‘সুষম’ সেচ ব্যবস্থার দাবি কাঁকসার চাষিদের
ব্লক এলাকায় ‘সুষম সেচ ব্যবস্থা’ গড়ে তোলার দাবি জানালেন কাঁকসা ব্লকের চাষিদের একাংশ। জেলাশাসক ওঙ্কার সিংহ মিনা জানান, ইতিমধ্যেই কাঁকসা ও আউশগ্রাম ব্লকের সেচের প্রসারে ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তিনি বলেন, “ব্লকের প্রত্যন্ত এলাকায় সেচের জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের মাধ্যমে রাজ্য সরকার সম্প্রতি ওই অর্থ বরাদ্দ করেছে।”
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কাঁকসার বিস্তীর্ণ এলাকা ডিভিসির সেচ প্রকল্পের অন্তর্ভূক্ত নয়। তাই বর্ষা ছাড়া বছরের বাকি সময়ে চাষের জমিতে জল মেলে না। ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পের অধীন কাঁকসা ব্লকের কোনও কোনও এলাকায় সাময়িক ভাবে জলের ব্যবস্থা করা গেলেও বেশির ভাগ চাষিই তা থেকে বঞ্চিত। তাঁদের দাবি, সেচের অভাবে চাষাবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এই ব্লকে। তাঁদের কথায়, এক দিকে কাঁকসার জলস্তর নামছে। অন্য দিকে, সেচেরও কোনও সম্ভাবনা নেই। ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্প ছাড়া জলের উৎস বলতে প্রায় কিছুই নেই। অথচ অধিকাংশ জমি সেচের আওতার বাইরে।
ক্ষুদ্র কৃষি সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কাঁকসা ব্লকে প্রায় কুড়িটি ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্প চালু হয়েছে। এক একটি প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ৬০ হেক্টর জমিতে চাষ হওয়ার কথা। সাধারণত, সাবমার্সিবল পাম্পের সাহায্যে মাটির নীচের জল তুলে তা পাইপের সাহায্যে সরবরাহ করা হয়। জলের ব্যবহার কে বা কারা করবেন, তা ঠিক করে উপভোক্তা কমিটি। ক্ষুদ্র সেচ দফতর প্রকল্প তৈরি করে উপভোক্তা কমিটির হাতে ছেড়ে দেয়। প্রকল্পের জল ব্যবহার করার জন্য চাষিদের নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিতে হয়। সেই টাকায় প্রকল্পের রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সাবমার্সিবল পাম্প মাঝেমধ্যেই অকেজো হয়ে পড়ে থাকে। তাছাড়া অনেকেরই জল কিনে ব্যবহার করার সামর্থ্য নেই। ব্লক তৃণমূল নেতা পল্লব বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “সিপিএম দীর্ঘ দিন ক্ষমতায় থেকেও ব্লক এলাকায় সেচের প্রসারে কোনও উদ্যোগ করেনি। তাঁর দাবি, “বৃষ্টির অভাবে এ বার চাষিরা নির্দিষ্ট সময়ে ধানের চারা রোপণ করতে পারছিলেন না। বিকল্প সেচের ব্যবস্থা থাকলে চাষিদের ভুগতে হত না।”
সিপিএম অবশ্য এই অভিযোগ মানতে চায়নি। কাঁকসার সিপিএমের প্রাক্তন জোনাল সম্পাদক তথা দলের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য বীরেশ্বর মণ্ডলের দাবি, কাঁকসায় সেচের জলের নিজস্ব উৎস সে ভাবে নেই। দীর্ঘ দিন ধরে ডিভিসি ক্যানালই ছিল সেচের একমাত্র উৎস। সংস্কারের অভাবে ক্যানাল মজে যাচ্ছে। ফলে তার জলধারণ ক্ষমতাও কমে গিয়েছে।” তাঁর কথায়, “পঞ্চায়েত সমিতি উদ্যোগী হওয়ায় ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্প গড়ে উঠেছে। তাতে সমস্যার কিছুটা সুরাহা হয়েছে।” অবিলম্বে ডিভিসি ক্যানালটি সংস্কারের দাবি জানান তিনি।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.