সংস্কৃতি যেখানে যেমন... |
‘আমার কুটিরে’ নতুন সংযোজন |
|
সুরুল গ্রামের জমিদার অশ্বিনী সরকারের দান করা ২৫ বিঘে জমির উপর ১৯১৯ সালে ‘আমার কুটির’ প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলেন বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী তথা সমাজসেবী সুষেণ মুখোপাধ্যায়। উদ্দেশ্য ছিল কর্মসংস্থানের মধ্য দিয়ে জেল ফেরত স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আশ্রয় দেওয়া। প্রথমে সেখানে শুরু হয় কাপড় ছাপানোর কাজ। পরে চর্ম শিল্পের মতো আরও নানা হস্ত শিল্পের কাজও শুরু করে প্রতিষ্ঠান। ‘আমার কুটিরে’ যুক্ত স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অন্যতম ছিলেন পান্নালাল দাশগুপ্ত। স্বাধীনতার পরে রবীন্দ্রনাথের ভাবধারায় তিনি আশপাশের গ্রামের বহু মানুষকে নিয়ে নানা উন্নয়নমূলক কাজ করেছিলেন।দেশবিদেশের শান্তিনিকেতন ঘুরতে আসা মানুষের কাছে আজকের বল্লভপুর গ্রামে অবস্থিত ‘আমার কুটির’ অন্যতম দ্রষ্টব্য স্থানে পরিণত হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানের হস্ত ও চর্ম শিল্পের নানা সামগ্রীর আকর্ষণ তাঁদের টেনে আনে। সেই ‘আমার কুটির’-এ এ বার নতুন সংযোজন আলোকচিত্র সংগ্রহশালা। ভারতের বহু স্বাধীনতা সংগ্রামী ও স্বাধীনতা বিষয়ক নানা আলোকচিত্রের পাশাপাশি ‘আমার কুটিরে’র সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে ওই সংগ্রহশালায়। নেতাজি থেকে শ্যামাপ্রসাদ, অমর্ত্য সেন থেকে গোপালকৃষ্ণ গাঁধীর ‘আমার কুটির’ পরিদর্শনেরও আলোকচিত্র রয়েছে তাতে। ওই আলোকচিত্র সংগ্রহশালায় ঢুকলেই দর্শক শুনতে পাবেন একের পর এক দেশাত্মবোধক গান। প্রতিষ্ঠানের আশা, শিল্প সামগ্রীর পাশাপাশি এই সংগ্রহশালা দর্শকদের মন ভরিয়ে দেবে।
|
লিটল ম্যাগাজিন |
‘অনুভূমি’ পত্রিকার কয়েকটি সংখ্যা। |
মল্লিনাথ মুখোপাধ্যায়। |
|
এই বাংলার মধ্যেই আছে আরও এক বাংলা। প্রচারমাধ্যমের আলোকপ্রাপ্ত সাহিত্যকর্মের বাইরেও যে বাংলার গ্রামাঞ্চলে, মফস্সলে বহু উচ্চমানের সাহিত্যকর্ম হয় তা সেখানকার লিটল ম্যাগাজিনগুলো ঘাঁটলেই নজরে পড়ে। বহু কৃতী সাহিত্যিকের হাতে খড়ি এমন সব লিটল ম্যাগাজিনেই হয়। তার সঙ্গে রয়েছে নতুন প্রতিভাদের উৎসাহ জোগানোও। এমনই একটি লিটল ম্যাগাজিন রামপুরহাটের ‘অনুভূমি’।গত ৩৬ বছর ধরে মল্লিনাথ মুখোপাধ্যায় ওই লিটল ম্যাগাজিনটি প্রকাশ করে আসছেন। বিভিন্ন সময় নানা সঙ্কটে পড়ে ওই লিটল ম্যাগাজিন তার জৌলুস হারালেও কখনও বন্ধ হয়নি। ত্রৈমাসিক থেকে ষাণ্মাসিক হয়েছে। এই ‘অনুভূমি’তেই প্রয়াত কবি বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এক সময় লিখেছিলেন
‘খাটবি গাধার মতো
খাবি ভিক্ষুকের মতো
বাঁচবি কুকুরের মতো
মরবি চোরের মতো
