টুকরো খবর
অব্যবস্থা হাসপাতালে
—নিজস্ব চিত্র।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র নাকি মাছের বাজার! কান্দি মহকুমা হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরলে এ ধন্দটা স্বাভাবিক। হাসপাতালে রয়েছে নিরাপত্তারক্ষী, তেমনি আছে ওয়ার্ডে চিকিৎসারত রোগীদের সাক্ষাৎ করার নির্দিষ্ট সময়। কিন্তু সে নিয়ম মানলে তো! রোগীদের বাড়ির লোকজন সর্বক্ষণ রয়েছেন সে হাসপাতালে। রোগীর পাশে বসেই কোথাও বা চলেছে খাওয়া দাওয়া। এমনকী গল্পগুজবও। বিছানায় পা তুলে বসে খোশগল্প মায় তাস খেলাও চলেছে। নিয়ম অনুযায়ি, ওয়ার্ডে সকাল ১০টা-১১টা পর্যন্ত এবং বিকেল ৪-৬টা। কিন্তু ওই নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে প্রায় ২৪ ঘন্টায় রোগীর আত্মীয়েরা নিজেদের খেয়ালখুশি মত প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে নিয়মের তোয়াক্কা না করে হাসপাতালে ঢুকচেন। ভিড়ে হাসপাতালের রোগীদেরও বিড়ম্বনার শেষ নেই। এক রোগীর বাড়ির আত্মীয় রূপা বাগচি বলেন, “রোগীদের চিকিৎসা চলছে ওয়ার্ডের মধ্যে ঢুকলে বোঝা দায়। কেউ কেউ ঘণ্টার পর ঘণ্টা রোগীর পাশে বসে থাকছেন। কেউ আবার রোগীর পাশে বসেই খাওয়া-দাওয়াও করছেন। কোনও ব্যাপারেই স্বাস্থ্যকর্মীদের নজর নেই।” কান্দি পুরপ্রধান গৌতম রায় বলেন, “হাসপাতালে বিভিন্ন ধরণের রোগী আসেন। সেখানে সাধারণ মানুষের অবাধ প্রবেশ থাকলে চলবে কী করে? আরও কড়াকড়ি করা প্রয়োজন।” হাসপাতালের সুপার মৃগাঙ্কমৌলী কর বলেন, “সর্বক্ষণের জন্য ওয়ার্ডে ভিড় থাকলে রোগীর পাশাপাশি চিকিৎসকদেরও অসুবিধা হয়, এটা বুঝতে হবে।” প্রশ্ন, কে বুঝবে?

‘জেনেরিক’ ওষুধ বিক্রির সরকারি বিপণি
রাজ্যের গরিব পরিবারগুলির কাছে তুলনামূলক কম দামে ওষুধ সরবরাহের জন্য ‘জনতা ওষুধ বিক্রয় কেন্দ্র’ চালু করছে ঝাড়খণ্ড সরকার। পরীক্ষামূলক ভাবে রঁচি শহরে চলতি মাসেই চালু হচ্ছে একটি ‘জনতা ওষুধ বিক্রয় কেন্দ্র’। ধীরে ধীরে রাজ্যের ২৪ টি জেলাতেই একটি করে জনতা ওষুধ বিক্রয় কেন্দ্র চালু করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর। জনতা ওষুধ বিক্রয় কেন্দ্রে নির্দিষ্ট কোনও ব্র্যান্ডের ওষুধ বিক্রি হবে না। বিক্রি করা হবে ‘জেনেরিক মেডিসিন’। অর্থাৎ নির্দিষ্ট ভাবে কোনও ব্র্যান্ড নয়, বিক্রি হবে নির্দিষ্ট শ্রেণিভুক্ত রাসায়নিক ওষুধ। যেমন একটি ওষুধের জেনেরিক বা রাসায়নিক নাম ‘অ্যামকসিলিন’। অনেক ব্র্যান্ডের অ্যামকসিলিন বাজারের নানা রকম দামে বিক্রি হচ্ছে। জনতা ওষুধ বিক্রয় কেন্দ্রে কোনও ব্র্যান্ডের ওষুধ বিক্রি না করে ‘অ্যামকসিলিন’ জেনেরিক ড্রাগ বিক্রি করা হবে। ওই ওষুধ যে কোনও ব্র্যান্ডের ওষুধের অর্ধেক দামে ক্রেতারা পাবেন। এতে উপকৃত হবেন রাজ্যের গরিব মানুষ। সরকারি সূত্রের খবর, জনতা ওষুধ বিক্রয় কেন্দ্রে থাকবেন ফার্মাসিস্ট এবং টেকনিশিয়ান। বিক্রয় কেন্দ্রগুলি হবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। থাকবে ওষুধ সংরক্ষণের আধুনিক ব্যবস্থাও।

