সারা বছরই দেবগ্রাম থেকে কাটোয়া ঘাট, তেহট্ট ঘাট, কালীগঞ্জ রোড অথবা পলাশি যাওয়ার রাস্তায় হামেশাই চোখে পড়ে পাকা রাস্তার দীর্ঘ অংশ জুড়ে ধান-সর্ষে-তিল বা পাট মেলে দেওয়া রয়েছে। রাস্তার ধারে বিস্তীর্ণ অংশ জুড়ে পাটকাঠি খাড়া করে দাঁড় করানো থাকে। সেই সঙ্গে হাঁস, মুরগি-সহ গবাদি পশুর অবাধ বিচরণ ক্ষেত্রে হয়ে ওঠে রাস্তা। এতে স্বাভাবিক গতিতে যান চলাচল করতে না পারার ফলে ওই রাস্তায় ব্যাপক যানজটও হয়। ফলে পথচারীদের প্রতি দিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। ছোটখাটো দুর্ঘটনাও ঘটে থাকে। কিন্তু এ ব্যাপারে গ্রামের সাধারণ মানুষ সচেতন নন। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
সুশান্তকুমার চট্টোপাধ্যায়, দেবগ্রাম
|
‘জলের অপর নাম জীবন’, এই আপ্ত বাক্যটি স্লোগান হিসেবে জনপ্রিয় হলেও ব্যবহারিক জীবনে ততটা জনপ্রিয় হতে পারেনি। তা না হলে কোনও কোনও জায়গায় জলের জন্য হাহাকার লেগেই রয়েছে, আবার কোথাও অঢেল পানীয় জলের ব্যবস্থা থাকায় তা অপচয় হচ্ছে। অথচ পানীয় জলের অপচয় বন্ধ করার ব্যাপারে জনমানসে সচেতনতা গড়ে তোলার জন্য রাজ্য সরকারের জনস্বাস্থ্য কারিগরী দফতর বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে জলের মত অর্থ খরচ করে বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, নাকাশিপাড়া বিডিও অফিসের সামনে থেকে বেথুয়াডহরি বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত পানীয় জল সরবরাহের জন্য মোট কল লাগানো রয়েছে এবং বাকি ৯টিতে কোনও কল না থাকায় গত কয়েক মাস বা বছর থেকে প্রতি দিন সর্বসমক্ষে হাজার হাজার লিটার পানীয় জল অপচয় হয়ে আসছে। পাশাপাশি যে দফতর পানীয় জল অপচয় বন্ধের বিজ্ঞাপন দিচ্ছে, সেই জনস্বাস্থ্য কারিগরী দফতরের দেবগ্রাম কার্যালয়ের একেবারে সামনের স্ট্যান্ড পোস্টটির মুখ খোলা থাকায় গত কয়েক মাস বা বছর থেকে তীব্র বেগে জল পড়ে পানীয় জল অপচয় হচ্ছে। অথচ ভাগীরথী নদী থেকে জল এনে পরিশোধন করতে কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয় হচ্ছে। আমার প্রশ্ন, পানীয় জলের এই পরিণতি কত দিন ধরে চলবে?
