খেলা
কঠিন লড়াই
কই জেলার দু’টি দল। কোর্টে কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলে না। মুখোমুখি হলেই লড়াই জেমে ওঠে। সম্প্রতি খুরুট ধর্মতলা বারোয়ারি সমিতি আয়োজিত ভলিবল প্রতিযোগিতায় সেই লড়াই দেখা গেল। যেখানে আয়োজক ক্লাবের মেয়েদের হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হল সালকিয়া অ্যাসোসিয়েশনের মেয়েরা। অন্য দিকে, পুরুষদের খেতাব জিতে নিল বাকসাড়া নবচক্র ক্লাব।
নৈশালোকে পর পর দু’টি ভলিবল ফাইনাল দেখতে ভিড় জমিয়েছিল বহু মানুষ। কোর্টের তিন দিকে বানানো হয়েছিল কাঠের অস্থায়ী গ্যালারি। খেতাব জয়ের লক্ষ্যে নিজেদের মাঠে বেশ কোমর বেঁধে লড়াইয়ে নেমেছিলেন খুরুট দলের রিমা দলুই, জুঁই সাউ, পূজা দলুইরা। সঙ্গে ছিল স্থানীয় মানুষের সমর্থন। কিন্তু গোড়া থেকেই তীব্র লড়াই শুরু করে সালকিয়ার দলটি। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে পড়েন খুরুটের মেয়েরা। পর পর তিনটি সেট ২৫-১৯, ২৫-১৯, ২৫-১৯ পয়েন্টে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়ে যান সালকিয়ার অনুশ্রী ঘোষ, অনিন্দিতা সাহা, কমলিকা দেবনাথরা।
এ মুহূর্তে অনুশ্রী বাংলার প্রতিশ্রুতিমান খেলোয়াড়। এ বারের জাতীয় জুনিয়র ভলিবলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলা। দুর্গাপুরে ওই প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার ওঠে অনুশ্রীর হাতে। “খুরুটের মাঠে খুরুট দলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হতে পেরে ভাল লাগছে”, বললেন অনুশ্রী। কোচ অঞ্জন ঘোষ বললেন, “প্রতিপক্ষ দল হোম গ্রাউন্ডে খেলতে নেমেছিল। মেয়েদের তাই প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে বলি।” সম্প্রতি সালকিয়ার এই ক্লাবে শুরু হয়েছে নতুন খেলোয়াড় অন্বেষণ। সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন প্রাক্তন ভলিবলার চঞ্চল বন্দ্যোপাধ্যায় ও নিমাই বন্দ্যোপাধ্যায়।
হুগলির ভদ্রেশ্বর ইউনাইটেড অ্যাথলেটিক ক্লাব পুরুষ বিভাগের ফাইনালে উঠলেও তাদের হাওড়ার বাকসাড়া নবচক্রের কাছে হেরে ফিরতে হয়। দু’টি বিভাগে চারটি করে মোট আটটি দল এ বারের প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। আয়োজক ক্লাবের পক্ষে অজয় মুখোপাধ্যায় জানালেন, খেলোয়াড়দের ভলিবলে বেশি করে উৎসাহী করে তুলতে ৭০ দশকে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল। রাজ্য ভলিবল সংস্থার সচিব রথীন রায়চৌধুরী চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স দলের হাতে ট্রফি ও আর্থিক পুরস্কার তুলে দেন।

ছবি: রণজিৎ নন্দী




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.