টুকরো খবর
গর্তে পড়া প্রৌঢ়কে উদ্ধার বাসিন্দাদের
বাড়ির দরজার দু’ফুট সামনেই ধস নেমে তৈরি হয়েছিল গর্ত। বুঝতে না পেরে শনিবার সকালে ঘরে ঢুকতে যেতেই প্রায় ১২ ফুট গভীর সেই গর্তে পড়ে গেলেন অন্ডালের পলাশবন এলাকার বাসিন্দা সুখময় বিশ্বাস। স্থানীয় বাসিন্দারা এসে আধ ঘণ্টারও কম সময়ে উদ্ধার করলেন তাঁকে। আপাতত ইসিএলের কাল্লা কেন্দ্রীয় হাসপাতালে ভর্তি তিনি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর ডান কাঁধে চোট লেগেছে। ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় বিধায়ক সোহরাব আলি ও ইসিএলের আধিকারিকেরা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, সুখময়বাবু এ দিন সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ বাড়ির সামনে সাইকেল রেখে ঘরে ঢুকতে যাচ্ছিলেন। হঠাৎই গর্তে তলিয়ে যেতে শুরু করেন। চিৎকারে স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হন। তাড়াতাড়ি দড়ি দিয়ে বেঁধে একটি মই বেঁধে নীচে নামিয়ে উদ্ধার করা হয় তাঁকে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বেশ কিছু দিন আগে বোরহোল তৈরি করে ইসিএল বালি ভরাটের কাজ শুরু করেছিল। কিন্তু মাঝপথে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এ দিন বোরহোলের পাইপটিও গর্তে ঢুকে যায়। সোহরাব আলির অভিযোগ, “খাতায় কলমের হিসেবে এই বোরহোল দিয়ে ৭ হাজার ৯০০ কিউবিক মিটার বালি ভরাট করেছে ইসিএল। কিন্তু গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বালি ভরাট করা হয়নি।” সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়রের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গড়ার দাবি করেছেন তিনি। ইসিএলের সিএমডির কারিগরি সচিব নীলাদ্রি রায় জানান, ওই এলাকা ধসপ্রবণ ও বিপজ্জনক বলে চিহ্নিত। পুনর্বাসন প্রকল্পে ওই গ্রামের নাম আছে। যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বধূ নির্যাতনে অভিযুক্ত এএসআই
বধূ নির্যাতনের অভিযোগ উঠল এক পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে। কাঁকসার এই ঘটনা নিয়ে দুর্গাপুরের বিধাননগর ফাঁড়িতে অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ প্রথমে তা নিতে চায়নি বলে দাবি করলেন ওই বধূর বাড়ির লোকজন। পরে অবশ্য শহরের নিউটাউনশিপ থানায় অভিযোগ নেওয়া হয়। যদিও পুলিশ অভিযোগ না নিতে চাওয়ার কথা অস্বীকার করেছে। পরিবার সূত্রে জানা যায়, বছর ষোলো আগে দুর্গাপুরের বিধাননগর হাইসিং কলোনির পিউ ঘটকের সঙ্গে বিয়ে হয় কাঁকসার সোঁয়াই গ্রামের প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের। পিউদেবীর দাদা রাজেন্দ্রপ্রসাদ ঘটক অভিযোগ করেন, বিয়ের ৫-৬ বছর পরে পুলিশকর্মী প্রসেনজিৎবাবুর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানতে পারেন তাঁর বোন। প্রতিবাদ করায় তাঁর উপরে ‘অত্যাচার’ শুরু হয়। অশান্তির জেরে পিউদেবী পানাগড় ও দুর্গাপুরের নানা এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন। প্রসেনজিৎবাবু মাঝে-মধ্যে সেখানে গিয়েও ‘জ্বালাতন’ করতেন বলে অভিযোগ। প্রসেনজিৎবাবু বর্তমানে বীরভূমের খয়রাশোল থানায় এএসআই পদে কর্মরত। পিউদেবী ইদানীং কাঁকসার আড়রায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন। তাঁদের দুই ছেলে। বড় ছেলে পিউদেবীর কাছে ও ছোট ছেলে মামারবাড়িতে থাকে। রাজেন্দ্রপ্রসাদবাবু অভিযোগ করেন, শনিবার প্রসেনজিৎ আড়রায় গিয়ে তাঁর বোনকে মারধর শুরু করে। বিকেলে পিউদেবী ফোনে সে খবর দিলে বাবা ভাগবৎবাবু ও দাদা স্বর্ণকিরণবাবুকে নিয়ে তিনি সেখানে যান। রাজেন্দ্রপ্রসাদবাবুর অভিযোগ, “গিয়ে দেখি, বোন ও বড় ভাগ্না প্রমিতকে বেধড়ক মারধর করছে প্রসেনজিৎ। বোনকে বের করে আনতে গেলে আমার দাদাকেও সে মারে। বাবাকে ঠেলে ফেলে দেয়। এ সব দেখে আশপাশের বাসিন্দারা জড়ো হলে প্রসেনজিৎ আমার বোন ও ভাগ্নাকে বের করে ভিতর থেকে বাড়ির দরজা বন্ধ করে দেয়। বোনকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করি।” রাজেন্দ্রপ্রসাদবাবু অভিযোগ করেন, এর পরে রাতেই তাঁরা বিধাননগর ফাঁড়িতে অভিযোগ করতে যান। কিন্তু ফাঁড়ির পুলিশ অভিযোগ না নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা ‘আপোষ-মীমাংসায়’ মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেয় বলে অভিযোগ। রবিবার তাঁরা নিউটাউনশিপ থানায় যান। দুপুরে সেখানেই অভিযোগ দায়ের হয়। রাজেন্দ্রপ্রসাদবাবুর দাবি, “আগে মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিলেও ঘটনার কথা সংবাদমাধ্যমে জানাজানি হওয়ায় সম্ভবত পুলিশ এ দিন সতর্ক হয়ে গিয়েছিল। তাই অভিযোগ নেওয়া হয়েছে।” পুলিশ অবশ্য অভিযোগ মানেনি। নিউটাউনশিপ থানার তরফে জানানো হয়, অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত পলাতক। তার খোঁজ চলছে।

