বিশ্বে ৫০ লক্ষ টেস্ট টিউব সন্তান
সংবাদসংস্থা • ইস্তানবুল |
সন্তানহীন দম্পতিদের মুখে হাসি ফোটাতে ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (টেস্ট টিউব) পদ্ধতির জুড়ি নেই। সম্প্রতি তুরস্কের ইস্তানবুলে আয়োজিত ‘ইন্টারন্যাশনাল কমিটি ফর মনিটরিং অ্যাসিস্টেড রিপ্রোডাকটিভ টেকনোলজিস’ (আইসিএমএআরটি)-র এক সম্মেলনে দাবি করা হয়েছে, বিশ্বে টেস্ট টিউব পদ্ধতিতে জন্মানো সন্তানের সংখ্যা ৫০ লক্ষ। তবে ওই সম্মেলনে উপস্থিত বিশেষজ্ঞরা যথেচ্ছ টেস্ট টিউব পদ্ধতি ব্যবহার নিয়ে সতর্কও করে দিয়েছেন। তেমনই এক বিশেষজ্ঞ লন্ডনের হ্যামারস্মিথ হাসপাতালের কনসালট্যান্ট গাইনোকোলজিস্ট স্টুয়ার্ট লাভেরি। তিনি বলেন, “কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ত থাকার জন্য অনেকেই অনেক বেশি বয়সে বিয়ে করেন। আর পরে স্বাভাবিক ভাবে সন্তানধারণে সমস্যা দেখা দিলে বিকল্প হিসেবে সালে ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন পদ্ধতির শরণাপন্ন হন। কিন্তু তাঁদের মনে রাখা দরকার, বয়স বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই পদ্ধতিতে সন্তানধারণের ক্ষমতাও অনেক কমে যায়।” তবে বিতর্ক যতই থাকুক একটা বিষয়ে সবাই এক মত। এখন আর টেস্ট টিউব পদ্ধতিতে সন্তান জন্মানোর বিষয়টি কেউ গোপন রাখতে চান না। বরং এই বিষয় নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করতে এগিয়ে আসছেন অনেকেই। আর তার প্রমাণ মিলেছে হাতেনাতেই। ৫০ লক্ষ।
|
অ্যাম্বুল্যান্স চালু
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
গ্রামবাসীদের স্বার্থে অ্যাম্বুল্যান্স দিল একটি সংস্থা। খড়্গপুরে টাটা মেটালিকস কারখানার গেটের সামনে বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিক ভাবে গ্রামবাসীদের হাতে অ্যাম্বুল্যান্স তুলে দিলেন টাটা মেটালিকসের চেয়ারম্যান এইচ কে ঝা। ছিলেন খড়্গপুরের মহকুমাশাসক সুদত্ত চৌধুরী। সামরাইপুর ও আশপাশের এলাকার মানুষ এই অ্যাম্বুল্যান্স ব্যবহার করবেন। অ্যাম্বুল্যান্সটি দিয়েছে যে সংস্থা, সেই ‘কঙ্ক্যুইপ অ্যান্ড কাস্ট’-এর কর্ণধার রাজেশ চক্রবর্তী বলেন, “স্থানীয় মানুষকে নিয়েই ‘গ্রিন আর্থ’ নামে একটি কমিটি গড়া হয়েছে। ওই কমিটিই অ্যাম্বুল্যান্সের দেখভাল করবে।” কেবলমাত্র গাড়ি চলাচলের খরচ দিয়েই তা ব্যবহার করতে পারবেন এলাকার মানুষ। মহকুমাশাসক মনে করিয়ে দেন, “অ্যাম্বুল্যান্স চালুর সময় যে আড়ম্বর থাকে, পরে আর তা দেখা যায় না। আশা করব, এ ক্ষেত্রে মানুষ সঠিক পরিষেবা পাবেন।” একই সঙ্গে এ দিন এক প্রতিবন্ধীকে ট্রাই-সাইকেল, দু’জন কৃতী ছাত্রকে সাইকেল ও গরিব পড়ুয়াদের স্কুলব্যাগ দেওয়া হয়।
|
চিকিৎসকের অভিযোগ
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
রোগিণী শম্পা বসুর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তাঁর পরিবারের লোকরা জবরদস্তি চিকিৎসককে দিয়ে দোষ স্বীকার করিয়ে মুচলেকা লিখিয়ে নিয়েছেন বলে পুলিশে অভিযোগ জানান হল। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ির আশ্রমপাড়ার সংশ্লিষ্ট নার্সিংহোমের চিকিৎসক অশোক কুমার মাঝি পুলিশে লিখিত অভিযোগ জানান। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, ওই রোগিণীর মৃত্যুর পর তাঁর পরিবারের লোকেরা জোর করে তাঁকে দিয়ে লিখিয়ে নিয়েছেন যে রোগিণীর মৃত্যুর জন্য তিনি দায়ী। যমজ দুই কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর যথাযথ ভাবেই চিকিৎসা চলছিল প্রসূতির। অথচ পরিবারের লোকেরা রোগিণী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে মিথ্যে অভিযোগ তুলছেন। এ দিন মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করানো হয়। শম্পাদেবীর স্বামী স্বর্ণকমলবাবু জানান, ওই চিকিৎসক নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করছেন।
|
ছেলের মৃত্যু, মামলা তিন ডাক্তারের নামে
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
চিকিৎসায় গাফিলতিতে একমাত্র সন্তানের মৃত্যুর অভিযোগ এনে একটি বেসরকারি হাসপাতালের ৩ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আলিপুর আদালতে মামলা করলেন বাবা। আবেদনপত্রটিকে এফআইআর গণ্য করে পূর্ব যাদবপুর থানাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সোনারপুর-ঘোষপাড়ার বাসিন্দা উৎপল গঙ্গোপাধ্যায়ের আইনজীবী শান্তনু সিংহ জানান, তাঁর মক্কেলের ছেলে অর্ণবের (১৯) প্যানক্রিয়াটিসের সমস্যা দেখা দেওয়ায় ২০১১ সালের ১৩ মে সকালে তাঁকে ই ইম বাইপাসে একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে তিনি মারা যান।
|
দাঁতনে ডায়েরিয়া
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ডায়েরিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে দাঁতন ২ ব্লকের বেতারুই গ্রামে। জনা পনেরো গ্রামবাসী আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁর মধ্যে ৬ জন স্থানীয় খণ্ডরুই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সবিতেন্দ্র পাত্র বলেন, “গ্রামে মেডিক্যাল টিম গিয়েছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।”
|
রাখির দিনে কর্মীদের অনেকে গরহাজির থাকায় হাসপাতালের সাফাই পরিষেবার কাজ ব্যহত হয়ে পড়ল। বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সাফাই কর্মীদের অনেকেই কাজে যাননি। তাতে সকালে বিভিন্ন বিভাগে সাফাইয়ের কাজ ঠিক মতো হয়নি। রোগীদের অনেকেই সে কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কিছু ওয়ার্ডে শৌচাগার পরিষ্কার না হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হয় রোগীদের। অপরিচ্ছন্ন ওয়ার্ডের মধ্যেই চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজ করতে হয়েছে মেডিসিন বিভাগ, প্রসূতি বিভাগের মতো কয়েকটি ওয়ার্ডে। সুপার সব্যসাচী দাস বলেন, “একটু সমস্যা হয়েছে। যাঁরা এসেছিলেন তাঁরাই পরিস্থিতি সামাল দেন।” |