আয়োজক দেশের বিরুদ্ধে খুব সহজেই সিরিজটা জিতল ভারত। টি-টোয়েন্টিতে জয়ের পিছনে ছিল দুর্দান্ত বোলিং। মঙ্গলবার টিমে সহবাগ ও জাহিরের মতো দুই সিনিয়র ছিল না, কিন্তু ওদের অভাব একেবারেই ধরা পড়েনি। বল যেখানে সুইং করছে, সেখানে দুর্দান্ত বোলিং করল ইরফান আর দিন্দা। শ্রীলঙ্কার এই নতুন কেন্দ্র পাল্লেকেলেতে খোলা জায়গা যথেষ্ট। শ্রীলঙ্কার পিচের চরিত্র বদলে যাওয়ায় এখন সিমাররা সাহায্য পাচ্ছে। এটাও বোঝা যাচ্ছে, স্পিন বিভাগে নিজেদের দুর্বলতার ব্যাপারে শ্রীলঙ্কা যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। তাই ওরা ইচ্ছে করেই অন্য ভাবে খেলার চেষ্টা করছে। জয়সূর্য, অরবিন্দ ডি’সিলভা, মুরলী, ব্যাসের সময় নিজেদের দেশে শ্রীলঙ্কা খুব শক্তিশালী দল ছিল। কিন্তু এই দলটাকে বিশ্ব ক্রিকেটে বড় শক্তি হতে গেলে দলের তরুণদেরও সঙ্গকারা আর মাহেলার মতো নিজেদের প্রমাণ করতে হবে।
উপমহাদেশের পরিবেশে তরুণ ভারতীয় দলে বেশ কয়েকটা ভাল লক্ষণ দেখলাম। সিরিজের প্রতিটা ম্যাচে ইরফান পাঠান নিজেকে আরও উন্নত করেছে। ওর বোলিংয়ে সেই ধারটা ফিরে এসেছে। দেখা যাক টেস্টে সুযোগ পেলে নতুন আর পুরনো বলে ও ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারে কি না। আমার জন্য সিরিজের আবিষ্কার ছিল অশোক দিন্দা। শুধু টি-টোয়েন্টি নয়, তিন ধরনের ক্রিকেটেই ওকে সুযোগ দেওয়ার সময় এসেছে। গতি আর ফিটনেসযে দুটো জিনিস টেস্টে খুব গুরুত্বপূর্ণ, সে দুটোই দিন্দার আছে। পুরনো বলে রিভার্স সুইং করতেও জানে দিন্দা। উপমহাদেশের পিচে যেটা প্রচণ্ড জরুরি। সেটা সফল ভাবে করতে গেলে অবশ্য ঘণ্টায় ১৩৫-১৪০ কিলোমিটার গতিতে বল করতে হবে। আমার মনে হয় জাহিরের ধারাবাহিকতার পাশাপাশি দিন্দা আর উমেশ যাদব ভারতীয় বোলিং আক্রমণে শক্তি আর বৈচিত্র আনতে পারবে।
কোহলি আরও এক বার অসাধারণ খেলল। ও এমন একটা জায়গায় আছে যেখানে ও কোনও রকম ভুলই করতে পারছে না। দেখলাম ওর কিছু রক্ষণাত্মক শটও বাউন্ডারি পেরিয়ে যাচ্ছে। কোহলির মাথা আর পা যে একসঙ্গে কাজ করছে, এটা তারই লক্ষণ। যাই হোক, সিরিজটা ভারত খুব ভাল ভাবে শেষ করল। গত মরসুমের শেষে ধোনিরা যে জায়গায় ছিল, তার চেয়ে এখন ওরা অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে নিউজিল্যান্ড সিরিজের জন্য মুখিয়ে থাকবে। |