ফের ভিসা জালিয়াতির ঘটনা ঘটল আমেরিকার এক বিশ্ববিদ্যালয়ে। ক্যালিফোর্নিয়ার হারগুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের সিইও জেরি ওয়াংকে ভিসা জালিয়াতিতে অভিযুক্ত করেছে সান জোসের একটি আদালত। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একটি বড় অংশ ভারতীয়। সিইও ভিসা জালিয়াতিতে অভিযুক্ত হওয়ায় এই পড়ুয়ারা ফাঁপরে পড়বেন বলে আশঙ্কা। গত বছর ভিসা জালিয়াতির জেরে একই ভাবে সমস্যায় পড়েছিলেন আমেরিকার ট্রাইভ্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠরত বেশ কিছু ভারতীয় ছাত্র।
হারগুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসংখ্যা প্রায় সাড়ে চারশো। এর প্রায় অর্ধেকই ভারতীয়। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে হানা দেন মার্কিন গোয়েন্দারা। তখনই গ্রেফতার করা হয় ওয়াংকে। ৩৪ বছর বয়সী ওয়াংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, অভিবাসনের কাগজপত্রে জালিয়াতি করে বেআইনি ভাবে বিদেশি ছাত্রদের মার্কিন মুলুকে থাকার ব্যবস্থা করে দিতেন ওয়াং। এ জন্য ছাত্রদের কাছ থেকে মোটা টাকা দক্ষিণা নিতেন তিনি। এ ছাড়াও প্রায় পনেরোটি বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে ওয়াংয়ের বিরুদ্ধে। সব অভিযোগ প্রমাণ হলে সর্বোচ্চ ৮৫ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে তাঁর। এ ছাড়াও, দশ লক্ষ ডলার পর্যন্ত জরিমানাও দিতে হতে পারে তাঁকে। ওয়াং একা নন, ভিসা জালিয়াতির কাজে ওয়াংকে সাহায্য করার অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁর বাবা-মায়ের বিরুদ্ধেও। তাঁদের অবশ্য গ্রেফতার করা হয়নি। গত বছর ট্রাইভ্যালি বিশ্ববিদ্যালয় জালিয়াতির দায়ে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পড়ুয়াদের রেডিও কলার পরানো হয়। হারগুয়ান বিশ্ববিদ্যালয় অবশ্য জানিয়েছে, পড়ুয়ারা সমস্যায় পড়বেন না। ক্লাসও চলবে। |
২০১৬-এ ভাসবে দ্বিতীয় টাইটানিক
সংবাদসংস্থা • সিডনি |
ফের অতলান্তিকের জলে ভাসবে টাইটানিক। পাড়ি দেবে ইংল্যান্ড থেকে আমেরিকার বুকে। মাত্র চার বছর পরেই। অস্ট্রেলিয়ার শিল্পপতি ক্লাইভ পামারের উদ্যোগে তৈরি হচ্ছে দ্বিতীয় টাইটানিক। তাঁর দাবি, এটিকে দেখতে হবে টাইটানিকের মতোই। শুধু পাল্টাবে জ্বালানি রাখার জায়গাটা। তবে জলের নীচে থাকায় তা অগোচরেই থেকে যাবে। বাইরে পুরনো চেহারা ধরে রাখলেও হৃদয় থেকে অত্যাধুনিক হবে নতুন টাইটানিক। তাতে থাকবে ৮৪০টি ঘর এবং ন’টি ডেক। গোটাটাই সাজা হবে একবিংশ শতকের যুগোপযোগী সাজে। থাকবে অত্যাধুনিক নিরাপত্তার ব্যবস্থাও। ক্লাইভের দাবি, দ্বিতীয় টাইটানিকের প্রথম যাত্রায় সামিল হতে ২০ হাজার অগ্রিম বুকিং হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। আপাতত এই বিলাসবহুল প্রমোদতরীটি চিনে তৈরি করার কথাই ভেবেছেন এই ধনকুবের। তবে কাজ শুধুই পরিকল্পনার স্তরে আটকে নেই। ফিনল্যান্ডের একটি সংস্থার সঙ্গে দ্বিতীয় টাইটানিকের সুরক্ষা এবং নির্মাণের নানাবিধ নিয়মাবলি নিয়ে আলোচনাও সেরে ফেলেছেন তিনি। প্রথম টাইটানিকের হতভাগ্য যাত্রী এবং সাহসী কর্মীদের স্মৃতিতেই দ্বিতীয়টি তৈরি করা হবে, বলে সিডনির একটি সংবাদপত্রকে জানিয়েছেন ক্লাইভ। ২০১৬ সালের মধ্যেই কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আশাবাদী ক্লাইভ পামার। জাহাজটি তৈরি হওয়ার পর সেটিকে ইংল্যান্ড পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার জন্য তিনি আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সে দেশেরই নৌ বাহিনীকে। তার পর তার পূর্বসুরির পথ ধরেই যাত্রা শুরু করবে দ্বিতীয় টাইটানিক। |