জয়নগর পল্লিশ্রী বিদ্যানিকেতন |
প্রতিষ্ঠা ১৯৬২। ছাত্র সংখ্যা ২০৩০।
মোট শিক্ষক-শিক্ষিকা ২৩ জন।
পার্শ্বশিক্ষক ৬ জন। শিক্ষাকর্মী ৩। জন।
২০১২ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ২০৩ জন। উত্তীর্ণ
২০৩ জন। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ১৬২ জন। উত্তীর্ণ ১৪২ জন। |
|
|
বিপ্লবকুমার মান্না
(প্রধান শিক্ষক) |
|
পড়াশোনার পাশে পড়ুয়াদের খেলাধূলার চর্চাও হয় জোরদার
|
১৯৬২ সালে তৈরি হয় জয়নগর পল্লীশ্রী বিদ্যানিকেতন। এই স্কুলের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বলাইচরণ রায়। তিনি ছিলেন প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। সারা জীবনের উপার্জন তিনি স্কুলের প্রতিষ্ঠায় দান করেছিলেন। কিন্তু এই টাকা ছিল অপ্রতুল। ফলে তিনি গ্রামবাসীদের কাছ থেকে কার্যত ভিক্ষা সংগ্রহ করেছিলেন। স্কুলের পাকা ভবন তৈরির সময় তিনি নিজেই রাজমিস্ত্রির মতো ইট গেঁথেছিলেন। ওই বছর যে বীজ বপন করা হেয়েছিল পরবর্তীকালে তা যে মহিরূহে পরিণত হয়েছে তার প্রমাণ চলতি বছরে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল। মাধ্যমিক পরীক্ষায় এই স্কুলের ছাত্রী বিয়াস কোলে জেলায় যুগ্ম ভাবে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় এই স্কুলের ছাত্র ছাত্র হিমাদ্রী রায় জেলায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে। এই রকম ফলাফল স্কুলে গত কয়েক বছর ধরেই হয়ে চলেছে।
শুধু পড়াশোনা নয়। ছাত্র-ছাত্রীদের খেলাধূলার প্রতিও নজর দেওয়া হয়। বিশেষ করে খো খো খেলায় আমাদের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের উৎর্ষতা একাধিকবার প্রমাণিত। বিজ্ঞান মডেল প্রদর্শনীতে আমাদের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা একাধিকবার জাতীয় স্তরে প্রতিনিধিত্ব করেছে। শিক্ষক-শিক্ষিকা, পরিচালন সমিতি, গ্রামবাসী সকলের মিলিত প্রচেষ্টার ফল এ সব।
তবে কিছু সমস্যা যে নেই তা বলা যাবে না। প্রয়োজনীয় শৌচাগার, গ্রন্থাগারিক, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে দর্শন পড়ানোর অনুমোদন, বিজ্ঞান বিভাগে কম্পিউটার পড়ানোর অনুমোদন প্রভৃতির আশু প্রয়োজন। এ ছাড়াও, দরকার মিড ডে মিলের স্থায়ী রান্নাঘর এবং খাবার ঘর। |
আমার চোখে
অনির্বাণ পাল
(ক্লাস টেন-এর ফার্স্ট বয়) |
|
|
হেসে খেলে আনন্দের সঙ্গে আমরা শৃঙ্খলার মধ্যে থেকে উপযুক্ত মানুষ হয়ে ওঠারও শিক্ষা পাই এই স্কুলে। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিরলস প্রচেষ্টা আমাদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে অনেকটাই সহায়তা করে। শুধু তাই নয়, তাঁদের কাছ থেকে যে স্নেহ ভালোবাসা পাই, সেটারও মূল্য অনেক। আমরা পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধূলা এবং সংস্কৃতি চর্চাও করি। আমার বিশ্বাস স্কুলকে কেন্দ্র করে আমাদের সমাজ আরও সুন্দর হয়ে উঠবে। |