সমরকুমার মৌলিক, ধুবুলিয়া
|
১৭৭৫ সালের ৫ অগস্ট মহারাজ নন্দকুমারের ফাঁসি হয়। প্রধান বিচারপতি ইম্পে সাহেব ১৭৭৫ সালের ১৬ জুন মহারাজের ফাঁসি ঘোষণা করেন। মহারাজের চরমতম শত্রু হেস্টিংস এবং বুলাকিচাঁদের হীন ষড়যন্ত্রে এই অন্যায় প্রাণদণ্ডাদেশ। নির্ভীক চিত্তে, হাসিমুখে মহারাজ ফাঁসির দড়ি গলায় পরেছেন। আমরা ক’জন বাঙালি সেই অভিশপ্ত দিনটির কথা মনে রেখেছি? ইতিহাসের একটি বিবর্ণ অধ্যায় বুকে নিয়ে মহারাজ নন্দকুমারের স্মৃতি বিজড়িত কুঞ্জঘাটার রাজপ্রাসাদও আজ ভগ্নস্তূপে পরিণত হয়েছে। আজও জরাজীর্ণ যে তোরণদ্বারটি অবশিষ্ট রয়েছে, সেই তোরণদ্বার দিয়ে এক দিন এক লক্ষ ব্রাহ্মণ আমন্ত্রিত হয়ে মহারাজ আয়োজিত ভোজসভায় উপস্থিত হয়েছিলেন। তাঁদের পদধূলি নাকি আজও রাজপরিবারে রক্ষিত আছে। গত ৩ জুলাই (মতান্তরে ৪ জুলাই ) বাংলা-বিহার-ওড়িশা’র শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা’র ২৫৫ তম মৃত্যু দিবস অতিক্রান্ত হলো। ১৭৫৭ সালের ওই দিনে ক্লাইভের চক্রান্তে মহম্মদী বেগের হাতে নবাব নিহত হন। ওই দিনটি জাতীয় শোক দিবস হিসাবে চিহ্নিত ও পালিত হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু পরিতাপের বিষয় তা হয়নি।
সুদীপ আচার্য, বহরমপুর
|
বর্তমানে কান্দি মহকুমা হাসপাতালের আধুনিকীকরণ করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে বেডের সংখ্যা। হাসপাতালের প্রতিটি ওয়ার্ডের ঘর-মেঝে-বেড সবসময়ের জন্য পরিচ্ছন্ন থাকে। এ জন্য বর্তমানে সুপারের কৃতিত্ব অস্বীকার করা যায় না। তাঁর আমলেই হাসপাতালের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। এখন নাকে রুমাল দিয়ে হাসপাতালে প্রবেশ করতে হয় না। কোন ওয়ার্ড কোন দিকেকাউকে জিজ্ঞেস করতে হয় না। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত রোগীদের কী ধরণের এবং কত পরিমাণে খাবার দেওয়া হয় তাও জনসমক্ষে টাঙানো রয়েছে। অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়ার তালিকাও রয়েছে। অন্য দিকে দালাল চক্রেরও অনেকটা অবসান ঘটানো গিয়েছে। সদিচ্ছা থাকলে উন্নয়নমূলক অনেক কাজ করা যায়, তা কান্দি মহকুমা হাসপাতাল দেখলেই বোঝা যায়। কিন্তু আক্ষেপের বিষয় পরিকাঠামোর উন্নয়ন হলেও চিকিৎসা পরিষেবার মান কিন্তু উন্নত হয়নি। কারণ কান্দি মহকুমার গ্রামীণ হাসপাতালগুলিতে অনেক সময় ন্যূনতম চিকিৎসা পরিষেবাও পাওয়া যায় না। ফলস্বরূপ প্রতি দিন রোগীর ভিড় বাড়ছে কান্দি হাসপাতালে। এদিকে হাসপাতালের একশ্রেণির চিকিৎসক আছেন, যাদের দায়সারা ভাবে চিকিৎসা করতে দেখা যায়। অনেকে আবার রোগীর গায়েও হাত দিয়ে দেখেন না। তাই মাঝে-মধ্যেই চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। এক শ্রেণির নার্সও রোগীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। তাই চকচকে হাসপাতালের পাশাপাশি রোগীরা উন্নত মানের চিকিৎসা পরিষেবা পানসেই দিকটিও চিকিৎসকদের খেয়াল রাখতে হবে।
অময় চক্রবর্তী, কান্দি
|
বহরমপুর থেকে জিয়াগঞ্জের দূরত্ব প্রায় ২০ কিমি। কিন্তু এখন পর্যন্ত জিয়াগঞ্জে কোনও দমকল দফতর কেন্দ্র ওঠেনি। ভাগীরথীর দু-পাড়ে রয়েছে জিয়াগঞ্জ ও আজিমগঞ্জের মত প্রাচীন ও জনবহুল শহর। আচমকা জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভা এলাকায় কোনও বড় ধরণের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে, তাহলে বহরমপুর থেকে দমকল দফতরের গাড়ি এসে পৌঁছানোর আগেই পুড়ে সব ভস্মীভূত হয়ে যাবে। তাই জিয়াগঞ্জে অবিলম্বে দমকল দফতরের কেন্দ্র খোলার আবেদন জানাচ্ছি।
ছোটন গোস্বামী, জিয়াগঞ্জ
|
চিঠি পাঠানোর ঠিকানা
ডাকঘর
এবিপি প্রাইভেট লিমিটেড
বানজেটিয়া, জলঙ্গি রোড
পোস্ট বক্স: কাশিমবাজার
মুর্শিদাবাদ- ৭৪২১০১ |
|