বনকর্তার মামলা, স্থগিত শুনানি |
রাজ্যের ‘হেড অব ফরেস্ট’ পদের প্রায় সমমর্যাদার একটি পদ তৈরির সরকারি সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন প্রধান মুখ্য বনপাল মির্জা আসগর সুলতান। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সেই মামলার শুনানির শুরুতেই মঙ্গলবার, বিচারপতি প্রতাপ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ মন্তব্য করে, রাজ্য সরকার যা করেছে, তা ‘অনুচিত’। তবে ওই ডিভিশন বেঞ্চ এ দিন চূড়ান্ত রায় দেয়নি। সরকারি আইনজীবী অশোক বন্দ্যোপাধ্যায় ডিভিশন বেঞ্চকে জানান, বন দফতরের অন্য প্রধান মুখ্য বনপাল (পিসিসিএফ-জেনারেল) অতনু রাহা কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন। চলতি মাসেই সেই মামলার শুনানি হবে। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ আপাতত তাই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এমএ সুলতানের করা মামলার শুনানি স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে। এমএ সুলতান অবশ্য গত বছর মে মাসে রাজ্যে পালাবদলের পরেই তৎকালীন ‘হেড অফ ফরেস্ট’ অতনু রাহার নিয়োগ বেআইনি বলে দাবি করে কলকাতা হাইকোর্টে আরও একটি মামলা করেছিলেন। হাইকোর্ট সেই সময়ে অতনুবাবুকে সরিয়ে সুলতানকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করার নির্দেশ দেয়। নির্দেশ মেনে সুলতানকে বন দফতরের শীর্ষ পদ, ‘হেড অফ ফরেস্ট’ পদে নিয়োগ করে সরকার। এর পরেই গত ফেব্রুয়ারিতে বনমন্ত্রী হিতেন বর্মনের সঙ্গে করাতকল বন্ধ করা নিয়ে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন সুলতান। তার জেরে সুলতানের ক্ষমতা ‘ছাঁটাই’ করা হয়। প্রায় সমকক্ষ একটি অস্থায়ী পদ তৈরি করে প্রত্যাবর্তন ঘটানো হয় অতনু রাহার। ক্ষুব্ধ সুলতান সরকারি সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে ফের দ্বারস্থ হন হাইকোর্টের।
|
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
সাপের ছোবলে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। মৃতের নাম শ্যামলাল টুডু (৩২)। পুলিশ জানিয়েছে, হিরাপুর থানার শ্যামডিহি এলাকায় একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করতেন শ্যামলালবাবু। মঙ্গলবার সকালে কর্মরত অবস্থাতেই ঘটনাটি ঘটে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মারা যান তিনি। পরে স্থানীয় বাসিন্দা ও অন্যান্য কর্মীরা ওই বেসরকারি সংস্থার আধিকারিকদের ঘিরে ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ চলার পরে কর্তৃপক্ষের তরফে ক্ষতিপূরণের আশ্বাস পেলে বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হয়। |