চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগীমৃত্যুর অভিযোগকে কেন্দ্র করে হাসপাতালে ভাঙচুর চালাল রোগীর আত্মীয়দের একাংশ। শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে। গণ্ডগোলের সময় হাসপাতালের সুপার-সহ ৩ জন চিকিৎসককে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হাসপাতালে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের মুখপাত্র অসিত বিশ্বাস বলেন, “ওই অভিযোগ খতিয়ে দেখে ডেপুটি সিএমওএইচ’কে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। চিকিৎসকদের নিগ্রহ ও হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনা নিয়ে পুলিশে অভিযোগ করা হয়েছে।” মাথাভাঙা মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সীতারাম সিংহ বলেন, “অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।” মৃতের নাম উপল সাহা (৩২)। পেশায় বেসরকারি সংস্থার কর্মী ওই যুবকের বাড়ি মাথাভাঙা শহরের সুভাষপপল্লিতে। বৃহস্পতিবার সকালে মাথা ঘোরা জনিত সমস্যা নিয়ে ওই যুবককে বাড়ির লোক হাসপাতালে ভর্তি করেন। এদিন সকালে তাঁকে ছুটি দেওয়া হয়। বাড়ি ফেরার কিছুক্ষণের মধ্যে ফের তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ফের তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক আধ ঘণ্টা অপেক্ষা করানোর পর তাঁর চিকিৎসা শুরু করলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। তৃণমূল শ্রমিক কংগ্রেসের মাথাভাঙা মহকুমার নেতা আলিজার রহমান বলেন, “রক্তচাপ জনিত সমস্যায় অসুস্থ ওই যুবককে আধ ঘণ্টা জরুরি বিভাগের সামনে ফেলে রাখা হয়। সময়মতো চিকিৎসা না করানোয় তাঁর মৃত্যু হয়। আমরা ঘটনার তদন্ত চাই।” ভাল ফুটবল খেলোয়াড় হিসাবে পরিচিত যুবকের মৃত্যুর খবর চাউর হতেই কয়েকশো মানুষ হাসপাতালে জড়ো হন। হাসপাতালের চিকিৎসক ও কয়েকজন কর্মীদের সঙ্গে তাঁদের বচসা শুরু হয়। সেই সময় ভারপ্রাপ্ত সুপার সমীর ঘোষ সহ তিন জন চিকিৎসককে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মাথাভাঙা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার সমীর ঘোষ বলেন, “সুস্থ মনে হওয়ায় ওই যুবককে ছুটি দেওয়া হয়। পরে বাড়িতে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করেছিলাম। না বুঝেই জনতা আমাকে বেধড়ক মারধর করে। কয়েকজনকে নিগ্রহ করা হয়।” |