৯/১১-পরবর্তী আমেরিকায় বার বার বর্ণবিদ্বেষের শিকার হচ্ছেন ভারতীয়রা। উইসকনসিনের ওক ক্রিক গুরুদ্বারে শ্বেতাঙ্গ বন্দুকবাজের হাতে আঁকা ‘৯/১১’-র উল্কি তার-ই ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে আশঙ্কা মার্কিন প্রশাসনের। নিহত বন্দুকবাজ সম্পর্কে আজ পেন্টাগন সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর নাম ওয়েড মাইকেল পেজ। তিনি মার্কিন সেনাবাহিনীর প্রাক্তন সদস্য। সাধারণত ‘মনস্তত্ত্বমূলক অভিযানে’ অংশ নিতেন তিনি। তা ছাড়া, ‘শ্বেতাঙ্গরাই সর্বশ্রেষ্ঠ’ এই মতবাদেরই তিনি নাকি সমর্থক ছিলেন। এর চেয়ে বেশি কোনও তথ্য প্রকাশ করতে নারাজ হলেও মার্কিন প্রশাসনের তরফে কার্যত স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে যে, রবিবারের ঘটনা ‘দেশীয় সন্ত্রাসবাদের’ই ফসল। আমেরিকায় শিখরা তাঁদের বিশেষ পোশাকের জন্য অনেক সময়েই শ্বেতাঙ্গ বর্ণবিদ্বেষের শিকার হয়েছেন।
রবিবারের ওই হামলায় নিহত ছ’জনের মধ্যে রয়েছেন নয়াদিল্লির এক পুরনো বাসিন্দা রঞ্জিত সিংহ ও তার ভাই সীতা সিংহ। মারা গিয়েছেন ওই গুরুদ্বারের সভাপতি সতবন্ত কালেকা। আজ সতবন্তের ছেলে বলেন, “বাবা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ওই বন্দুকবাজকে আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন। গুলি খেয়ে তিনি অন্যদের সঙ্গে একটি ঘরে আত্মগোপন করেন। সেখান থেকেই তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়।” গুরুদ্বারের গ্রন্থিক প্রকাশ সিংহ গত জুন মাসেই দেশ থেকে নিয়ে এসেছিলেন স্ত্রী এবং ছেলেমেয়েকে। কালকের হামলায় তিনিও নিহত হন। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, একাধিক হামলাকারী ছিলেন। তবে ওক ক্রিক পুলিশ প্রধান সেই দাবি নস্যাৎ করে জানিয়েছেন, হামলাকারী ছিলেন এক জনই।
ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। স্তম্ভিত ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহও। আজ তিনি বলেন, “ধর্মস্থানে এই ধরনের হিংসাত্মক ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক।” বিদেশমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণও আজ বলেন, “যে কোনও মূল্যে শিখদের ধর্মীয় উপাসনালয়গুলি রক্ষা করতে ভারত সব রকম চেষ্টা করবে।” |