তিন নাবালিকার বিয়ে রুখে দিল প্রশাসন
কই দিনে তিন নাবালিকার বিয়ে রুখল পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ-প্রশাসন। শুক্রবার ঘটনাস্থল পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া, এগরা ও মহিষাদলের তিনটি গ্রাম।
শুক্রবার রাতে এগরা-২ ব্লকের দাউদপুর গ্রামে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর বিয়ের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা। কিন্তু এগরা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রকাশ রায়চৌধুরী ও স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান শ্রীপতি প্রধান আশ্বাস দেন সাবালিকা না হওয়া পর্যন্ত মেয়েটির পড়াশোনার দায়িত্ব প্রশাসনের। শুক্রবার রাতেই মহিষাদলের কেশবপুর জালপাই গ্রামে এক নাবালিকার বিয়ে রোখে পুলিশ। বছর ষোলোর নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীর বাবা মারা গিয়েছেন ৭ বছর আগে। মা আবার বিয়ে করে আলাদা থাকেন। মেয়েটি তার জেঠামশাইয়ের কাছে থাকত। তিনিই এই বিয়ে ঠিক করেন। মহিষাদল থানার পুলিশ বিয়ে বন্ধ করার পর হলদিয়ার মহকুমাশাসক শিল্পা গৌরিসারিয়ার নির্দেশে ওই নাবালিকাকে একটি হোমে পাঠানো হয়। কাল, সোমবার তাকে আদালতে নিয়ে গিয়ে অভিভাবকের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
একই রাতে পাঁশকুড়া থানার ছেন্যাগড়ের এক নাবালিকার বিয়েও পুলিশের বাধায় আটকে যায়। তবে সেখানে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ। এসডিপিও (তমলুক) পারিজাত বিশ্বাস, পাঁশকুড়ার বিডিও ইন্দ্রাণী সরকার-সহ পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই নাবালিকার বাবা বিয়ে বন্ধের লিখিত প্রতিশ্রুতি দেন। পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সুকেশ জৈন বলেন, “নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করতে বিভিন্ন জায়গায় সচেতনতা শিবির করা হচ্ছে। খবর পেলে স্থানীয় বাসিন্দারাই আমাদের জানাচ্ছেন। শুক্রবার সে ভাবে অভিযোগ পেয়েই ওই তিনটি বিয়ে বন্ধ করা গিয়েছে।’’

‘শিশু বিক্রির চক্রান্ত’, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তৃণমূলে

গোষ্ঠী বিবাদ এবং তার জেরে পরস্পরের বিরুদ্ধে ‘চক্রান্তের’ অভিযোগ, হলদিয়া পুর এলাকায় তৃণমূলের অন্তর্কলহের চেনা ছবি ফের সামনে এসে পড়ল। হাসপাতালে ‘শিশু-বিক্রি’র চক্রান্তে দলের একাংশকে সরাসরি দুষলেন হলদিয়া পুসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হেলেন করণ। তাঁর অভিযোগ, হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে ভবঘুরে এক মহিলার সদ্যজাত পুত্রসন্তান বিক্রির চক্রান্ত করতে চেয়েছিলেন পাতিখালির কয়েকজন দলীয় কর্মী। ঘটনাটি জানাজানি হতেই এ ব্যাপারে ওই কাউন্সিলরের নামও জড়িয়ে দেন দলের মলয় করণ, সুবল মিদ্যা ও তাদের অনুগামীরা। হেলেন বলেন, “ওই শিশু বিক্রির চক্রান্ত সামনে এসে পড়ায় নিজেদের পিঠ বাঁচাতে আমার নাম জড়িয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছিল মলয়, সুবলরা। আমি দুর্গাচক থানায় বিষয়টি জানিয়েছি।” তৃণমূল নেতা মলয় করন অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মানতে চাননি। বৃহস্পতিবার পাতিখালি এলাকা থেকে বছর তিরিশের এক অন্তঃসত্ত্বা ভবঘুরে মহিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সে দিন রাতেই তিনি একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। অভিযোগ, সেই সদ্যজাতকেই বিক্রির চক্রান্ত করেন ওই এলাকার জনা কয়েক তৃণমূল নেতা। হলদিয়ার এসডিপিও অমিতাভ মাইতি বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ সব দিক খতিয়ে দেখছে।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.