিওকে জানিয়েছি।” অভিযোগকারী তারাপদ পাল, বিকাশ কর্মকাররা বলেন, “স্কুলে মিড-ডে মিল রান্নার যা খরচ হয়, হিসেবে তার থেকে অনেক বেশি খরচ দেখানে হয়েছে।” প্রধান শিক্ষক গুরুপ্রসাদ চৌধুরীর সঙ্গে চেষ্টা করেও কথা বলা যায়নি। স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর সম্পাদিকা শিপ্রা দে বলেন, “আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে।” বড়জোড়া বিডিও ইস্তেয়াক আহমেদ খান বলেন, “বড়জোড়া চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শককে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি।”
|
মাঠে কাজ করার সময় বৃহস্পতিবার বিকেলে পুরুলিয়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় বজ্রাঘাতে ৬ মহিলার মৃত্যু হয়েছে। জখম হলেন ২ জন। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতেরা হলেন কোটশিলা থানার চাতরানি গ্রামের কোকিলা কুমার (৪৫), কুনদা কুমার (৩৫) ও পুটকা কুমার (৪৯)। তাঁরা জমিতে ধান রোয়ার কাজ করছিলেন। জখন হন বিলাসী কুমার নামে আরও এক মহিলা। তাঁদের সকলকে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কোকিলা ও কুনদাদেবীকে মৃত বলে জানানো হয়। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় পুটকা কুমারের। ঝালদার পিলাই গ্রামে বজ্রাঘাতে মারা যান রোহিনী মুড়া (২৮) ও তাঁর মেয়ে রীতা মুড়া (১৪)। তাঁরাও মাঠে কাজ করছিলেন। সেখানেই ছুটুন মাহাতো নামে আরও এক মহিলা জখম হন। সাঁতুড়ি থানার কাষ্ঠগাড়া গ্রামে প্রায় একই সময় অঞ্জলি বাউরি (৩২) নামে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে।
|
গাড়ির ধাক্কায় শুক্রবার সকালে বারিকুল থানার বাঁশডিহা গ্রামে মৃত্যু হল পথচারী এক বৃদ্ধের। পুলিশ জানায়, মৃত যামিনী গরাই (৭০) বাঁশডিহা গ্রামের বাসিন্দা।
|
বাগবিন্ধ্যায় মাওবাদীদের হাতে নিহত ঝালদা-দঁড়দা পঞ্চায়েতের প্রধান চপলা গড়াইতের স্বামীকে আর্থিক সহায়তা দিল প্রশাসন। তাঁর মতোই মাওবাদীদের হাতে নিহত আরও ৬ জনের পরিবারকে শুক্রবার কেন্দ্র সরকারের ৩ লক্ষ টাকার ‘চেক’ তুলে দিলেন জেলাশাসক অবনীন্দ্র সিংহ। সেখানেই বলরামপুরের খুনটাঁড় গ্রামের রাজেন সিং সর্দার দাবি করলেন, “পার্থ ও সৌম্যজিৎ পাহাড়ে ওঠার সময় আমাদের গ্রামে এসেছিলেন। বাবা (অজিত) ওঁদের মাওবাদীদের সর্ম্পকে সতর্ক করে পাহাড়ে উঠতে নিষেধ করেছিলেন। ওঁরা শোনেননি। পরের দিন ওঁদের নিখোঁজ হওয়ার খবর শুনি।” গত বছর রাজেনের বাবা ও ভাইকেও মাওবাদীরা খুন করে। |