|
|
|
|
এসএফআই জেলা সম্পাদকমণ্ডলীতে গৌতম-পুত্র সপ্তর্ষি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
এসএফআইয়ের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হলেন সিপিএম নেতা গৌতম দেবের পুত্র সপ্তর্ষি দেব। শনি ও রবিবার এসএফআইয়ের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্মেলনেই সংগঠনে গৌতম-পুত্রের ওই ‘উত্তরণ’ ঘটেছে। সপ্তর্ষি অতি সম্প্রতি এসএফআইয়ের বিধাননগর-১ নম্বর লোকাল কমিটির সম্পাদক হয়েছেন। এ বার এত দ্রুত সংগঠনের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদকমণ্ডলীতেও ঠাঁই পাওয়ায় তাঁর বাবা ও সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগণা জেলা সম্পাদক গৌতমবাবুর ‘প্রভাব’ আছে কিনা, তা নিয়ে সংগঠনের অন্দরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কমিটিতে গৌতমবাবুর ‘অনুগামী’দের সংখ্যা বাড়ছে। ফলে দলের জেলা সংগঠনে তাঁর ‘প্রভাব’ ক্রমবর্ধমান। এ বার সপ্তর্ষি এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হওয়ায় ছাত্র সংগঠনেও তাঁর ছায়া পড়ল। এসএফআইয়ের একাংশের মতে, যে স্তরগুলি পেরিয়ে তাদের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হতে হয়, গৌতমবাবুর পুত্র বলে সপ্তর্ষিকে সেগুলি পেরোতে হল না। আবার অন্য একটি অংশের মতে, এসএফআইয়ের সিদ্ধান্তের সঙ্গে গৌতমবাবুর কোনও সরাসরি সম্পর্ক নেই। এসএফআইয়ের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক এবং জেলা সভানেত্রী হয়েছেন যথাক্রমে অয়ন বসু এবং প্রিয়াঙ্কা কাঞ্জিলাল। নতুন জেলা কমিটি ৮৫ জনের। সম্মেলনে প্রতিনিধিদের বক্তব্য ছিল, সংগঠনকে মজবুত করতে হলে সদস্যদের মধ্যে গোষ্ঠী-দ্বন্দ্বের বদলে ‘চিন্তার দ্বন্দ্ব’ হওয়া দরকার। যদিও সপ্তর্ষির উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদকমণ্ডলীতে উত্তরণ সম্মেলনের ওই মূল সুরের পরিপন্থী বলেই এসএফআইয়ের একাংশের অভিমত।
এসএফআইয়ের সম্মেলন উপলক্ষে এ দিন সল্টলেকে সমাবেশে বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র শিক্ষাক্ষেত্রে নৈরাজ্যের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেছেন, “শিক্ষক নিগ্রহের ঘটনা ঘটছে। এমনকী, স্কুলের ছেলেমেয়েরাও এখন আক্রমণ থেকে রেহাই পাচ্ছে না। এই আক্রমণ তো সিপিএম, কংগ্রেস বা তৃণমূল দেখে হচ্ছে না। সমাজের সব অংশের উপরই সার্বিক ভাবে আক্রমণ চলছে।” এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় ছাত্র এবং শ্রমিকের ‘লড়াই’কে সংহত করার ডাক দেন সূর্যবাবু। |
|
|
|
|
|