প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে পেনশন মিলছে না। অগত্যা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের অফিসার-কর্মীরা।
অভিযোগ, ২০০৭ সালের পর থেকে যাঁরা অবসর নিয়েছেন, তাঁরা পেনশন পাচ্ছেন না। অথচ সেই টাকা পিএফ দফতরের এমপ্লয়িজ পেনশন স্কিম (ইপিএস)-এ জমা রয়েছে। কর্মীদের দাবি, ওই খাতে পিএফ কমিশনারেটকে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা দিয়েছেন বিমানবন্দর-কর্তৃপক্ষ।
বিমানবন্দরের কর্মী-অফিসারদের হয়ে হাইকোর্টে মামলা লড়ছেন অরুণাভ ঘোষ। তিনি বলেন, “বছরের পর বছর কর্মীরা ইপিএসে টাকা জমা দিয়েছেন। বিমানবন্দর-কর্তৃপক্ষ যদি পর্যাপ্ত টাকা দিয়ে না-থাকেন, তা হলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। পিএফ-কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব, সংশ্লিষ্ট সংস্থা থেকে টাকা জোগাড় করে তা কর্মীদের দেওয়া।”
কলকাতা বিমানবন্দর থেকে ২০০৮ সালে অবসর নেওয়া অফিসার দীপক ভারতী জানান, ১৯৯৫ সালের আগে তাঁরা পিএফ কমিশনারের আওতায় পড়তেন না। পিএফ কমিশনারেট ২০০৭ সালে এই ব্যাপারে বিমানবন্দর-কর্তৃপক্ষের উপরে চাপ সৃষ্টি করে। কর্মীদের ইপিএস চালু করতে এবং সব টাকা পিএফ কমিশনারেটে জমা দিতে বলে তারা। ২০০৭ সালে প্রথম পেনশন স্কিমের আওতায় আসেন বিমানবন্দরের কর্মীরা।
বিমানবন্দর-কর্তৃপক্ষ থেকে সম্প্রতি অবসর নিয়েছেন গৌতম মুখোপাধ্যায়। তিনি জানান, ২০০৭ সালে পিএফের আওতায় আসার সময় কর্মী-অফিসারদের দু’টি বিকল্প দেওয়া হয়। একটি ক্ষেত্রে অবসরের পরে ১৭০০-১৮০০ টাকা করে পেনশন পাওয়া যাবে। দ্বিতীয় বিকল্পে বড় অঙ্কের টাকা পেনশন মিলবে। সেই সময় সংস্থার ৮৫ শতাংশ কর্মীই দ্বিতীয় বিকল্প বেছে নেন।
অ্যাডিশনাল সেন্ট্রাল পিএফ কমিশনার মহেন্দ্র রাজু বলেন, “১৯৯৫ সালে যাঁরা পিএফের আওতায় এসেছিলেন, তাঁরা দ্বিতীয় বিকল্প নিতে পারেন। কিন্তু ২০০৭ সালে পিএফে যোগ দেওয়ার জন্য বিমানবন্দরের অফিসার-কর্মীরা দ্বিতীয় বিকল্প নিতে পারবেন না।” সমস্যা মূলত তা নিয়েই। |