ছাত্র-সংঘর্ষ শিয়ালদহে, আহত তিন |
সুরেন্দ্রনাথ কলেজের গোলমাল ছড়িয়ে পড়ল শিয়ালদহ স্টেশন পর্যন্ত। বুধবার রাতে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে এসএফআইয়ের সঙ্গে সঙ্গে সংঘর্ষে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ বা টিএমসিপি-র তিন সমর্থক আহত হন। পুলিশ জানায়, শিয়ালদহ সুরেন্দ্রনাথ কলেজের সান্ধ্য বিভাগের ওই তিন ছাত্র হলেন মঙ্গল নস্কর, মেহবুব লস্কর ও খোকন নস্কর। তিন জনকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মঙ্গলকে ভর্তি করানো হয়েছে। অন্য দু’জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। কয়েক দিন ধরেই সুরেন্দ্রনাথে দু’পক্ষের মধ্যে ঝামেলা চলছে। মঙ্গলবার এসএফআইয়ের পথসভার মাইক খুলে নেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় ওই কলেজের দিবা বিভাগে। ওই পথসভার পরে পাল্টা মিছিল করে টিএমসিপি। আগের দিনের গোলমালের সঙ্গে বুধবারের সংঘর্ষের যোগ আছে কি না, পুলিশ তা জানাতে পারেনি। পুলিশি সূত্রের খবর, সংঘর্ষে আহত তিন ছাত্রই জানান, তাঁরা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমর্থক। তাঁদের অভিযোগ, রাতে কলেজে ক্লাসের পরে বাড়ি ফেরার সময় শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার প্ল্যাটফর্মে কলেজেরই বেশ কয়েক জন এসএফআই-সমর্থক তাঁদের উপরে চড়াও হয়। হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। এসএফআই-সমর্থকেরা দলে ভারী থাকায় মঙ্গল-মেহবুবেরা বেশি ক্ষণ যুঝতে পারেননি। বেধড়ক মারধর করা হয় ওই তিন ছাত্রকে। পরে খবর পেয়ে কলেজ থেকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অন্য সমর্থকেরা ছুটে আসেন। ওই তিন ছাত্র শিয়ালদহ জিআরপি এবং মুচিপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এসএফআইয়ের বক্তব্য জানা যায়নি।
|
ব্যবসায়ীকে ঠকিয়ে ৭ লক্ষ টাকা-বোঝাই ব্যাগ নিয়ে পালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ধৃত এক যুবককে জেরা করে বুধবার প্রায় দু’লক্ষ টাকা উদ্ধার হল। বাকিদের খোঁজ চলছে। যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ দমন) পল্লবকান্তি ঘোষ এ দিন জানান, রানিগঞ্জের বাসিন্দা সন্তোষকুমার গোয়েন্কা বৈদ্যুতিন দ্রব্যের ব্যবসায়ী। কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ কিনতে জুলাইয়ের শেষে নিউ মার্কেটে যান তিনি। তখনই সন্তোষবাবুর সঙ্গে আলাপ হয় গোপাল হাটওয়াল নামে বর্ধমানের এক যুবকের। অভিযোগ, গোপাল সন্তোষবাবুকে কম দামে যন্ত্রাংশ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক সপ্তাহ পরে আসতে বলে। ১ অগস্ট হাওড়া থেকে সন্তোষবাবুকে হোটেলে নিয়ে যায় গোপাল। সঙ্গে ছিল ৩-৪ জন। ওই ব্যবসায়ীকে তারা বলে, টাকা দেখানোর পরেই সব জিনিস মিলবে। অভিযোগ, সন্তোষবাবু ব্যাগভর্তি টাকা দেখালে হাতসাফাই করে ব্যাগ-বদল করে তারা চম্পট দেয়। তবে গোপাল সে দিনই গ্রেফতার হয়।
|
ভাড়াবৃদ্ধির দাবি ও পুলিশি জুলুমের প্রতিবাদে বুধবার কয়েকশো মিনিবাস মালিক ‘ভুখামিছিল’ বার করেন। বিড়লা তারামণ্ডলের পাশ থেকে মিছিল পৌঁছয় রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে। সেখান থেকে একটি প্রতিনিধিদল রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালকে স্মারকলিপি জমা দেয়। মিনিবাস মালিক সংগঠনের সম্পাদক অবশেষ দাঁ বলেন, “পুলিশি জুলুম বন্ধ ও ভাড়া বৃদ্ধি করা না হলে বাস চালাতে পারছি না।” পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র বলেন, “জুলুমের প্রমাণ দিলে দোষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকার এখনই ভাড়াবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিতে চায় না।” |