|
|
|
|
বাড়ি পাননি গরিব মানুষ, ধর্নায় বামেরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খড়্গপুরে এসে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ‘সুখী গৃহ’ প্রকল্পে রেল কলোনির গরিব মানুষদের বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে। এলাকার সার্বিক উন্নয়ন হবে। সেই প্রতিশ্রুতি এখনও কেন কার্যকর হল নাএই প্রশ্ন তুলে সোমবার বিকেলে খড়্গপুরে ডিআরএম-এর দফতরের সামনে ধর্নায় বসে বামফ্রন্ট। কর্মসূচিতে যোগ দেন ফ্রন্টের দুই সাংসদ প্রবোধ পণ্ডা ও পুলিনবিহারী বাস্কে। পরে ফ্রন্টের এক প্রতিনিধি দল ডিআরএম রাজীবকুমার কুলশ্রেষ্ঠ’র সঙ্গে দেখা করে বিভিন্ন দাবি জানায়। দাবি খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করার আশ্বাস দেন ডিআরএম। রাজ্যে পালাবদলের আগে ২০১০ সালে খড়্গপুরে এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন তিনি রেলমন্ত্রী। রেলের একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসে খড়গপুরে রেলের কলোনি এলাকায় ‘সুখী গৃহ’ প্রকল্পে বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে নার্সিং কলেজ তৈরি-সহ আরও কয়েকটি প্রতিশ্রুতি দেন। এই সব প্রতিশ্রুতি এখনও কেন কার্যকর হল না, এই প্রশ্ন তুলেই আন্দোলনে নেমেছে বামফ্রন্ট। ধর্না কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন মনোজ ধর, বিপ্লব ভট্ট প্রমুখ। |
|
বামেদের ধর্না। —নিজস্ব চিত্র। |
খড়গপুর শহরের একটা বড় অংশ জুড়ে রেলের এলাকা রয়েছে। আগে রেল এলাকা পুরসভার মধ্যে ছিল না। ফলে সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষকে নানা সমস্যায় পড়তে হত। সামান্য পরিষেবা পেতেও তাঁদের রেল-কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হতে হত। এখন অবশ্য রেল এলাকাও পুরসভার মধ্যে চলে এসেছে। পুরসভা সূত্রে খবর, রেল এলাকায় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ২৬টি বস্তি রয়েছে। প্রায় ৮ হাজার মানুষ এখানে থাকেন। বস্তি গড়ে উঠেছে মূলত গোলবাজার, ওল্ড সেটেলমেন্ট, নিউ সেলেটমেন্ট, ট্রাফিক, মথুরাকাটি, নিমপুরা প্রভৃতি এলাকায়। গোলবাজারের আজাদ বস্তিতে কয়েকশো মানুষের বসবাস। রেলে কাজের সূত্রেই অনেকে ভিন্ রাজ্য থেকে রেলশহরে আসেন। তারপর পাকাপাকি ভাবে খড়গপুরেরই বাসিন্দা হয়ে যান। এক সময় বস্তিবাসীদের আশঙ্কা ছিল, যে কোনও সময় তাঁদের উচ্ছেদ হতে হবে। রেলের অনুষ্ঠানে শহরে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য ঘোষণা করেছিলেন, উচ্ছেদের প্রশ্নই নেই। বরং কলোনির বাসিন্দাদের জন্য রেল জমি দেবে। সেই জমিতে পুরসভা বাড়ি তৈরি করবে। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি কার্যকর করার ক্ষেত্রে প্রশাসন উদ্যোগী নয় বলেই অভিযোগ বামফ্রন্টের। শুধু সুখী গৃহে বাড়ি তৈরিই নয়, কলোনি এলাকায় পানীয় জল-শৌচাগারের ব্যবস্থা, নার্সিং কলেজ তৈরির কাজ শুরু করা, রেল এলাকার মধ্যে থাকা দোকানগুলোর সংস্কারের অনুমতি দেওয়া-সহ বেশ কয়েক দফা দাবি জানানো হয়। ডিআরএম দাবি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছেন বলে ফ্রন্ট নেতৃত্ব জানিয়েছেন। |
|
|
|
|
|