ফাউ নম্বরের বিজ্ঞপ্তি বহাল, জানাল রাজ্য
দুর্গম ও উপদ্রুত এলাকায় কর্মরত সরকারি চিকিৎসকদের এমএস, এমডিতে ভর্তি পরীক্ষায় ৩০ শতাংশ বেশি নম্বর দেওয়ার সরকারি বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করা হয়নি। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে এ কথা জানান সরকারি আইনজীবী সুব্রত তালুকদার। তার ফলে ওই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দায়ের করা মামলাটির শুনানি শুরু হয়েছে। বিচারপতি শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি হরিশ টন্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, কাল, শুক্রবার এই মামলার চূড়ান্ত শুনানি হবে। স্নাতকোত্তর মেডিক্যালে ভর্তির জন্য দুর্গম ও উপদ্রুত এলাকার হাসপাতালে কর্মরত সরকারি চিকিৎসকদের প্রবেশিকা পরীক্ষায় বাড়তি ৩০ শতাংশ নম্বর দেওয়া হবে বলে আগেই একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল। তা নিয়ে মামলা হয়। কিন্তু পরে ওয়েবসাইটের একটি তথ্যে জানানো হয়, সরকার ইতিমধ্যে ওই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করে নিয়েছে। সেই ‘তথ্য’কে কেন্দ্র করে আদালতেও নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। হাইকোর্ট এই ব্যাপারে রাজ্য সরকারের বক্তব্য জানতে চায়। বিজ্ঞপ্তিটি বহাল আছে বলে সরকার এ দিন জানিয়ে দেওয়ায় মামলাটি যথারীতি চলবে।

‘খাদ্যে বিষক্রিয়া’, ভর্তি, পাঁচ শিশু
অসুস্থ হয়ে পড়ায় একই পরিবারের পাঁচ শিশুকে কাটোয়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হল বুধবার বিকেলে। তাদের বাড়ি কাটোয়ার আউরিয়া গ্রামের দক্ষিণ পাড়ায়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, খাদ্যে বিষক্রিয়া হওয়াতেই অসুস্থ হয়েছে তারা। স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন সকাল ৮টা নাগাদ বছর লিপিকা দাস নামে একটি বছর তিনেকের শিশু ভাত খায়। তার কিছুক্ষণ পর থেকেই সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। বমি করতে থাকে। বাকি চার শিশুও একই উপসর্গ নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। বিকেলে তাদের কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন পরিবারের লোকজন। চিকিৎসকেরা তাঁদের সংক্রমণ ওয়ার্ডে ভর্তি করে নেন। চিকিৎসকরা জানান, চিকিৎসা শুরু হওয়ার পর থেকে ওই পাঁচজনের অবস্থার উন্নতি হয়েছে।

রোগী-বিক্ষোভ হাসপাতালে
নিরাপত্তা নেই। হাসপাতালে অবাধ যাতায়াত দুষ্কৃতীদের। এমন কী হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে জানলা-দরজা পর্যন্ত খুলে নিয়ে চম্পট দিচ্ছে দুষ্কৃতীরা। খুলে নিয়ে যাচ্ছে আলো-পাখা। তবে এসব যেন দেখেও দেখছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এমনই অভিযোগ তুলে বুধবার ধুবুলিয়ার যক্ষ্মা হাসাপাতালে বিক্ষোভ দেখালেন রোগীরা। বর্তমানে হাসপাতালে রয়েছেন ৪০ জন রোগী। তাঁদের মধ্যে ৮ জনই মহিলা। সাধন হাজরা নামে এর রোগীর অভিযোগ, “হাসপাতালের ভিতরে রমরমা কারবার ওই দুষ্কৃতীদের। কখনও মহিলা রোগীদের দেখে কটূক্তি করে তারা, কখনও বা চুরির প্রতিবাদ করতে গেলে মাথায় অস্ত্র ঠেকায়। সুপারকে জানিয়েছি। কিন্তু সমস্যা মিটছে কোথায়!” হাসপাতাল সুপার নির্মল সাহা বলেন, “এই সমস্যা দীর্ঘদিনেরয় আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সমস্ত কথা জানিয়েছি। আশা করছি সমস্যা সমাধানে ওঁরা দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন।”

চিকিৎসাকেন্দ্রের উদ্বোধন পুরুলিয়ায়
গত ২৮ জুলাই পুরুলিয়া ১ ব্লকের সোনাইজুড়ি গ্রামে বিলিভার্স চার্চের উদ্যোগে উদ্বোধন হয়েছে একটি দাতব্য চিকিৎসাকেন্দ্রের। ওই দিন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উদ্বোধন করেন চার্চের বিশপ জুরিয়া বর্ধন। চার্চের ফাদার অরুণজিৎ দাশগুপ্ত জানিয়েছেন, আপাতত ওই চিকিৎসাকেন্দ্রে সোম থেকে শনিবার বেলা ৯টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত পরিষেবা পাওয়া যাবে। পরবর্তীকালে এখানে তাঁরা ৩০ শয্যার হাসপাতালও গড়ে তোলা হবে তিনি জানিয়েছেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক কেপি সিংহ দেও, সাংসদ নরহরি মাহাতো প্রমুখ।

স্বাস্থ্য শিবির
ইসিএলের শ্রীপুর এরিয়ার কালিপাহাড়ি (আর) কোলিয়ারির উদ্যোগে স্বাস্থ্যশিবির আয়োজিত হল। দু’জন চিকিৎসক ১৬০ জন পড়ুয়ার চিকিৎসা করেছেন।

মৃতদেহ উদ্ধার
আরজিকরে এক রোগিণীর ঝুলন্ত দেহ মিলল। মৃতার নাম মহুয়া বিশ্বাস (৩৫)। তিনি হাসপাতালের চক্ষু বিভাগে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পুলিশ জানায়, বুধবার সকালে হাসপাতালের একটি স্নানঘরে তাঁর দেহ মেলে। পুলিশের অনুমান, এটি আত্মহত্যা।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.