অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা রেণু সরকার নিহত হয়েছেন খবর পেয়ে তাঁর বাড়িতে গিয়ে খাটের উপরে বৃদ্ধার রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেছিলেন প্রতিবেশীরা।
রেণু সরকার হত্যা-মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ পর্বের চতুর্থ দিন সাক্ষ্য দিতে গিয়ে আদালতে এ কথা জানান নিহতের এক প্রতিবেশী মিহিরকুমার মণ্ডল। শনিবার বোলপুর ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের বিচারক সোমেশপ্রসাদ সিংহের এজলাসে ওই সাক্ষ্যগ্রহণ হয়।
সরকার পক্ষের আইনজীবী তপনকুমার দে বলেন, “এ দিন নিহত রেণুদেবীর বাড়ির কেয়ারটেকার উজ্জ্বল তপাদারকে শনাক্ত করেছেন মিহিরবাবু। রেণুদেবীর খুনের খবর পেয়ে কয়েকজন প্রতিবেশী উজ্জ্বল ও তার স্ত্রীর সঙ্গে বাড়ির দোতলায় ওঠেন। ওখানে খাটের উপরে রেণুদেবীর রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখে ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রতিবেশীরা নিহতের বাড়ির লোকজন ও পুলিশকে খবর কথা বলেন। অন্য প্রতিবেশীর মতো মিহিরবাবুকেও পুলিশ সে দিন জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল।”
গত ১৩ জানুয়ারি রাতে শান্তিনিকেতনে বাগানপাড়ার বাড়ির দোতলার ঘরে খুন হয়েছিলেন অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষিকা রেণু সরকার। ওই খুনে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ গ্রেফতার করে রেণুদেবীর বাড়ির কেয়ারটেকার উজ্জ্বল তপাদারকে। পরে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে দাগি দুষ্কৃতী মঙ্গল সাহানি ও তার সঙ্গী পিন্টু দাস। প্রত্যেকেই এখন জেল-হাজতে।
এ দিন অভিযুক্ত মঙ্গল সাহানির আইনজীবী ভাস্কর ঘোষ ও পিন্টু দাসের আইনজীবী দিলীপ নায়েকের পক্ষ থেকে সাক্ষীকে জেরা করেন আইনজীবী জয়শ্রী হাটী। তিনি মিহিরবাবুর কাছে ঘটনা সম্পর্কে বিশদে জানতে চান। জয়শ্রীদেবী মিহিরবাবুকে জিজ্ঞাসা করেন, যাঁরা সে দিন ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন, তাঁদের নাম কী? উত্তরে মিহিরবাবু একাধিক প্রতিবেশীর নাম উল্লেখ করেন। এর পরে উজ্জ্বলের আইনজীবী সৈয়দ শাহিদুল আরেফিন মিহিরবাবুর কাছ থেকে তাঁর বাড়ির অবস্থান, কত দিন ধরে সেখানে বাস করছেন তা জানতে চান। মিহিরবাবু তাঁকে জানান, তিনি গত তিন বছর বাগানপাড়ায় বাস করছেন। রেণুদেবীর বাগানপাড়ার বাড়ির কেয়ারটেকার কি উজ্জ্বলই? আইনজীবীর এই প্রশ্নের উত্তরে সম্মতি দেন মিহিরবাবু। এর পরে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, নিহত রেণুদেবী মাসে কত বার বাগানপাড়ার বাড়িতে আসতেন। সে ব্যাপারে অবশ্য আদালতকে কিছু জানাতে পারেননি এ দিনের সাক্ষী।
কাল, সোমবার রেণু-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দেবেন নিহতের বাড়ির ভাড়াটে চুমকি চৌধুরী ও প্রতিবেশী বিজনকুমার মণ্ডল। |