পরিবেশের বাস্তুতন্ত্র রক্ষায় সাপের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই সাপ সংরক্ষণে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন পরিবেশপ্রেমী সংস্থা বিশেষ ভূমিকা নিয়েছে। কিন্তু আজও সাপের খেলা দেখানো যাঁদের একমাত্র জীবিকা, তাঁদের কথা কেউ ভাবে না। সাপ নিয়ে খেলা দেখানো নিষিদ্ধ হওয়ায় সাপুড়েদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। অনেকেই আজ অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন।
এক সময় শহর বা গ্রামাঞ্চলের রাস্তায় প্রায়ই দেখা মিলত এঁদের। হাতে সাপের বাঁশিটি বাজালেই সাপুড়েদের চারপাশে জমায়েত হতেন অসংখ্য মানুষ। তার পর ঝুড়ির মুখ খুলে দিতেই ফণা তুলে বেরিয়ে আসতো একের পর এক সাপ। সাপ নিয়ে খেলা দেখানোর পাশাপাশি তাবিজ, মাদুলি বিক্রি করেও এঁদের দিন গুজরান হত। কিন্তু বর্তমানে চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতিতে ও সাপ নিয়ে জনসচেতনতা গড়ে ওঠায় সাপুড়েদের ভবিষ্যৎ খাদের কিনারে এসে দাঁড়িয়েছে। |
নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার পর অনেক সাপুড়েই ছেড়ে দিয়েছিলেন সাপ নিয়ে খেলা দেখানো। সরকারি আশ্বাসও জুটেছিল প্রচুর, কিন্তু বাস্তব অন্য। তাঁদের অবস্থা যে তিমিরে ছিল সেখানেই রয়ে গিয়েছে।
তাই সাপ ধরা বা সাপ নিয়ে খেলা দেখানো নিষিদ্ধ জেনেও অনেকেই বাধ্য হয়েছেন আগের জীবিকায় ফিরে যেতে। ময়নাগুড়ি ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় অনেক সাপুড়ে এক সঙ্গে বসতি গড়ে তুলেছেন। বারবার এঁরা নিজেদের দুরবস্থার কথা জানিয়েছেন। কখনও প্রতিবাদ মিছিলও গড়ে তুলেছেন। কিন্তু সরকার নির্বিকার।
অনেকেই বিপিএল তালিকায় নাম তুলতে পারেননি। এঁদের সন্তানদের জন্য কোনও বৃত্তিগত শিক্ষার ব্যবস্থা এ যাবৎ সরকার করেনি। সাপুড়ে সম্প্রদায়ের দাবি, শীঘ্রই তাঁদের বিকল্প কোনও জীবিকার সুযোগ করে দেওয়া হোক। বন দফতরের অধীন পুনর্বাসন প্রকল্পগুলিতে এঁদের নিয়োগ করলেও কিছুটা সুরাহা হয়।
তাপসকুমার রায়। সুভাষপল্লি, জলপাইগুড়ি
|
শপিং মলের সুসজ্জিত ব্যবস্থায় যারা স্বচ্ছন্দ বোধ করি, সেই আমরাই অনায়াসে খাবারের প্যাকেট, পানীয়ের ফাঁকা বোতল রাস্তার পাশে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে নির্বিকার চিত্তে এগিয়ে যাই। যদি আশপাশে ময়লা ফেলার জায়গা না থাকে আমরা কি পারি না, তখনকার মতো ব্যাগে করে সেটি নিয়ে গিয়ে ঘরের আবর্জনার সঙ্গে পরে সেটি ফেলে দিতে? প্রশাসনও পারে রাস্তায় ডাস্টবিনের ব্যবস্থা রাখতে।
পাল্স পোলিয়ো বা এড্স নিয়ে যে ভাবে প্রচার চলছে, সে ভাবেই কি আবর্জনা-দূষণ রোধ করা যায় না? অনেক বড় শহর পারেনি, শিলিগুড়ি পেরেছে প্লাস্টিক বর্জন করতে। আর একটু চেষ্টা করা যাক না শহরটাকে জঞ্জালমুক্ত করতে। একা প্রশাসন পারবে না, একা জনগণও পারবে না, সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
সুদর্শনা মজুমদার। শিবমন্দির, শিলিগুড়ি
|
দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট শহরে ট্রাফিক ব্যবস্থা খুব খারাপ। জেলা পুলিশের ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের জন্য আলাদা বিভাগ নেই। এখানকার ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করেন হোমগার্ডরা। তাঁদের কেস দেওয়ার ক্ষমতা নেই। ফলে ট্রাফিক পুলিশ স্বাধীন ভাবে কাজ করতে পারেন না। বালুরঘাটের সবচেয়ে ব্যস্ত এলাকাগুলোতে অফিস টাইমে প্রবল যানজট তৈরি হয়। রাস্তা দখল করে থাকে ট্রাক বা ট্রাক্টর। পথে হাঁটাই দুষ্কর। প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা।
অবাধে শহরের বুকে বেআইনি ভাবে লাইসেন্সবিহীন ও হেলমেট বিহীন অবস্থায় মোটরবাইক দাপিয়ে বেড়ায়। ট্রাফিক পুলিশও নগণ্য। স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সিগন্যালিং ব্যবস্থাও নেই। বালুরঘাটের শোচনীয় ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নতির জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাই।
জয়দীপ গুহ। বালুরঘাট, দক্ষিণ দিনাজপুর
|
এই বিভাগে চিঠি পাঠান সম্পূর্ণ নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করে।
উত্তরের চিঠি,
আনন্দবাজার পত্রিকা প্রাঃ লিঃ,
১৩৬/৮৯ চার্চ রোড
শিলিগুড়ি- ৭৩৪৪০১ |
|