তৃণমূলের বিরুদ্ধে গোঘাটের নকুণ্ডা গ্রামে সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ রয়েছে সিপিএমের। শনিবার ওই গ্রামে গিয়ে তৃণমূলের ‘সন্ত্রাসের’ কথা বিধানসভায় তোলার আশ্বাস দিলেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র।
গত ২১ জুলাই নকুণ্ডায় সিপিএম এবং তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সিপিএমের অভিযোগ, তাদের কর্মী-সমর্থক এবং খেতমজুরদের উপরে তৃণমূল হামলা করে। বেশ কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। দলের অন্তত ৬০ জন ‘ঘরছাড়া’ হন। এ দিন ওই ‘ঘরছাড়া’দের পরিবারের লোকজনের সঙ্গেই কথা বলতে যান সূর্যকান্তবাবু। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরামবাগের সাংসদ শক্তিমোহন মালিক, দলের হুগলি জেলা সম্পাদক সুদর্শন রায়চৌধুরী, গোঘাটের ফরওয়ার্ড ব্লক বিধাক বিশ্বনাথ কারক প্রমুখ। তৃণমূলের লোকজন হুমকি দিচ্ছে বলে মহিলারা তাঁদের কাছে অভিযোগ করেন। সিপিএম সমর্থক হওয়ায় চাষে বাধা দেওয়ারও অভিযোগ শোনা যায় কয়েকজন গ্রামবাসীর মুখে। সব শুনে বিরোধী দলনেতা বলেন, “গোঘাট সন্ত্রস্ত হয়ে রয়েছে। মানুষ কথা বলতে ভয় পাচ্ছেন। সব কথা বিধানসভায় তুলব।” তাঁর সংযোজন, “মুখ্যমন্ত্রী যে কোনও ঘটনাকেই তো ছোট্ট বলছেন। এ ক্ষেত্রে কী বলেন, দেখতে হবে।” |
গোঘাটের গ্রামে ‘ঘরছাড়া’ দলীয় কর্মীর বাড়িতে বিরোধী দলনেতা। ছবি: মোহন দাস |
গোঘাট থেকে খানাকুলে যান সূর্যকান্তবাবুরা। সেখানে গত এক বছরে খুন হওয়া তিন জন সিপিএম নেতার স্মরণে একটি সভার আয়োজন করা হয়। খানাকুল বাজারে ওই সভায় সূর্যকান্তবাবু অভিযোগ করেন, “বামপন্থীদের পাশাপাশি তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা কংগ্রেসকেও আক্রমণ করছে। শিক্ষক এবং পুলিশের উপরেও আক্রমণ হচ্ছে। শ্লীলতাহানি, ধর্ষণ বাড়ছে। তোলা আদায়ের রাজত্ব চালু করেছে ওরা।”
গোঘাট বা খানাকুলে তৃণমূলের সন্ত্রাসের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন দলের হুগলি জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্ত। তাঁর দাবি, “আমাদের সরকারের আমলে যে-ই অপরাধ করুক, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন। সর্বত্রই শান্তি রয়েছে।” তাঁর পাল্টা অভিযোগ, “সন্ত্রাস কায়েম করতেই সূর্যবাবুরা এ দিন গোঘাট-খানাকুলে যান। খানাকুলের সভাতে সিপিএমের দুষ্কৃতীরাও ছিল।” |