রেলসেতু বাড়ানোর দাবি
২ নম্বর জাতীয় সড়কে পানাগড় রেলব্রিজ সম্প্রসারণের দাবি জানিয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আরপি সিংহের কাছে ৩ অগস্ট আবেদন করলেন আসানসোলের সিপিএমের সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরী। বংশবাবু ওই চিঠিতে দাবি করেছেন, ওই রাস্তার পানাগড় অঞ্চলটি সর্বদা যানজটে জেরবার থাকে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, এর জেরে দৈনিক এক কোটি টাকা (বছরে প্রায় চারশো কোটি টাকা) রাজস্ব ঘাটতি হয়। তিনি জানান, রেলব্রিজ সম্প্রসারণ করলে যানজটের সমস্যা অনেকটাই মিটবে। এই ব্রিজ সম্প্রসারণ করতে কোনও ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জমি অধিগ্রহণ করতে হবে না। সরকার অধিগৃহীত জমি ওখানে রয়েছে।

বিবাদ মেটেনি, অনশন অব্যাহত
স্থানীয় কর্মীদের নিয়োগ নিয়ে আন্দোলনকারী গ্রামবাসীদের সঙ্গে বেসরকারি স্পঞ্জ আয়রন কারখানা কর্তৃপক্ষের বিবাদ চলছেই। জামুড়িয়ার ধাসনা ও বিজয়নগর গ্রাম সংলগ্ন ওই কারখানার সামনে বৃহস্পতিবার থেকে স্থানীয়দের নিয়োগের দাবি, ভূগর্ভস্থ জল টেনে নেওয়া ও এলাকায় দূষণের অভিযোগে গ্রামবাসীদের শুরু করা অনশন এখনও চলছে। রবিবার কারখানা কর্তৃপক্ষ দাবি করেন, আন্দোলনকারীদের ‘সমাজবিরোধীরা’ নেতৃত্ব দিচ্ছে। তাঁদের দাবি, কারখানার মোট দক্ষ শ্রমিকদের মধ্যে ২২ শতাংশ এলাকার দশ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা বাসিন্দা। ৭০ শতাংশ অদক্ষ শ্রমিকের বাড়ি কারখানার ৫ কিলোমিটারের মধ্যে। সামাজিক উন্নয়নের কাজও নিয়মিত করে যাচ্ছেন তাঁরা। তৃণমূলের জামুড়িয়া ব্লক ২ সভাপতি তাপস চক্রবর্তীর অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ অবৈধভাবে অসংখ্য সাবমার্সিবল পাম্প ব্যবহার করে কারাখানা চালাচ্ছে। ৮০ শতাংশ কর্মীই বহিরাগত। পুলিশ জানায়, আইনশৃঙ্খলা নজরে রাখা হচ্ছে।

সোনার দোকানে চুরি
—নিজস্ব চিত্র।
অ্যাসবেস্ট্সের ছাদ ভেঙে একটি সোনার দোকানে চুরি হল শুক্রবার। নিউ টাউনশিপ থানা এলাকার পাড়দোহি গ্রামের ঘটনা। দোকানের মালিক গৌতম মণ্ডল পুলিশের কাছে অভিযোগে জানান, বেশ কিছু সোনা ও রুপোর অলঙ্কার চুরি করেছে দুষ্কৃতীরা। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চলছে।

পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্য হল সাইকেলআরোহী এক খনিকর্মীর। শনিবার রাত সাড়ে ১২টা ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের জামুড়িয়ার চাকদোলা মোড়ে ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম মুজির খান (৪৩)। শনিবার রাতে তিনি তাঁর কর্মস্থল ছোড়া ব্লক ইনক্লাইনে যাওয়ার সময় ঘটনাটি ঘটেছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.