নিহত সিপিএম নেতা প্রদীপ তা-কে ‘প্রখ্যাত মস্তান’ বলে অভিহিত করলেন তৃণমূলের রাজ্য যুব সভাপতি শুভেন্দু অধিকারী।
শুক্রবার দেওয়ানদিঘিতে নিহত কংগ্রেস নেতা কাশীনাথ তা-র স্মরণসভায় তাঁর সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ‘দিদি’র হাত শক্ত করার আবেদন জানান তিনি। তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক অলোক দাসের ব্যাখ্যা, “কাশীবাবুর পরিবারের সদস্যেরা মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। নিজে আসতে না পেরে তিনি ভাই তথা দলের যুব নেতা কার্তিকবাবুকে পাঠিয়েছেন।”
গত ২২ ফেব্রুয়ারি বর্ধমান শহরের উপকণ্ঠে দেওয়ানদিঘিতে প্রকাশ্যে পিটিয়ে খুন করা হয় প্রাক্তন বিধায়ক প্রদীপবাবু এবং সত্তরোর্ধ্ব সিপিএম নেতা কমল গায়েনকে। ১৯৮২ সালে কাশীনাথ তা খুনে অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন প্রদীপবাবু। যদিও পরে তিনি বেকসুর খালাস হয়ে যান। শুভেন্দু দাবি করেন, “প্রদীপ তা খুন হয়েছেন জনরোষে। এই জনরোষ উস্কে দিয়েছিল সিপিএমেরই একটি গোষ্ঠী। আমাদের কর্মীদের মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে। তাঁরা এখন জেলবন্দি।” |
সিপিএমের জেলা সম্পাদক অমল হালদারের পাল্টা দাবি, “সিআইডি-র তদন্তেই প্রমাণ হয়েছে, প্রদীপ তা-কে খুন করেছেন তৃণমূল কর্মীরা। তাঁদের কয়েক জন এখনও জামিন পাননি। এত দিন পরে এ নিয়ে অন্য কথা বলাটাই অবান্তর।”
ছোট আঙ্গারিয়া, নানুর, কেশপুর, নেতাই, গড়বেতা, নন্দীগ্রামের প্রসঙ্গ তুলে শুভেন্দু বলেন, ‘‘আমরা কিন্তু ক্ষমতায় আসার পরেও প্রতিশোধ নিইনি। আইনের পথে চলেছি। তাই সিপিএম নেতাদের বিচার চলছে। কঙ্কাল কাণ্ডের নায়ক সুশান্ত ঘোষের ১৮২ দিন জেল হয়েছে। নন্দীগ্রামের নায়ক লক্ষ্মণ শেঠকে ১২২ দিন জেলে কাটাতে হয়েছে।” সভার সময়ে প্রবল বৃষ্টি হয়। তবে অমলবাবুর দাবি, “মানুষ যে তৃণমূলকে প্রত্যাখ্যান করছেন, ওই সভায় সামান্য লোকের উপস্থিতিই তার প্রমাণ।” অলোকবাবু পাল্টা বলেন, “রোজা না চললে আর এত বৃষ্টি না হলে আরও ভিড় হত।” ১৯৮৩ সালেই দেওয়ানদিঘিতে কাশীবাবুর স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপিত হয়েছিল। মূর্তি গড়ার জন্য তাঁর মেয়ে কাকলি তা-র হাতে ১ লক্ষ টাকা তুলে দেন শুভেন্দু। কাকলিদেবীর কথায়, “উনি আগামী বছর এই দিনে এসে বাবার মূর্তি উন্মোচন করবেন বলে কথা দিয়েছেন।” |