চলতি বর্ষাকালীন অধিবেশনেই কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি)-এর কয়লা ব্লক বণ্টন সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করা হবে সংসদে। কয়লা ব্লক বণ্টন নিয়ে সাম্প্রতিক অনিয়মের অভিযোগ এবং রাজনৈতিক চাপান উতোরের মধ্যেই কেন্দ্র এই সিদ্ধান্ত নিল। অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম আজ এ কথা জানিয়ে বলেন, এ নিয়ে আর দেরি করতে চায় না সরকার।
সিএজি-র খসড়া রিপোর্টটি ফাঁস হয়ে যাওয়ার অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় হয় সংসদের বাজেট অধিবেশন। অণ্ণা হজারে ও তাঁর অনুগামীরা বিষয়টিকে ঘিরে কেন্দ্রীয় সরকারের উপর আক্রমণ শাণাতে থাকেন। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ এই অভিযোগ উড়িয়ে বলেছিলেন, সিএজি রিপোর্ট সরকারের হাতে আসেনি। এলে সরকার সংবিধানের নিয়ম মেনে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি-র কাছে সব অভিযোগের জবাব দেবে।
২০০৪ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে নিলাম ছাড়াই কয়লা ব্লক বণ্টনের ক্ষেত্রে ‘অন্যায় ভাবে’ কিছু বেসরকারি সংস্থাকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ খসড়া সিএজি রিপোর্টে উঠেছে বলে আগেই জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট মহল। ওই পাইয়ে দেওয়ার অঙ্ক ১.৮ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে বলেও রাজনৈতিক মহলে অভিযোগ। টাটা গোষ্ঠী, জিন্দল স্টিল, অনিল অগ্রবাল গোষ্ঠীর সংস্থা, এসার গোষ্ঠীর বিদ্যুৎ সংস্থা, আদানি গোষ্ঠী, আর্সেলরমিত্তল এবং ল্যাঙ্কো-র মতো সংস্থার নাম এই বেআইনি লেনদেনের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে বলেও অভিযোগ।
অন্য দিকে, দিল্লি বিমানবন্দর আধুনিকীকরণে জিএমআরকে বাড়তি সুবিধা দেওয়া হয় বলেও সিএজি-র আর একটি খসড়া রিপোর্ট ফাঁস হয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে। সেটিও একই সঙ্গে সংসদে পেশ করা হবে বলে অর্থমন্ত্রী জানান। |