‘বেদখল’ ১৫ একর জমি বাদ দিয়েই সোমবার থেকে মুর্শিদাবাদ আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত ক্যাম্পাসের কাজ শুরু হবে বলে সর্বদলীয় বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বহরমপুর সার্কিট হাউসে শুক্রবার ওই সর্বদলীয় বৈঠক হয়। এর আগে গত সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য সরকারের তরফে বেদখল ওই ১৫ একর জমি বাদ দিয়েই ক্যাম্পাস তৈরির কাজ শুরু করে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানানোর কথা ঘোষণা করেন। এদিনের সর্বদলীয় বৈঠকে উপস্থিত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা কাজ শুরুর পক্ষে সায় দেওয়ায় ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত ক্যাম্পাস তৈরিতে বাধা রইল না। যদিও বিজেপি বিষয়টি মেনে নেয়নি। তারা এদিনের সভা বয়কট করে। ওই বৈঠকে বামফ্রন্ট, কংগ্রেস ও তৃণমূল ক্যাম্পাস নির্মাণের পক্ষে কথা বলেন।
জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মহম্মদ আলি বলেন, “জমি মোট ২৮৮ একর। তার মধ্যে ১৫ একর জমি বাদ দিয়েই ২৭৩ একর জমিতে ওই ক্যাম্পাসের কাজ শুরুর পক্ষে আমরা।” বিধায়ক সিপিএমের আনিসুর রহমান বলেন, “মুর্শিদাবাদ আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার সুযোগ আমাদের কাছে এসেছে। ওই সুযোগ আমাদের হাতছাড়া করা চলবে না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওই কাজ শুরু করতে হবে।” কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা মহম্মদ সোহরাব বলেন, “আমাদের নেতা প্রণব মুখোপাধ্যায়, অধীর চৌধুরী ওই ক্যাম্পাস নির্মাণের পক্ষে সওয়াল করেছেন। আমরা দ্রুত ওই ক্যাম্পাস নির্মাণের পক্ষে। ওই ১৫ একর জমিতে মাত্র ১২টি পরিবার বাস করেন। ওই বিতর্কিত অংশ বাদ দিয়েই বাকি জমিতে নির্মাণ কাজ শুরু হবে।” বিজেপি’র গলায় অবশ্য ভিন্ন সুর। বিজেপি’র জেলা সম্পাদক দেবাশিস সরকারের দাবি, “১৫ একর নয়। ১১৫ একর জমি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। ওই জমিতে ২৪৬৯ জন গ্রামবাসী বাস করেন। জোর করে ওই গ্রামবাসীদের উচ্ছেদ করা চলবে না। ওই গ্রামবাসীদের পুনর্বাসনের দাবিতে আমরা আন্দোলন করব।”
এ দিনের বৈঠক শেষে মুর্শিদাবাদ আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে শাহ আলম বলেন, “জমি সমস্যা মিটে গিয়েছে। ওই ১৫ একর জমি বাদ দিয়েই আগামী সোমবার থেকে ওই ক্যাম্পাস নির্মাণের কাজ শুরু হবে। শুরুতেই পাঁচিল দেওয়ার কাজ চলবে। পরে ভবন নির্মাণ শুরু হবে।” |