মেছো ভেড়িতে রাতপাহারা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হলেন এক তৃণমূল কর্মী। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে জীবনতলা থানার মৌখালিতে সোমবার সকালে ওই ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে নিহতের নাম আকবত মোল্লা (২৮)। তাঁর বাড়ি মৌখালি গ্রামেই। তিনি তৃণমূলের অঞ্চল কমিটির সদস্য ছিলেন। গ্রামেরই একটি মেছোভেড়িতে আকবত ও তাঁর ভাই শাজাহান রাতপাহারার কাজ করতেন।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার প্রবীণ ত্রিপাঠী বলেন, “নিদিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।” সোমবার রাত পর্যন্ত এই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি বলে জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর এ দিন সকালে আকবত ও শাজাহান রাতপাহারা সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় জনা পনোরোর এক দুষ্কৃতী দল তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আকবতের পেটে গুলি লাগে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। শাজাহান বলেন, “দুষ্কৃতীদের গুলি ছুড়তে দেখে আমরা পালানোর চেষ্টা করি। সেই সময়েই দাদার পেটে গুলি লাগে।” ক্যানিং ২ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি সওকত মোল্লার অভিযোগ, “সিপিএম এই এলাকায় জমি ফিরে পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। ওরাই পরিকল্পিত ভাবে আমাদের দলীয় কর্মীকে খুন করে সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে চাইছে।” অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক ও প্রাক্তন মন্ত্রী সিপিএমের রেজ্জাক মোল্লা বলেন, “ওখানে সিপিএম কোথায়? সবই তো তৃণমূল। মেছোভেড়ির দখল নিয়ে তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াইয়ের পরিণতি এটা। নিরপেক্ষ তদন্ত হলে সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।”
জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের যুব কংগ্রেস সভাপতি ইব্রাহিম মোল্লা বলেন, “বিধানসভা ভোটের পর থেকে এই তেরো মাসে ক্যানিং পূর্ব এলাকায় ১৩ জন খুন হয়েছেন। বিধানসভা ভোটের সময় যে সমস্ত সিপিএম কর্মী ওই এলাকায় আমাকে হারিয়ে দিয়েছিল তারাই এখন তৃণমূল হয়ে গিয়েছে। আমরা ভেবেছিলাম পরিবর্তনের সরকারের আমলে শান্তি ফিরবে। উল্টে একের পর এক খুনে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম হয়েছে।” |