পাঁচামি থেকে ঢোলকাটা পর্যন্ত রাস্তাটি ৪-৫ কিলোমিটার হবে। দীর্ঘদিন থেকে ওই রাস্তা সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছেন এলাকার প্রায় ১০-১২টি গ্রামের বাসিন্দারা। কিন্তু এ ব্যাপারে প্রশাসনের কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। তাঁরা জানান, পাথরভর্তি ভারি যানবাহন চলাচলের জন্য রাস্তার গর্ত মাটি, ইটের টুকরো বা পাথরকুচি দিয়ে বোজানোর কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন বা পঞ্চায়েত। কিন্তু ভাল ভাবে সংস্কার করা হচ্ছে না। ওই রাস্তা সারানো ও ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধের দাবিতে সরব হয়েছিল আদিবাসী গাঁওতা।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁচামি থেকে ঢোলকাটা রাস্তাটি মহম্মদবাজার পঞ্চায়েত সমিতির আওতাধীন। ওই রাস্তা দিয়ে পাথরবোঝাই ভারি গাড়ি চলাচলের জন্য দীর্ঘদিন আগে রাস্তাটি খানাখন্দে ভরে যায়। |
বেহাল অবস্থার কারণে ওই রাস্তা দিয়ে কোনও যানবাহন চলাচল করতে পারে না। বুড়িতলা, জেঠিয়া, গাবারবাখান, ইচ্ছেডাঙা, গিরিজোড়, হাবড়াপাহাড়ি, শালডাঙা-সহ ১০-১২টি গ্রামে আদিবাসীদের বাস। গ্রামবাসী বিনয় মুর্মু, ছোটু হাঁসদা, সুনিরাম মুর্মু, কালীদাস হেমব্রম, মিঠু মুর্মু, বাসন্তী টুডুরা বলেন, “রাস্তাটির অবস্থা এতই খারাপ হেঁটে যাতায়াত করা যায় না। অনেক দিন ধরে রাস্তাটির সারানোর দাবি জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। পাথরভর্তি ট্রাক চলাচল করার জন্য এখন গর্তগুলো মাটি, ইটের টুকরো, পাথরকুচি দিয়ে ভরাটের কাজ শুরু হয়েছে।”
তাঁদের দাবি, “আমরা ওই রাস্তা দিয়ে পাথর বোঝাই ট্রাক যাতায়াত করতে দেব না।” আদিবাসী নেতা সুনীল সোরেন ও গাঁওতার সম্পাদক রবিন সোরেন বলেন, “প্রাথমিক, হাইস্কুলের পড়ুয়ারা ঝুঁকি নিয়ে ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। পথ চলতে অসুবিধা হয় সাধারণ মানুষজনেরও। বিশেষ করে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে ভোগান্তির শেষ হয় না। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি সারানো ও বাস চলাচলের দাবি জানিয়ে আসছেন লোকজন। কিন্তু প্রশাসনের সে ব্যাপারে হেলদোল নেই।” তাঁরা আরও বলেন, “৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের সোঁতসাল মোড় থেকে পাঁচামি পর্যন্ত পিচ দিয়ে রাস্তা সংস্কার করে চলাচলের উপযুক্ত করে তোলা হয়েছে। অথচ পাঁচামি থেকে ঢোলকাটা পর্যন্ত এই ৪-৫ কিমি রাস্তা সারানোর কোনও উদ্যোগই দেখা যাচ্ছে না।” পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জিতেন ভট্টাচার্য বলেন, “ওই রাস্তাটি পঞ্চায়েত সমিতির হলেও জেলাপরিষদ ওই রাস্তা থেকে কর আদায় করে। কাজেই রাস্তাটি জেলাপরিষদের পক্ষ থেকে সংস্কার করে দেওয়া উচিত। তবে রাস্তাটি একেবারে চলাচলের অযোগ্য হয়ে উঠেছিল, তাই স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে খানাখন্দ ভরানো হচ্ছিল।” জেলাপরিষদের সভাধিপতি অন্নপূর্ণা মুখোপাধ্যায় বলেন, “সংস্কারের ব্যাপারে জেলা পরিষদে আবেদন করলে তা সংস্কার করে দেওয়া হবে।” |