উচ্চ আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ বারবার অগ্রাহ্য করেছেন বর্ধমানের নোয়াপাড়া হাইস্কুলের পরিচালন কমিটির সম্পাদক। তাই তাঁকে হাইকোর্টে হাজির করানোর জন্য এ বার পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি জয়ন্ত বিশ্বাস। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, সম্পাদকের সঙ্গেই আদালতে আনতে হবে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষককেও। কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে বর্ধমান জেলা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে এই নির্দেশের কথা জানিয়ে দিতে বলেছেন বিচারপতি।
রাজ্য সরকারের পক্ষে আইনজীবী সুমন সেনগুপ্ত আদালতকে জানান, সরকারের তরফে ওই স্কুলের সম্পাদককে যথাসময়েই হাইকোর্টে হাজির হওয়ার নির্দেশের কথা জানানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেই নির্দেশ উপেক্ষা করেছেন।
এই মামলার মূল আবেদনকারী শ্যামসুন্দর তা। ২০০১ সালে ওই স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর পদে নিয়োগের জন্য কর্মসংস্থান কেন্দ্র থেকে ২০ জনের নাম পাঠানো হয়েছিল। আবেদনকারীর বক্তব্য, তাঁর থেকে পরে যাঁরা কর্মসংস্থান কেন্দ্রে নাম নথিভুক্ত করিয়েছেন, তাঁদের সাক্ষাৎকারে ডাকা হলেও তাঁকে ডাকা হয়নি। ২০০২ সালে শ্যামবাবু হাইকোর্টে মামলা করেন। শ্যামবাবুর আইনজীবী গোলাম মোস্তাফা বলেন, সেই সময় হাইকোর্ট শ্যামবাবুকে সাক্ষাৎকারে যোগ দেওয়ার অনুমতি দেয়। শ্যামবাবু সাক্ষাৎকারে যোগ দেন এবং যোগ্য প্রার্থীদের তালিকায় প্রথম হন। তাঁর চাকরিও হয়।
তার পরে সুশীল রায় নামে এক প্রার্থী হাইকোর্টে আবেদন করে বলেন, শ্যামবাবুর নাম আগে কর্মসংস্থান কেন্দ্রে নথিভুক্তই হয়নি। তিনি যদি সাক্ষাৎকারে সুযোগ না-পেতেন, তা হলে চাকরিটা হত সুশীলবাবুরই। এই মামলার শুনানির সময় বিচারপতি জয়ন্ত বিশ্বাস স্কুলের সম্পাদককে ওই সাক্ষাৎকার পর্বের যাবতীয় নথিপত্র নিয়ে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু সম্পাদক বিচারপতির নির্দেশ অগ্রাহ্য করেন। সোমবারেও তাঁর হাজির হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি গরহাজির ছিলেন এবং হাইকোর্টকে কিছু জানাননি। এই নিয়ে বিচারপতি এ দিন ক্ষোভ প্রকাশ করেন। নোয়াপাড়া থানার ওসি-কে বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, ১৭ অগস্ট সকাল সাড়ে ১০টায় ওই স্কুলের সম্পাদককে আদালতে হাজির করাতে হবে। এজলাসে আনতে হবে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষককেও। |