|
|
|
|
‘জল ধরো-জল ভরো’ |
পূর্বে পুকুর খনন, সংস্কারে বরাদ্দ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
রাজ্য সরকারের ‘জল ধরো জল ভরো’ প্রকল্পে পূর্ব মেদিনীপুরে ২৩টি জলাশয় খনন-সংস্কার করার জন্য অর্থ বরাদ্দ করল জল সম্পদ অনুসন্ধান ও উন্নয়ন দফতর। প্রতিটি জলাশয় খননের জন্য গড়ে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। জলাশয় খননের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে জেলা কৃষি-সেচ দফতর। চলতি আর্থিক বছরের মধ্যে ওই জলাশয় খননের কাজ সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের জলসম্পদ অনুসন্ধান ও উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র বলেন, “নতুন জলাশয় খনন ও পুরাতন জলাশয় সংস্কার করার জন্য রাজ্যের সমস্ত জেলাতেই কাজ শুরু হয়েছে। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় এই কাজ চলছে। এছাড়া বৃষ্টির জল ধরে তা ভূগর্ভের জলস্তরে পাঠানোর কাজও শুরু হয়েছে।”
জেলা কৃষি-সেচ দফতর সুত্রে জানা গিয়েছে, জল ধরো জল ভরো প্রকল্পে নতুন জলাশয় খনন ও পুরনো জলাশয় সংস্কার করার জন্য জেলার সমস্ত ব্লক থেকে প্রস্তাব চেয়েছিল রাজ্যের জল সম্পদ দফতর। জেলার ২৫টি ব্লকের মধ্যে নন্দীগ্রাম-১ ব্লক থেকে সবচেয়ে বেশি প্রস্তাব জমা পড়ে। প্রথম পর্যায়ে জমা পড়া প্রস্তাব খতিয়ে দেখার পর চলতি আর্থিক বছরে ২৩টি প্রকল্প অনুমোদন করে অর্থ বরাদ্দ করেছে জল সম্পদ দফতর। প্রতিটি প্রকল্পের জন্য গড়ে ৪ লক্ষ ২ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। জেলা কৃষি-সেচ দফতরের নির্বাহী বাস্তুকার বিশ্বজিৎ বেরা বলেন, “চলতি আর্থিক বছরের মধ্যে এই সব প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। কাজের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পে জলাশয় খনন ও সংস্কারের জন্য আরও বেশ কিছু প্রস্তাব জমা পড়েছে।’’ বিশ্বজিৎবাবু জানান, এই প্রকল্পের পাশাপাশি ভূগর্ভস্থ জলের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে ‘আর্টিফিশিয়াল গ্রাউন্ড ওয়াটার রির্চাজ স্কিমে’ বৃষ্টির জল ধরে পরিস্রুত করে মাটির নীচে জলস্তরে পাঠানোর কাজ শুরু করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ময়না বিবেকানন্দ কন্যা বিদ্যাপীঠে এই প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। জেলার আরও ১০টি স্কুলে এই কাজ হবে। প্রায় ৮-১০ লক্ষ টাকার ওই প্রকল্পে বৃষ্টির জল ধরে বিশেষ পদ্ধতিতে পরিস্রুত করে পাইপ লাইনের মাধ্যমে মাটির ১৫০ মিটার নিচের জলস্তরে পাঠানো হচ্ছে। |
|
|
|
|
|