মেট্রোর এসি কামরায় ‘বর্ষণ’
লেজ যাবেন বলে শ্যামবাজার স্টেশন থেকে মেট্রোয় উঠেছিলেন কয়েক জন ছাত্রী। বাতানুকূল ট্রেনটি সেন্ট্রাল স্টেশনে ঢোকার মুখে চালক ব্রেক কষলেন। একটু দুলুনিতেই কামরার ছাদের ফাঁক দিয়ে মোটা তোড়ে বেরিয়ে এল ঠাণ্ডা জল। ভিজে গেলেন ওই ছাত্রীরা। বুধবারের ঘটনা।
তবে এটা এক দিনের ব্যাপার নয়। প্রায়ই এই কাণ্ড হচ্ছে বাতানুকূল মেট্রোর কামরাগুলিতে। কিন্তু এটা নিয়ে মাথাব্যথা নেই মেট্রো কর্তৃপক্ষের। যদিও তাঁদের বক্তব্য, অভিযোগ পেলেই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কিন্তু কেনই বা জল পড়ছে ট্রেনের ছাদ থেকে?
মেট্রোর ইঞ্জিনিয়ারেরা জানিয়েছেন, মেট্রোর বাতানুকূল যন্ত্রগুলি কামরার ছাদে লাগানো রয়েছে। প্রতিটি যন্ত্রের কনডেন্সার অতিরিক্ত ঠাণ্ডা হওয়ায় তার গায়ে বরফ জমে। ওই বরফ বাতাসের সংস্পর্শে গলে জল হয়ে ছাদে জমে। ওই জল বার করার জন্য পাইপ থাকে। তা কোনও কারণে বন্ধ হয়ে গেলে জল ছাদের উপরেই জমে থাকে এবং একটু নাড়াচাড়া হলেই কামরার ভিতরে পড়তে থাকে।
মেট্রোর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার প্রত্যুষ ঘোষ বলেন, “কয়েক বার অভিযোগ পেয়েছি। যে সব কামরা থেকে অভিযোগ আসছে, সেগুলি ভাল করে দেখা হচ্ছে।” মেট্রোর বাতানুকূল রেক আপাতত ৯টি। তার মধ্যে চলছে ৮টি রেক। মেট্রো সূত্রে খবর, জল পড়ার সমস্যা বর্ষায় বাড়ে। মেট্রোর ইঞ্জিনিয়ারদের ব্যাখ্যা, বাতাসে আর্দ্রতা বেশি হলেই শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের কনডেন্সারের গায়ে বেশি বরফ জমে। ফলে জলও বেশি পড়ে। এ প্রসঙ্গে প্রত্যুষবাবু বলেন, “কামরাগুলির শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের পাইপলাইন পরিষ্কার করে নতুন করে লাগানোর জন্য বলেছি। আশা করছি, কিছু দিনের মধ্যেই এই গোলমাল ঠিক হয়ে যাবে।”
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.