|
|
|
|
এমডি, এমএসে ভর্তি |
বাড়তি নম্বরের বিজ্ঞপ্তি কি বাতিল, নয়া বিতর্ক কোর্টে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
মামলার কারণে ডাক্তারির উচ্চ পাঠ্যক্রমে সরকারি চিকিৎসকদের ভর্তি আটকে আছে। তার মধ্যেই ওয়েবসাইটে পাওয়া একটি তথ্যকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে এমএস, এমডি পাঠ্যক্রমে ভর্তির পদ্ধতি নিয়ে নতুন বিতর্ক দেখা দেয়।
স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ‘দুর্গম ও উপদ্রুত’ এলাকার হাসপাতালে কর্মরত সরকারি চিকিৎসকদের প্রবেশিকা পরীক্ষায় ৩০ শতাংশ বাড়তি নম্বর দেওয়া হবে বলে রাজ্য সরকার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয় এবং শেষ পর্যন্ত বিষয়টি আদালতে গড়ায়। এ দিন হাইকোর্টে পেশ করা একটি ওয়েবসাইট-তথ্যে বলা হয়েছে, সরকার নিজেরাই বাড়তি নম্বর সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিটি খারিজ করে দিয়েছে। ২০১২-’১৩ শিক্ষাবর্ষে এমডি, এমএস পাঠ্যক্রমে এখনও সরকারি চিকিৎসকদের ভর্তি করা যায়নি। ‘ফাউ’ নম্বরের ভিত্তিতে কাউকে ভর্তি করা যাবে কি না, সেই বিষয়ে শুনানি চলছে বিচারপতি শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি হরিশ টন্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে। যদিও বিচারপতি প্রতাপ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ অন্তর্বর্তী নির্দেশে জানিয়েছিল, মেধার ভিত্তিতেই চিকিৎসাবিদ্যার উচ্চ পাঠ্যক্রমে ভর্তি করতে হবে। মামলা না-মেটা পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে ভর্তি।
এ দিন বিচারপতি শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। যে-সব চিকিৎসক মেধার ভিত্তিতে ভর্তির পক্ষে, তাঁদের আইনজীবী রাজর্ষি হালদার ওয়েবসাইটের তথ্য জমা দিয়ে বলেন, এতে দেখা যাচ্ছে, সরকার ২০১১ সালের ২৩ নভেম্বর জারি করা বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করে নিয়েছে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে দুর্গম ও উপদ্রুত এলাকায় কর্মরত চিকিৎসকদের ৩০ শতাংশ অতিরিক্ত নম্বর দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। তা নিয়েই মামলা শুরু হয়। রাজর্ষিবাবু বলেন, ওয়েবসাইটের এই তথ্য যদি সত্য হয়, সে-ক্ষেত্রে মামলাটিই অস্তিত্বহীন হয়ে যাবে। এবং সরকারি চিকিৎসকদের ভর্তি করতে হবে মেধার ভিত্তিতেই। ডিভিশন বেঞ্চ সরকারি আইনজীবীদের জানায়, বেলা ২টোয় ওই তথ্য সম্পর্কে তাঁদের বক্তব্য হাইকোর্টকে জানাতে হবে।
বেলা ২টোয় সরকার পক্ষের আইনজীবী সুব্রত তালুকদার ডিভিশন বেঞ্চকে বলেন, তিনি ওই ওয়েবসাইট-তথ্যের প্রিন্ট দেখেছেন। রাজ্য সরকারকে বিষয়টি জানিয়েছেন। কিন্তু এখনও কোনও সরকারি নির্দেশ পাননি। তাই ওয়েবসাইটের ওই তথ্যের সত্যতা সম্পর্কে তিনি কিছু বলতে পারছেন না। সরকারের কোনও নির্দিষ্ট মতামত জানতে না-পারায় ডিভিশন বেঞ্চ এ দিনের মতো শুনানি মুলতুবি করে দেয়। আজ, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজ্য সরকারকে তাদের বক্তব্য জানাতে হবে। সরকারের বক্তব্যের উপরেই মামলার শুনানি নির্ভর করছে। |
|
|
|
|
|