বোবা হওয়ার ভয় আছে
কথা বলার বিপদ আছে
অন্ধ হওয়ার নিয়ম আছে
চোখে দেখার কায়দা আছে।’ |
তথ্য: অরুণ মুখোপাধ্যায়।
ছবি: নিজস্ব চিত্র ও সব্যসাচী ইসলাম।
|
স্কুলের ১২৫ বছর |
|
রামপুরহাট হাইস্কুলের ১২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে নাটক। |
অনেক চড়াই উতরায় পেরিয়ে রামপুরহাট হাইস্কুল পা দিল ১২৫ বছরে। সেই উপলক্ষে সম্প্রতি ওই স্কুলের প্রাক্তনীরা মেতে ছিলেন পুনমির্লন উৎসবে। ছিলেন বহু বিখ্যাত প্রাক্তনীও। গত বৃহস্পতিবার থেকে রবিবার পর্যন্ত বর্তমান, প্রাক্তন, শিক্ষক ও কারিগরী বিভাগের ছাত্রীদের তিনটি নাটক ও সঙ্গীতানুষ্ঠান হয়ে গেল ওই উৎসবে।
|
সাহিত্য সম্মেলন |
নিখিল ভারত বঙ্গসাহিত্য সম্মেলনের রাজ্যস্তরের সম্মেলন হতে চলেছে বিষ্ণুপুরে। সম্মেলনের অভ্যর্থনা সমিতির সম্পাদক অনিলবরণ কর বলেন, “আগামী ৩ ও ৪ নভেম্বর রামানন্দ কলেজে সম্মেলন হবে।” অভ্যর্থনা সমিতির সদস্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে সভাও হয়।
|
আলোচনাচক্র |
রবিবার বাঁকুড়ার গাঁধীবিচার পরিষদের সভাগৃহে বড়ু চণ্ডীদাস ও শ্রীকৃষ্ণকীর্তন বিষয়ে একটি আলোচনাচক্র অনুষ্ঠিত হল। আয়োজক বাঁকুড়া কুসুম হরনাথ ইউনিক সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট ও বেলিয়াতোড়ের বসন্তরঞ্জন পুঁথি সংগ্রহশালা। সভায় সঙ্গীতশিল্পী হরসুন্দর মল্লিকের বড়ু চণ্ডীদাস ও শ্রীকৃষ্ণকীর্তন-এর গীতিনাট্য নামে একটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়।
|
উৎসব |
|
—নিজস্ব চিত্র। |
রাখিবন্ধন উৎসব উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ায় নানা অনুষ্ঠান হয়েছে। বড়জোড়া ব্লক যুবকেন্দ্র ওই দিন ব্লক কমিউনিটি হলে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। উপস্থিত ছিলেন বিডিও ইস্তেয়াক আহমেদ-সহ আরও অনেকে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশন করেন স্থানীয় শিল্পী স্নেহা দাস। ওই দিন বড়জোড়ার প্রতিবন্ধীদের স্কুল আশার আলোর ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের হাতে তৈরি করা রাখি সাধারণ মানুষদের হাতে বেঁধে রাখিবন্ধন উৎসব পাল্পন করে। ওই দিন মাচানতলা মোড়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল বাঁকুড়ার সরস্বতী শিশু মন্দির বিদ্যালয়। ওই স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেছিল।
|
গল্পপাঠ |
সোনামুখী বিধান হাইস্কুলে রবিবার হয়ে গেল স্বরচিত গল্প পাঠের আসর। আয়োজন করেছিল স্থানীয় পত্রিকা লগ্নঊষা। কলকাতা থেকে গল্পপাঠের আসরে যোগ দিয়েছিলেন অমিতাভ সমাজপতি, হিমাদ্রীকিশোর দাশগুপ্ত প্রমুখ। তাঁদের সঙ্গে বাঁকুড়ার কয়েকজন গল্পকারও পাঠ নিজেদের লেখা গল্পপাঠ করেন। |
|