আর্থিক অনটন ও আইনি বিবাদে জর্জরিত হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালস-এর ঘুরে দাঁড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই দাবি করে কর্তৃপক্ষ জানান বিশ্ব বাজারের পরিস্থিতি কিছুটা ভাল হওয়ার ফল পাচ্ছে সংস্থা। জুলাই মাসে কর দেওয়ার আগে পর্যন্ত লাভের মুখ দেখেছে পেট্রোকেম। জুলাই মাসে কর দেওয়ার আগে পর্যন্ত সংস্থা ৩৮ কোটি টাকা লাভ করেছে। চলতি মাসে ৬৭ কোটি টাকা লাভের সম্ভাবনা আছে বলে দাবি সংস্থার। একই সঙ্গে উৎপাদন চালিয়ে যেতে ইন্ডিয়ান অয়েল ও অন্য সংস্থার কাছ থেকে বাড়তি ন্যাপথার ব্যবস্থাও হয়েছে বলে দাবি।
শনিবার সংস্থার নতুন ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুমন্ত্র চৌধুরী জানান খরচ কমিয়ে, বাড়তি অর্থের সংস্থান করে এবং বাজার বাড়িয়ে ঘুরে দাঁড়াতে চায় হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালস। তিনি বলেন, আগামী ১১ অগস্ট এই পরিকল্পনা নিয়েই পরিচালন পর্ষদের বৈঠকে আলোচনা হবে। |
পরিকল্পনার অঙ্গ হিসেবে ঠিক হয়েছে অন্য সংস্থার হয়ে নিজেদের কারখানায় উৎপাদন করবে হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালস। ন্যাপথা কিনে দেবে সেই সংস্থা। পণ্য বিক্রিও তারাই করবে। হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালস এই পরিষেবা বাবদ টাকা নেবে। অর্থাৎ ন্যাপথা কেনার খরচ নেই। নেই বিপণনের দায়িত্বও। সুমন্ত্রবাবু জানান ‘কোলমার’ নামে একটি সংস্থা এ বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ৫০ থেকে ৬০ হাজার টন ন্যাপথা দিতে রাজি তারা।
এ ছাড়াও বাড়তি ন্যাপথা দিতে সম্মত হয়েছে ইন্ডিয়ান অয়েল। ন্যাপথা সরবরাহ করবে অন্যান্য তেল সংস্থাও। এ কথা জানিয়ে সুমন্ত্রবাবু বলেন, “দেশের মধ্যে থেকে ন্যাপথা কিনতে পারলে আমদানির পরিমাণ কমানো যাবে। কমবে খরচ।” আপাতত মোট ক্ষমতার ৯০% উৎপাদন হচ্ছে। নতুন করে ব্যাঙ্কঋণ বা অর্থের জোগান না-এলে উৎপাদন চালিয়ে যাওয়া কঠিন বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। ২০১১-’১২ সালে ৪৩৭ কোটি টাকা লোকসান করেছে সংস্থা। চলতি ২০১২-’১৩ আর্থিক বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে ২৪৭ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। ব্যাঙ্কগুলি সম্প্রতি ২০০ কোটি টাকা ঋণ দিলেও পরিস্থিতি সামলাতে তা যথেষ্ট নয় বলে জানিয়েছে সংস্থা। |