ট্র্যাফিক পুলিশ-স্ট্যান্ড রয়েছে। কিন্তুর সেটির হাল খারাপ। রাস্তার ধারে অবহেলায় ফেলে রাখা হয়েছে। ফলে আমতার কলাতলা মোড়ে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের হালও তথৈবচ।
কলাতলা মোড় যান চলাচলের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। বাগনান, উলুবেড়িয়া, সাঁকরাইল, ধর্মতলা এবং হাওড়া থেকে কোনও গাড়ি আমতা শহরে ঢোকার জন্য কলাতলার মোড় পার হতে হয়। এখান থেকে একটি রাস্তা বেরিয়ে নতুন রাস্তার মোড়ের কাছে যোগ হয়েছে আমতা-উদয়নারায়ণপুর রাস্তার সঙ্গে। এই দুইয়ের ফলে কলাতলার মোড়ে গাড়ির ভিড় লেগেই থাকে।
আমতা-বাগনান, উলুবেড়িয়া-সাঁকরাইল রুটে বেসরকারি বাস চলাচল করে। আমতা-ধর্মতলা রুটে চলাচল করে সিটিসি বাস। প্রতিটি রুটের বাস কলাতলার মোড়ে এসে যাত্রীদের পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করে। ডিহিভুরসুট, ঝিকিরা এবং নারিট থেকে হাওড়া পর্যন্ত বিভিন্ন রুটের বেসরকারি বাস কলাতলার মোড়ে যাত্রী তোলার জন্য অপেক্ষা করে। বাস ছাড়া ট্রেকার এবং অটো রিকশাও কলাতলার মোড়ে যাত্রী তোলে।
যানজট এখানে নিত্য সমস্যা। সাইকেল আরোহী ও পথচারীরা যাতায়াত করতেও ঝামেলায় পড়েন। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, বিশেষ করে সকালে স্কুল শুরু হওয়ার সময়ে এবং বিকেলে ছুটির সময়ে কলাতলার মোড়ে ট্র্যাফিক পুলিশের সাহায্যে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। |
আমতা সিনেমাতলাতেও নিত্য যানজট। এখান থেকে জগৎবল্লভপুরের মুন্সিরহাট হয়ে চলাচল করে হাওড়া-আমতা রুটের বাস। সিনেমাতলার উপর দিয়ে বাসগুলি যাতায়াত করে। বিভিন্ন রুটের অটোও সিনেমাতলার হয়ে চলাচল করে। ফলে এখানে নিত্য যানজট। সকাল-বিকেলে ট্র্যাফিক পুলিশ মোতায়েন করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আমতা সিটিজেন্স ফোরামের সম্পাদক ফটিক চক্রবর্তী বলেন, “কলাতলার মোড় এবং সিনেমাতলার মোড় দু’টি জায়গাতেই সকাল-বিকেল ট্র্যাফিক পুলিশ দরকার। আমরা অনেকবার এই দাবি জানিয়ে পুলিশের কাছে দরবার করেছি। আমতা কলাতলার মোড়ে একটি ট্র্যাফিক স্ট্যান্ড বসানো হলেও সেখানে কোনও পুলিশকর্মী দেওয়া হয়নি। এখানে এবং সিনেমাতলার মোড়ে ট্র্যাফিক পুলিশ মোতায়েন করলে যানজট কমবে। দুর্ঘটনা এড়ানো যাবে।”
পুলিশের পক্ষ থেকে এই দু’টি এলাকায় ট্র্যাফিক পুলিশ মোতায়েন করার প্রয়োজনীয়তার কথা স্বীকার করা হয়েছে। একই সঙ্গে জেলা পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, পর্যাপ্ত পুলিশকর্মী না-থাকার জন্যই ট্র্যাফিক পুলিশ দেওয়া যাচ্ছে না। |